প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান দেয়া হবে, এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(বশেমুরবিপ্রবি) সহ জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
আজ রোববার (৭’ই মার্চ) সকাল ৯টা থেকে গুজবে বিশ্বাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি বিভাগ থেকে প্রত্যয়নপত্র তুলতে ভিড় করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময়ে বিভাগগুলো থেকে প্রত্যয়নপত্র বাবদ ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। এছাড়াও গোপালগঞ্জের প্রায় সকল স্কুল-কলেজে প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার জন্য ভীড়-জমায়েত করে সাধারন শিক্ষার্থীরা। এতে জেলার বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা গিয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হয়েছে স্থানীয় জনগন। শহরের ব্যস্ততম সড়কে দীর্ঘসময় জ্যামে আটকে থাকার কারনে কর্মস্থানে পৌছানো সহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যাঘাত ঘটে তাদের।
প্রত্যয়নপত্র তুলতে আসা বশেমুরবিপ্রবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, “অনলাইনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ১০হাজার টাকা করে দেয়া হবে এমন তথ্য পাই। যার জন্য বিভাগীয় প্রধানের প্রত্যয়নপত্র আবশ্যক। এখন প্রত্যয়নপত্র তুলে অনলাইনে প্রদত্ত ওয়েবসাইটে একাধিকবার চেষ্টা করেও ঢুকতে পারিনি।”
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি রেজিস্ট্রার আব্দুর রউফ এবং গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে এমন কোন তথ্য তাদের কাছে আসেনি। তাই এ বিষয়ে কোনো কিছু জানা নেই।
এ বিষয়ে, গোপালগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তাদের কাছে করোনা পরিস্থিতিতে অনুদানের এমন কোনো চিঠি আসেনি। একটি মহল গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে স্বার্থ হাসিল করতে চায় বলে মনে হয়।
প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (মাউশি) ১৮ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তিতে অনুদানের জন্য মাউশির ওয়েবসাইটে আবেদন ফরমে আবেদন করতে বলা হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে সবার জন্য সরকারি অনুদান দেয়ার কথা বলা নেই। বলা আছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেরামত ও সংস্কার, আসবাবপত্র ক্রয়সহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজের জন্য, শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের দুরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব দুর্ঘটনার সহায়তার জন্য এবং শিক্ষার্থী যারা দুরারোগ্য ব্যাধি, দৈব দুর্ঘটনা এবং শিক্ষাগ্রহণ কাজে ব্যয়ের জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে শিক্ষার্থীদের এ বিশেষ অনুদান দেয়ার ক্ষেত্রে দুস্থ, প্রতিবন্ধী, অসহায়, রোগাক্রান্ত, গরিব, মেধাবী, অনগ্রসর সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
এই অনুদানের আবেদনের সময়সীমা ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মাউশি সেই আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়েছে আজ (৭ মার্চ) পর্যন্ত। ২৮ ফেব্রুয়ারি সময় বাড়ানোরও ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের লক্ষ্যে অনলাইনে আবেদনের সময়সীমা আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।”
Leave a Reply