চকরিয়া সংলগ্ন পার্বত্য লামার ফাইতং এলাকা ২৯ অবৈধ ইটভাটার ১১ টিতে অভিযান চালিয়ে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (১০ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা নাগাদ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কায়েসুর রহমান ও মোঃ মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অধিদফতর এ অভিযান চালায়। সরেজমিন দেখা যায়, লামা উপজেলার ফাইতং বড়খোলা ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় ফরিদুল আলম সিআইপি’র মালিকানাধীন এফএসি ব্রীকস ও ৯নং ওয়ার্ডের বাঙ্গালিপাড়া মোজাম্মেল হকের মালিকানাধীন ইলাহি ব্রিকস নামে দুটি ইটভাটাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ দুটি ইটভাটাকে স্ক্যাভেটরের সাহায্যে কিছু কাচা ইট ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উভয় ইটভাটায় ২-৫ মিনিট করে আগুন নিভিয়ে দিতে পানি ঢালেন। এ ছাড়া এফএসি ব্রীকস-কে ৩ লাখ টাকা ও ইলাহি ব্রিকস-কে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতের সার্বিক সমন্বয়ে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদফতর বান্দরবান জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ আশফাকুর রহমান। তিনি বলেন, উল্লিখিত ইটভাটাগুলোর একটির ও অনুমতি নেই, পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া, পাহাড়ের ঢালুতে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংলগ্ন স্থানে পরিচালিত হচ্ছিল। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনের ধারা লঙ্ঘনের কারণে অবৈধ ইটভাটাগুলোতে অভিযান পরিচালিত হয়েছে।নসংশ্লিষ্ট অভিযানিক দল প্রধান জানান, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে আজ ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে বান্দরবান জেলা প্রশাসন এই অভিযান শুরু করেছেন। শুরুতে বুলডোজার দিয়ে তিনটি ভাটার আংশিক গুড়িয়ে দেয়। ২/৫ মিনিট করে পানিও ঢালেন। তবে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী মেজিষ্ট্রেটের অর্ডার কার্যকরের সাথে সাথে অকার্যকরের আরেক দলকে দফারফা করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের ভাই ফরিদের মালিকানাধীন এফএসি ধ্বংস করে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এসবিডাব্লিউ’র মালিক ইউনুছের ভাটা ধ্বংস করে দুই লাখ টাকা ও মোখতার আহমেদ এর এমএসবি ভাটায় না গিয়ে কাগুজে ধ্বংস করে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। ফখরুল ইসলামের ইটভাটায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে ১০ মিনিট দফারফার পর ফের সাইনবোর্ড ফিরিয়ে নেয়ার দৃশ্য আভিযানিক দলের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
জানাগেছে, হাই কোর্টের বিগত ২৫ জানুয়ারি/ তারিখে রিট পিটিশন মামলা নং ১২০৪/২০২২ এর আদেশ হয়। কিন্তু জেলা প্রশাসনের দুর্বল ভুমিকার কারনে আদেশের ১৫ দিন পর কার্যক্রম চালায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় আরো কয়েকটি অবৈধ ইটভাটায় সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেয়া হয়। বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কায়েসুর রহমান ও আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রশিদ এর নেতৃত্ব পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস অভিযানে অংশ নেন।
Leave a Reply