ইন্দুরকানীতে ইউনিক আইডির জন্য ছবি তুলতে এসে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা। ধর্ষক মাসুম হাওলাদার (৩০) ও স্কুল ছাত্রীর প্রেমিক তরিকুল ইসলাম (১৭)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রোববার সকালে স্কুল ছাত্রীর নানী গোলাপজান
বিবি বাদী হয়ে ধর্ষক মাসুম হাওলাদার ও স্কুল ছাত্রীর প্রেমিক তরিকুল ইসলামকে আসামী করে ইন্দুরকানী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। শনিবার বিকালে ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার দক্ষিন ইন্দুরকানী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত ধর্ষক মাসুম হত্যা সহ একাধিক মাদক মামলার আসামী ও একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকালে পাশর্^বর্তী মোড়েলগঞ্জ উজেলার চরহোগলাবুনিয়া মমিন উদ্দিন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৭) ইউনিক আইডির জন্য ছবি তুলতে ইন্দুরকানী উপজেলার ঘোষেরহাট বাজারে আসেন। তখন ওই স্কুলছাত্রী প্রেমিক একই এলাকার মোয়াজ্জেম খানের ছেলে তরিকুল ইসলামের সাথে দেখা করেন। এ সময় তরিকুলের খালাতো দুলাভাই দক্ষিন ইন্দুরকানী গ্রামের আঃ রহমান হাওলাদারের ছেলে দুই সন্তানের জনক মাসুম হাওলাদার তাদেও কে দেখে তার বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে তরিকুল কে আগে পাঠিয়ে দেয়।
কিন্তু স্কুুল ছাত্রী কে মাসুম নিজের বাড়ীতে না নিয়ে দক্ষিন ইন্দুর কানীর জব্বার মৃধার ছেলে এনামুল মৃধার বাড়ীতে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। পরে
স্কুলছাত্রী দুই দিন পর কৌশলে অন্য একজনের ফোন দিয়ে কল করে তার প্রেমিক তরিকুল কে বিষয়টি জানালে তরিকুল স্কুল ছাত্রীর স্বজনদের জানান। পরে স্কুল ছাত্রীর মামা রফিকুল ইসলাম ইন্দুরকানী থানা পুলিশের সহযোগীতায় শুক্রবার রাতে এনামুলের বাড়ী থেকে তাকে উদ্ধার করেন। তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার সকালে আদালতে পাঠিয়েছে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মাসুম ও স্কুল ছাত্রীর প্রেমিক তরিকুলকে গ্রেফতার করে রোববার আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমটে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply