গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) আন্দোলনের মুখে উপাচার্য হিসেবে খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পতন হলে রুটিন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান।
তবে রুটিন উপাচার্যের অক্ষমতা দেখিয়ে অসহায় শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার জন্য অর্থ প্রদান,ইতিহাস বিভাগ নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে রিজেন্ট বোর্ড না করতে পারায় সমাধানে অক্ষম বলে সে সময় জানান তৎকালীন রুটিন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান! তবে রিজেন্ট বোর্ড ছাড়ায় অনৈতিকভাবে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা অনুমোদন ও সে থেকে একটি অংশ গ্রহণও করেন তিনি! বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের পেনশন ও ভবিষ্যত তহবিল নীতিমালা সংশোধন এবং অনুমোদনের জন্য ব্যয় দেখানো হয়েছে সাত লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। এমনকি রিজেন্ট বোর্ড এবং অর্থ কমিটির অনুমোদন ছাড়াই এই সম্পূর্ণ অর্থ অগ্রীম প্রদান করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বশেমুরবিপ্রবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং পেনশন ও ভবিষ্যত তহবিল নীতিমালা কমিটির সদস্য সচিব গোলাম হায়দারকে এই অর্থ প্রদান করা হয়েছে।এই অর্থ সম্পূর্ণ অনিয়ম করে এবং আইন ভেঙ্গে প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রুটিন উপাচার্য ও বর্তমান বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান।
এ বিষয়ে তৎকালীন উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) এবং পেনশন ও ভবিষ্যত তহবিল কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো: শাহজাহান বলেন,
“আত্মসাৎ না,আমি সম্মানি নিয়েছি।আবার ফেরতও দিয়েছি।”
যদি আত্মসাৎ না করে থাকেন,তবে ফেরত দেয়ার বিষয়টি আসলো কিভাবে জানতে চাইলে বলেন “যেহেতু আপত্তি উঠেছে, তাই আমরা কয়েকজন ফেরত দিয়েছি।”
অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ এর বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও টাকা উত্তোলনকারী গোলাম হায়দার বলেন, “আমি কমিটি’র সদস্য সচিব ও বাহক মাত্র।কমিটির প্রায় ১০ জন সদস্য এ বিষয়ে জানে।আমি টাকাটি বাহক হয়ে তুলেছি মাত্র।এ টাকা ওই কমিটি’র সভাপতি ও সেই সময়কার উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহজাহান স্যার অনুমোদন দিয়েছেন।”
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি।তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। “
Leave a Reply