নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাইপাস ও অর্জুনপুর এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে মহিলাসহ নয়জন গরু চোরকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন অভিযানে মোট সাতটি গরু উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার আটকদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটকরা হলেন-বরিশাল সদরের আলেকান্দা গ্রামের আদম আলী শিকদারের ছেলে আব্দুল মালেক শিকদার (৬৮), নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার গুরুবদী গ্রামের মৃত ফজু ভূঁইয়ার ছেলে হুমায়ন (৩৫), একই উপজেলার বাড়ৈপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে জয়নাল (৩৮), কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওদা আজমপুর গ্রামের মৃত লালন মালিথার ছেলে শফিকুল মালিথা (৩৩), ঢাকার আশুলিয়া থানার আমলীগুলা এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে কালাচাঁন (৪৮), খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার শান্তিনগর গ্রামের দেলোয়ার গাজীর ছেলে জসিম গাজী (৩৫), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মান্দারপাড়া গ্রামের আম্বর আলীর ছেলে কবির হোসেন (৩৬), বড়াইগ্রামের অর্জুনপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (৩১) ও তার স্ত্রী আয়েশা বেগম (২৬)।
থানা সুত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বড়াইগ্রাম থানা মোড় এলাকার কৃষক আব্দুল বাতেনের দুটিসহ কয়েকটি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। পরে আব্দুল বাতেনের ছেলে মেহেদী হাসান বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত নামে। তদন্ত কালে উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে গত রোববার বনপাড়া প্যারাডাইস আবাসিক হোটেল থেকে সন্দেহভাজন গরু চোর জসিম গাজীকে আটক করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য আসামীদেরকেও একই হোটেল থেকে আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কুষ্টিয়ার মিরপুরের নওদা আজমপুর গ্রামে গরু চোর শফিকুলের বাড়ি থেকে চারটি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, ভিন্ন একটি মামলায় উপ-পরিদর্শক শামসুল ইসলামের নেতৃত্বে বড়াইগ্রামের অর্জুনপুর গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের বাড়ি থেকে আরো তিনটি গরু জব্দ করে পুলিশ। এ সময় গরু চুরি ও তা সংরক্ষণের অভিযোগে আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী আয়েশা বেগমকে আটক করা হয়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। জব্দ করা গরুগুলোর মধ্যে একটি মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হলেও অপর ছয়টি গরুর প্রকৃত মালিক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মালিক পাওয়া গেলে সেগুলোও হস্তান্তর করা হবে।
Leave a Reply