সমুদ্রসৈকত সোনার চরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বালুচরে লাল কাঁকড়ার দলবেঁধে ছোটাছুটি, পাখির কলকাকলি, ঢেউয়ের গর্জন, বাতাসের তালে ঘন ম্যানগ্রোভ বনের ঝাউপাতার শোঁ শোঁ শব্দ। সমুদ্রতটে চিকচিকে বালুতে পা ফেলানো আর হঠাৎ সমুদ্রের জলরাশি ঢেউ এসে ছুঁয়ে যাওয়া।
সাজবেলায় পূর্বাকাশে সমুদ্রের বুক চিরে জেগে ওঠা লাল সূর্যটা।
বেলা শেষে পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার মতো দৃশ্য যে কোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে অবলোকন করার মতো অতুলনীয় স্পটের নাম “সোনারচর” পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময়ী এই আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়ন এর আওতায় অবস্থিত।
এ স্পটটি নিয়ে যেমন সম্ভাবনা রয়েছে, তেমন সমস্যাও রয়েছে। সেখানকার পর্যটনে সবচেয়ে বড় বাঁধা যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সোনারচরে সোনা নেই ঠিকই, কিন্তু আছে সোনার রঙের বালি। সূর্যের রশ্মি যখন বালির ওপর পড়ে তখন দূর থেকে মনে হয়, সত্যি সত্যিই সোনার আবির্ভাব হয়েছে এখানে। সোনারচরে রয়েছে বিশাল বনভূমি, বঙ্গোপসাগরের কোলঘেষে এই এই সোনার চরের অবস্থান যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তেমনি বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখি, পাখির গানে যেন সকলের মন জুড়িয়ে যায়, যখন হরিনগুলো নদীর তীরে দলবেঁধে দাঁড়িয়ে থাকে তখন সেখানে থেকে চোখ ফিরানো দায়, আবার জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে মধ্যপথে আশ্রয় নেয় সেই পথটি হলো “সোনার চর”
বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, সুন্দরবনের পরই আয়তনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বনাঞ্চল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সুবিশাল সমুদ্র সৈকত। এটি রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের আওতাধীন। জানা গেছে, সম্প্রতি সোনারচরের ২০ হাজার ২৪ হেক্টর বিস্তৃত বনভূমিসহ ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতজুড়ে এক্সক্লুসিভ পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার।
এসব এলাকাজুড়ে বাস্তবায়ন হবে মহাপরিকল্পনা। আধুনিক অবকাঠামো তৈরি হবে। এর আগে সমীক্ষা করা হবে সংশ্লিষ্ট এলাকা। এ কাজে ৬৩ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় করবে সরকার। সোনারচরকে এক্সক্লুসিভ পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করতে সমীক্ষা কাজ পরিচালনায় দুই কোটি টাকা মূল্যের কয়েকটি ড্রোন ব্যবহার করা হবে। চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের জুন মাসে সার্ভের কাজ শেষ হবে।
Leave a Reply