গতকাল থেকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে টক অব দ্যা টাউন ছিলো ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসির ও কতিপয় সাংবাদিকের দ্বন্দ্ব। এ নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় প্রিন্ট,ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় লেখালেখি চলছে বিস্তর।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায় গতকাল সোমবার ঈশ্বরদী রেলগেটস্থ ট্রাফিক মোড়ের পাশে এমএন ইসলাম নামক এক ব্যাক্তির সাথে জমিজমা ও বাড়ি নিয়ে তারই আত্বীয় সাহিনা আক্তারের সাথে ঝামেলা চলছিলো।এই অবস্থায় সাহিনা আক্তারের সংবাদ সম্মেলনের জন্য কয়েকজন সাংবাদিক বাড়িতে প্রবেশ করে সংবাদ সম্মেলন করতে চাইলে বাধা দেন এমএন ইসলাম ।এক সময় এমএন ইসলাম আগ্নেয়াস্ত্র বের করে সাংবাদিকদের হুমকি দেয়।এসময় ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও নীরব ভূমিকা পালন করেন বলে অভিযোগ উপস্থিত সাংবাদিকদের। তাই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এমএন ইসলামের অস্ত্র উদ্ধার ও গ্রেফতার এবং ৭২ ঘন্টার মধ্যে ঈশ্বরদী থানার ওসিকে প্রত্যাহার দাবি জানান উপস্থিত সাংবাদিকরা।
তবে আগ্নেয়াস্ত্র এমএন ইসলামের লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিন। বাংলাদেশ সারাবেলাকে ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিন বলেন “এমএন ইসলামের কাছে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। একটি শর্টগান ও একটি পিস্তল।উভয়ই তার বৈধ লাইসেন্স করা অস্ত্র।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা অবস্থায় সাংবাদিকদের হুমকি দেয়ার ঘটনার পরও নীরব ভূমিকার কারন কি জানতে চাইলে ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিন বলেন ” জমিজমা ও বাড়ি নিয়ে এমএন ইসলাম ও তার ভাই-ভাবিদের সাথে এই পারিবারিক ঝামেলা ২০১৩ সাল থেকেই চলছিলো।অনেক চেষ্টা করেও পূর্ববর্তী প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের একত্র করতে সমর্থ হয় নাই।এই ঘটনায় একটি মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। গতকাল একজন জৈনৈক সাংবাদিক ফোন করে তাদের সংবাদ সম্মেলন করতে বাধা দিচ্ছে ও হুমকি ধামকি দিচ্ছে শুনে আমি সাথে সাথে দুজন কনস্টেবল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।এই অবস্থায় এমএন ইসলাম উত্তেজিত অবস্থায় চেচামেচি করলে আমি তাকে নিবৃত করি।একই সাথে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করলে থানায় অভিযোগ দিতে বলি এবং অভিযোগ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করি।ঘটনাস্থলে আমি দ্রুত গিয়ে দুজন কন্সটেবল সহ আন্তরিকতার সাথেই উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করি।সেখানে নীরব ভূমিকা পালন করা কিংবা কারো পক্ষ অবলম্বন করার প্রশ্নই উঠে না।বরং আমি এই থানায় আসার পর আইনানুগ সকল ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ সচেষ্ট থেকেছি। সবাই আমাকে সাংবাদিক বান্ধব ওসি হিসেবেই জানে।”
Leave a Reply