শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
বশেমুরবিপ্রবি’তে তিন দিনব্যাপী সাইকোমেট্রিক টুলস ও সাইকোলজিক্যাল এসেসমেন্ট ট্রেনিং সম্পন্ন চকরিয়ায় মাষ্টার মাইন্ড অটো ব্রিকস ফ্যাক্টরিতে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু নোবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ হলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ কেআইবি’তে এলডিডিপির মিডটার্ম রিভিউ কর্মশালা বশেমুরবিপ্রবি রোভার-ইন-কাউন্সিলের সভাপতি অনিক সম্পাদক ফারিহা চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনালে ব্যাপক পরিবহন চাঁদাবাজি, অতিষ্ঠ চালক-মালিকসহ সাধারণ যাত্রীরা রবিতে ইকোন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত  ডেঙ্গারগ্রাম ডিগ্রি কলেজে অভিভাবক ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত গণতান্ত্রিক উপায়ে শেরপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ সংসদ বশেমুরবিপ্রবির নয়া নেতৃত্ব নির্বাচিত রবির অর্থনীতি বিভাগে সেমিনার অনুষ্ঠিত  চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ কয়রায় খাস জমিতে ভবন নির্মাণ, ব্যবস্থা নেয়নি ইউএনও চকরিয়ায় বিএনপি নেতার উপর সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলা; চমেকে প্রেরণ লামায় জায়গা-জমির বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৭ স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে রবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন শিক্ষার্থীর আকস্মিক মৃত্যুতে নোবিপ্রবি প্রশাসনের অনুদান সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ছাত্রদলের নতুন সাংগঠনিক টিম গঠন চকরিয়ায় বিএনপির ঘরে আওয়ামীগের গোপন সোর্স বশেমুরবিপ্রবি সেইভ ইয়ুথের নেতৃত্বে সজল-সামিরা পরীক্ষা শেষে ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী ২ বন্ধু নিহত গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি)’র চকরিয়া উপজেলা কমিটি গঠন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের ফ্রেশার্স ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত দখলের সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিক কে মারধর করলো বিএনপি নেতা

ঈদ স্মৃতিচারণ

রেজাউল করিম ফেরদৌস
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৭ মে, ২০২০
  • ৬৪১ ০০০ বার

  ঈদ স্মৃতিচারণ……

ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ে। তখন ঈদের একটা আলাদা আমেজ ছিল। রোজার মাসে সাধারণতঃ শীত থাকত। শীতের রাতে জবু থবু হয়ে সেহরি খেতে উঠতে হতো। লেপের নিচ থেকে উঠতে ইচ্ছে করতো না। মা আগেই উঠে খাবার সব গরম করে রাখতেন। সারাদিন উপোস থাকতে কী কষ্টটাই না হতো! মনে আছে ছোটো বেলায় পানিতে ডুব দিয়ে একটু পানি খেয়ে নিতাম। ভাবতাম আল্লাহতো আর দেখতে পাবে না! ইফতারির আগে সময় যেন ফুরোতেই চাইতো না। রাতে চলে যেতাম তারাবির নামাজ পরতে মসজিদে। মাসব্যাপী রোজা শেষে যেদিন চাঁদ দেখার কথা সেদিন কী উত্তেজনাই না বিরাজ করত ছোটদের মধ্যে। চাঁদ দেখার জন্য খোলা মাঠে ছুটে যাওয়া বা উঁচু কোনো জায়গায় উঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা। চাঁদ দেখা গেলে কী আনন্দ। কাল ঈদ! রেডিও টেলিভিশনে বেজে উঠে ..’রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ..’ সারারাত আনন্দে ঘুমই হয় না। রাতে তারাবাতি জ্বালানো হতো।
রোজার মাস জুড়ে আছে নতুন কাপড় কেনাকাটার ধুম। বাবার হাত ধরে বাজারে যাওয়া ঈদের শার্ট কিনতে। প্রত্যেক বাবা-মা’ই চান তার সন্তানের জন্য নতুন কাপড় কিনে দিতে। কিনে দিতে না পারলে যেমন দরিদ্র পিতার মন খারাপ হয় তেমনি সন্তানেরও আনন্দটা নষ্ট হয়। ঈদে তার সন্তান নতুন কাপড় পড়বে না তা কি হয়! ছোটরা নতুন কাপড় কিনে কেউ কাউকে দেখাত না। ঈদের আগেই দেখে ফেললে মজাটা নষ্ট হয়ে যায় না! তাই লুকিয়ে রাখে। এই নিয়ে ছোটদের মধ্যে মন কষাকষিও হয়। আর যারা নেহায়েৎই নতুন কাপড় কিনতে পারে না তারা পুরনো কাপড়টাকেই ভালমতো ধুয়ে ঈদের রাতে ইস্তিরি করে নেয়। ধোপাবাড়িতেও যেন উৎসব লেগে যায়।
রোজার পুরো মাস মসজিদে মসজিদে তারাবির নামাজ আর ইফতারির ধুম।
শবে কদরে সারারাত ছেলেদের ঘুরে ঘুরে মসজিদে নামাজ পড়া আর রুটি হালুয়া খাওয়া। যার যে রকম সাধ্য আছে সে সেই রকমভাবে ঈদ করে। আজকাল কত বদলে গেছে সব কিছু। কেউ হয়ত কোন রকম ইফতারিটা সেড়ে ফেলে আর কেউ কেউ শেরাটন সোনারগাঁয়ে তিন চার হাজার টাকা দিয়ে ইফ্তার করে। ঢাকা শহরে ইফতারির বাজার বসে যায় সর্বত্র। ইফতার কালচার বলে একটা কথা চালু হয়ে গেছে দেশে। রাজনৈতিক ইফতার বেশ জমজমাট। জাকাতের কাপড় বিলি করতে গিয়ে কত লোক মারা যায় দেশে। ঈদের সময় দূর-দূরান্ত থেকে ভিক্ষুকরা এসে ভীড় করে ঢাকায় দুটো পয়সার জন্য।
ঈদের দিন খুব ভোড়ে ঘুম থেকে উঠেই ঘরে ঘরে গিয়ে সেমাই ফিরনি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। তারপর গোসল টোসল সেড়ে কড়কড়া ভাজভাঙ্গা জামাকাপড় পড়ে মা বাবাকে সালাম করে ঈদগাহ মাঠে যাওয়া হয় দল বেঁধে। ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি করা। ছোট ভাই বোনের জন্য খুরমা, বেলুন, বাঁশি কিনে আনা। নামাজ পড়ে ঘরে ফিরতে ফিরতে মায়ের পোলাউ মাংস রান্না শেষ। তারপর খাওয়া দাওয়ার ধুম। বিকেল হলে সেজে গুজে আত্মীয় বাড়িতে যাওয়া। সত্যি আমাদের দেশের ঈদ উৎসবের কোনো তুলনা হয় না। সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু বদলে যায়। আজকের দিনে হয়ত আর সেই পুরনো আমেজটা নেই। কিন্তু তারপরও দেশের ঈদ বলে কথা!

 

লেখকঃ রেজাউল করিম ফেরদৌস, 

 নির্বাহী সম্পাদক,দৈনিক উন্নয়নের কথা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..