যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বাগুড়ী বাজারে বহুবছর ধরে ফুটপথে অবৈধ কসাইখানা ও মাংসের দোকান গড়ে উঠাই এবং স্থানীয় পরিবেশ ভীষণ ভাবে দুষিত হওয়ায় গত ১১ই মার্চ “শার্শায় বহুবছর ধরে পরিবেশ দূষণে ভূমিকা রেখে চলেছে অবৈধ কসাইখানা ও উপজেলা স্যানিটারি অফিসার” শিরোনামে নিষ্ঠাবান সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মোঃ হাসানূল কবীর সংবাদ প্রচার করেন এবং শার্শা উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। তারই জেরে ১১ই এপ্রিল রাত ৮টার দিকে কসাইদার রিপন ও মিলন ঐ সাংবাদিকের বাড়ীতে এসে তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানের সামনে খুনজখমের হুমকি প্রদান করে। এ ব্যাপারে ১২ই এপ্রিল শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী হয়েছে, জিডি নং-৪৫২।
উল্লেখ্য, যশোরের শার্শা উপজেলার বাগুড়ী মহাসড়কের সাথে বহুবছর যাবত অবৈধ কসাইখানা ও মাংসের দোকান গড়ে তুলে ব্যবসা করে আসছে কিছু অসাধু মাংস ব্যবসায়ী, হচ্ছে পরিবেশ দূষণ।
শার্শার বাগুড়ী মহাসড়কের সাথে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলে ধূলাবালুযুক্ত মাংস বিক্রি করছে হরহামেশা এসব মাংস ব্যবসায়ীরা। অত্রাঞ্চলের বাগআঁচড়া বাজারে বহুবছর ধরে পিলখানা ও মাংসের বাজার থাকা স্বত্বেও আবাসিক এলাকায় এবং মহাসড়কের পাশে প্রায় প্রতিদিনই ভোররাতে গরু জবাই করে গোবর ও জবাইকৃত পশুর বর্জ্য ফেলায় এলাকার পরিবেশ ভীষণভাবে দূষিত হচ্ছে। বেওয়ারিশ কুকুর সেগুলো ছড়াচ্ছে পুরো এলাকায়। বিভিন্নভাবে পার্শ্ববর্তী বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জীবাণু ছড়াচ্ছে। ফলে ভীষণ দুষিত জীবাণুবাহী পরিবেশে স্থানীয় অধিবাসীদের বসবাস এবং পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণে ভয়ে সবসময় আতঙ্কিত থাকে পথচারী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় শিশুরা।
এবিষয়ে শার্শা উপজেলার স্যানিটারি অফিসার শেফালীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আপনি এবিষয়ে বাজার কমিটিকে বলেন। আমি কত দেখবো”। অথচ তিনি ঠিকই বহুবছর যাবৎ এসব অবৈধ পরিবেশ দূষণকারী কসাইখানা ও মাংস ব্যবসায়ী মালিকদের পরিবেশের ছাড়পত্র দিয়ে যাচ্ছেন। তাহলে কিসের বিনিময়ে তিনি বহুবছর তাদের পরিবেশের ছাড়পত্র দিয়ে আসছেন, প্রশ্ন জনমনে।
জনসাধারণের প্রতি সুুদৃষ্টি রেখে পিলখানা ব্যতীত পশু জবাই নিষিদ্ধ সহ অবিলম্বে এইসব অবৈধ কসাইখানা ও মাংসের দোকান উচ্ছেদ করে এলাকাবাসীকে জীবাণুমুক্ত স্বাস্থ্যকর সুন্দর পরিবেশ উপহার দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শান্তিকামী সচেতন এলাকাবাসী।
Leave a Reply