সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় চলছে না চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স। নির্ধারিত ভাড়ার কয়েকগুণ বেশি টাকা রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক তরুণ মল্লিকের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে হলেও স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন। সাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া চকরিয়া থেকে মালুমঘাট ৩৩০ টাকা, চকরিয়া থেকে কক্সবাজার ১২৪০টাকা ও চকরিয়া থেকে চট্টগ্রাম গেলে ২১০০টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত ভাড়ার তোয়াক্কা না করে সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার তরুণ মল্লিক চকরিয়া থেকে কক্সবাজার রোগী বহনের জন্য ২০০০-২৫০০ ও চকরিয়া থেকে চট্টগ্রাম ৪০০-৫০০ টাকা ভাড়া আদায় করছে। জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে রোগী বহন করা হলে তার জন্য ভাড়া নেওয়া হয় স্থানভেদে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা।
এবিষয়ে হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, সেখানকার ২টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি অনেক দিন ধরে অচল। এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২ থেকে ৩ শ রোগী চিকিৎসা নেন। এ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে চকরিয়ার মধ্যে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা এবং চকরিয়ার বাইরে গেলে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া নেওয়া হয়। এ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক তরুণ মল্লিক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, তারা সরকারি নিয়মেই ভাড়া নিচ্ছেন। কিন্তু ছদ্মবেশে প্রতিবেদকের সাথে মোবাইল ফোনে বলা কল রেকর্ড ড্রাইভার তরুণ মল্লিকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটির সত্যতা প্রকাশ পায় এবং কল রেকর্ডটি প্রতিবেদকে কাছে সংরক্ষিত আছে। এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা: শাহ ফাহিম আহমদ ফয়সালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ থেকে তিন মাস আগে ডাঃ মাহামুদুল হক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা থাকাকালীন এধরনের একটা অভিযোগ পাওয়া গেছিলো। বর্তমানেও তা তদন্তনাধীন রয়েছে। এরপর আর কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। যদি কোন ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে সরকারি বিধি মোতাবেক আমরা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Leave a Reply