ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এম এম নাছিমুজ্জামান আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলতাফ হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় মেঘনা ভবনের তৃতীয় তলায় বসবাসকারী আল – ফিকহ অ্যান্ড লিগাল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলতাফ হোসেনকে একই ভবনে বসবাসকারী ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এম এম নাসিমুজ্জামান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন মর্মে তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন। ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টির তদন্তপূর্বক রিপোর্ট পেশ করার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম এ কমিটি গঠন করেছেন।
আবাসিক কমিটির আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল এবং সদস্য সচিব প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঐ শিক্ষককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গত মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) সহকারী প্রক্টর এম এম নাসিমুজ্জামানকে সহকারী প্রক্টর পদ হতে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা যায়, শুক্রবার (১লা জানুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে আবাসিক এলাকায় বাগান পরিচর্যার সময় মেঘনা ভবনের পাশে সবজি বাগান পরিচর্যার কাজ করছিলেন আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন। এসময় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসিমুজ্জামান তাকে পাশের ভবন থেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং লাঠি হাতে তেড়ে আসেন শিক্ষক আলতাফ হোসেনকে লক্ষ্য করে। এক পর্যায়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এমএম নাসিমুজ্জামান।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১লা জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে নিরাপত্তা চেয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ
সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন।
শনিবার (২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে তিনি এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেন।
Leave a Reply