বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে উদ্যোক্তা গড়ে ওঠাকে উৎসাহিত করা এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নে এ অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতা তৈরির উদ্দেশ্যে ইউরোপিয়ান কমিশন এর ইরোসমাস প্লাস কর্মসূচির অধীনে এমইএলবিইউ (মোর ইন্টারপ্রিনিউরিয়াল লাইফ ইন বাংলাদেশী ইউনিভার্সিটিজ) শীর্ষক একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
এই প্রকল্পের অধীনে সম্প্রতি আঞ্চলিক ইনোভেশন প্লান কম্পিটিশন আয়োজন করা হয়। আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি উক্ত কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী ভাবনা নিয়ে কাজ করা একটি চমৎকার উদ্যোগ। এর ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে নতুন উদ্যোক্তা ও ধারণা বের হয়ে আসবে, যা সামাজিক, ব্যবসায়িক, শিল্পসহ নানাবিধ উন্নয়নে অবদান রাখবে। তিনি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের এবং অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
প্রকল্পের সমন্বয়কারী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মোঃ নূর-উন-নবীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রকল্পের অন্যতম সমন্বয়কারী জার্মানীর লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. উটজ ডোম্বার্গার। আরও বক্তৃতা করেন কুয়েটের প্রফেসর ড. মোঃ নুরুন্নবী মোল্লা, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তৃতা করেন প্রকল্পের সদস্য খুবির বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ মুরছালিন বিল্লাহ। এসময় প্রকল্পের সদস্য খুবির ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এ প্রকল্পের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ হতে ব্যাবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মো. শেখ আশিকুর রহমান প্রিন্স, ব্যাবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক মো. রকিবুল ইসলাম ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মো. আল আমিন প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রকল্পভুক্ত অন্য ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর (কুয়েট, যবিপ্রবি, নর্দান ও নর্থ ওয়েস্টার্ন) প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন দলকে একটি ক্রেস্ট ও ১ লাখ টাকার মূল্যমানের প্রাইজমানি, প্রথম রানার আপ দলকে ৬০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানার আপ দলকে ৪০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজমানি প্রদান করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় ৫৩টি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) চ্যাম্পিয়ান, প্রথম রানার আপ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও দ্বিতীয় রানার্স আপ হয় কুয়েট।
Leave a Reply