জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুল প্রতিক্ষিত নবনির্মিত দুটি আবাসিক হল ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’ ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’-এ আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থী প্রবেশ করানো হয়েছে।
মঙ্গলবার(১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর শিক্ষার্থীদের হাতে ফুল, মাস্ক, কলমসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে প্রথমে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এবং পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে শিক্ষার্থীদের বরন করেন। এসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদার ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট নুসরাত শারমিন, দুই হলের হাউজ টিউটরগণ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিমা ইসলাম তৃণা বলেন, আজকে আমাদের সেই আকাঙ্ক্ষিত দিন, যেই দিনটির জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন থেকে অপেক্ষা করে আসছি। আজকে আমাদের হলের উদ্ভোধনী হচ্ছে এবং আমরা আমাদের কাংখিত হল পেতে যাচ্ছি। আমরা আমাদের হলের গল্প আমাদের সিনিয়রদের কাছ থেকে শুনেছি, পাবলিক বিশ্বিদ্যালয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য পার্ট হচ্ছে হল এবং আমরা আজ সেটির স্বাদ আস্বাদন করতে যাচ্ছি। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর স্যারকে। আমরা স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘আমরা একটি পরিচ্ছন্ন, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলবো। তোমরা তোমাদের এই হলকে নিজেদের ঘর মনে করে পরিচ্ছন্ন রাখবে; কারণ পরিচ্ছন্নতাই হলো পবিত্রতা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন। সুতরাং আজকের দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের বাংলা ভাষার মর্যাদা পেয়েছি। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই ১৯৭১ সনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পাওয়া অসম্ভব ছিল।’
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দের তালিকা প্রকাশ ও চাবি হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ২শ ৮৪ ও ১ হাজার ১শ ৭৫ জন করে শিক্ষার্থী। হলে প্রবেশের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীদের বহুল প্রতিক্ষিত হল চালুর দাবিটি পূরণ হলো।
Leave a Reply