একদিকে করোনা অন্যদিকে ঘুর্ণিঝড়! এ যেন ধ্বংসের প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার হার দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোনো ভ্যাকসিন কিংবা প্রতিষেধক আবিষ্কার না হবার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করাই যেন এই মহামারী কে মোকাবেলা করার একমাত্র অস্ত্র। যেখানে প্রশাসন সচেতনতা তৈরিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের ঢল যেন কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ।
অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের উপকূলে ধেয়ে আসছে। আগামীকাল সকাল নাগাদ উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যেখানে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করার জন্য প্রশাসনের উদ্যোগে মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ব্যাপারে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায় নি।আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের ঢল নামলে সংক্রমণ ব্যধি করোনাভাইরাস বিপুলভাবে ছড়িয়ে পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না । আর আশ্রয়কেন্দ্রে না গেলে উপকূল অঞ্চলের লোকজন ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। এ যেন এক ধ্বংসের প্রতিযোগিতা করোনাভাইরাস বনাম ঘূর্ণিঝড় আম্ফান।
তবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।
Leave a Reply