খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুইজন শিক্ষকের সাথে অসদাচারণ ও তদন্তে অসহযোগিতার দায়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী তাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল রবিবার থেকে রাতভর আমরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বলছে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগকে উপেক্ষা করে সাজা চূড়ান্ত হওয়ার আগেই তারা এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তাদের উচিত বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ গ্রহণ করা।
আজ সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘আমরণ কর্মসূচি পালনরত ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমামুল ইসলাম ও বাংলা ডিসিপ্লিনের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোবারক হোসেন নোমান এর সাথে উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান দেখা করেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের এ অবস্থান থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা সাময়িক, এখনো চূড়ান্ত নয়। আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধান মেনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ গ্রহণ করুন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, খুবি শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা আন্দোলনে যুক্ত থাকায় আমাদের অন্যায়ভাবে বহিষ্কার আদেশ আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবে।
আত্মপক্ষ সমর্থনের নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করলেও তা গ্রহণ না করে বা শৃঙ্খলা বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিষয়ে একডেমিক কাউন্সিলে আপিল না করে তারা এমন কর্মসূচি শুরু করলো এ প্রশ্নে তারা কোন মন্তব্য করতে চায়নি।
তাদের অবস্থানের বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক রাত আটটার দিকে তাদেরকে এই কনকনে শীতের মধ্যে আমরণ কর্মসূচি থেকে সরে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ গ্রহণ করতে বলেন। এসময় তাদের এসম্পর্কিত নির্দেশনা সম্বলিত চিঠিটি পড়তে বলা হলে তারা অস্বীকৃতি জানায়।
Leave a Reply