ফিরোজা হক, দুই দশক আগে ছিলেন সাভারের বিপিএটিসি স্কুল এ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষিকা। একদিকে শ্রেনী কক্ষে ছাত্র ছাত্রী ও অন্য দিকে সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প আর নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে সময় কাটাতেন। এক সময়ের উচ্ছল তরুরী ফিরোজা পাশাপাশি ছিলেন বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি) মহিলা ক্লাবের বারবার নির্বাচিত সফল সাধারণ সম্পাদক। বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রমসহ নানা সামাজিক কর্মকান্ডে ছিল তার সরব উপস্থিতি।
সন্তানরা তখনও তাদের পড়াশোনা শেষ করেনি এমন সময় হঠাৎ করে উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা স্বামী অকালে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যান। অনেক পরিচিত মানুষও হয়ে উঠেন অপরিচিত। তবে প্রবল আত্নবিশ্বাসী ও আত্নমর্যাদাবোধ সম্পন্ন ফিরোজা ভেঙে না পড়ে তার দুই সন্তান ড. একেএম এহসানুল হক ও মেয়ে ড. ফারহানা হককে নিয়ে পাড়ি জমান ব্রুনাই দারুসসালাম। দুই সন্তান সেখানে সর্বোচ্চ সাফল্যের সঙ্গে নিজেদের পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। বিদেশে অবস্থান করা ফিরোজা সেই সময় স্বপ্ন দেখতে থাকেন নিজ দেশের মেয়েদের তার মতো করে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার।আর সেজন্যই অনেক অসহায় নারীকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেন। তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। নিজেও নেন উদ্যোক্তা তৈরির নানা প্রশিক্ষণ।
এখন সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার পাশাপাশি কবিতাও লেখেন ফিরোজা হক।
ফিরোজা হক জানান, ‘আসছে ১২ ফেব্রুয়ারী আমরা উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের, ১৮ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাড়িতে ‘পঞ্চব্যাঞ্জন’ নামের একটি খাবার দোকানের উদ্বোধন করতে যাচ্ছি।’
সেখানে আমারা এক সাথে পাঁচজন নারী মিলেই এই শপটা চালাবো। সেখানে সব খাবার হাতে তৈরি করা হবে। খাবারের গুনগত মান থাকবে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।
আমাদের দেখে আরো নারীরাও যেন এগিয়ে আসে আর নিজ হাতে তাদের জীবনের গল্প লেখার চেষ্টা করে সেজন্যই এই আয়োজন বলেন তিনি।
Leave a Reply