বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
ফিল্ড ট্যুর নিয়ে নোবিপ্রবির ফিমস বিভাগের শিক্ষকদের অন্তর কোন্দল চকরিয়ায় আগুনে ভস্মীভূত হার্ডওয়্যারের দোকান; ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লক্ষাধিক টাকা চকরিয়ায় জমি জবরদখলে বাঁধা দেওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী সন্তানের উপর হামলা, আহত ২ খুলনায় সাবেক এমপির বাড়ি দখল করে মাদ্রাসা চালু দুমকীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে তরুণী দুমকি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে দুর্ধর্ষ চুরি দিগরপানখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন বশেমুরবিপ্রবি’তে তিন দিনব্যাপী সাইকোমেট্রিক টুলস ও সাইকোলজিক্যাল এসেসমেন্ট ট্রেনিং সম্পন্ন চকরিয়ায় মাষ্টার মাইন্ড অটো ব্রিকস ফ্যাক্টরিতে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু নোবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ হলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ কেআইবি’তে এলডিডিপির মিডটার্ম রিভিউ কর্মশালা বশেমুরবিপ্রবি রোভার-ইন-কাউন্সিলের সভাপতি অনিক সম্পাদক ফারিহা চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনালে ব্যাপক পরিবহন চাঁদাবাজি, অতিষ্ঠ চালক-মালিকসহ সাধারণ যাত্রীরা রবিতে ইকোন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত  ডেঙ্গারগ্রাম ডিগ্রি কলেজে অভিভাবক ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত গণতান্ত্রিক উপায়ে শেরপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ সংসদ বশেমুরবিপ্রবির নয়া নেতৃত্ব নির্বাচিত রবির অর্থনীতি বিভাগে সেমিনার অনুষ্ঠিত  চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ কয়রায় খাস জমিতে ভবন নির্মাণ, ব্যবস্থা নেয়নি ইউএনও চকরিয়ায় বিএনপি নেতার উপর সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলা; চমেকে প্রেরণ লামায় জায়গা-জমির বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৭ স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে রবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন শিক্ষার্থীর আকস্মিক মৃত্যুতে নোবিপ্রবি প্রশাসনের অনুদান সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ছাত্রদলের নতুন সাংগঠনিক টিম গঠন

কেমন আছে সমাজের মধ্যবিত্তরা?

জুবায়েদ মোস্তফা
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০
  • ৫৯৩ ০০০ বার

কেমন আছে সমাজের মধ্যবিত্তরা?

করোনার থাবায় বিধ্বস্ত পুরো বিশ্ব।করোনায় বিশ্ববাসীর টনক নড়েছে।অনেক বড় বড় পরাক্রমশালী দেশেরও
ভীত কেঁপে ওঠেছে।জনবহুল শহর,বড় বড় রেস্তোরা নিমিষেই যেন সব অচল।
লকডাউন নামক বেড়াজালে যেন সবাই আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশও লকডাউনের আওতাভুক্ত।সরকার সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানিয়ে
ঘরেই দিন যাপন করছে মধ্যবিত্তরা।মধ্যবিত্তদের চাকুরি কিংবা প্রাত্যহিক কর্মের ওপর ভর করেই দিন
অতিবাহিত হতো,সংসার চলতো।দীর্ঘ অনেকগুলো প্রহর কেটে গেল তাদের চাকুরি নেয়,উপার্জনের কোন
মাধ্যমও নেয়।তারা সব পরিস্থিতি, প্রতিকূলতা হাসি মুখে বরণ করে নিচ্ছে।মুখ ফোটে কষ্টের কথা কারো নিকট
শেয়ারও করে না,গরীবের ন্যায় কারো কাছে হাতও বাড়ায় নি।মধ্যবিত্তদের কাছে আত্মসম্মান অনেক বড়
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তাহলে কিভাবে চলছে তাদের লকডাউনে চাকুরিহীন, উপার্জনহীন সময় গুলো?
করোনাকালে গরিবের জন্য খাদ্য ও অর্থ সহায়তা আছে৷ উচ্চবিত্তের জন্য আছে শিল্পের প্রণোদনা৷ কিন্তু মধ্যবিত্তের জন্য কী আছে?
বিশ্বব্যাংক আর গবেষকরা মধ্যবিত্তের একটা চেহারা দাঁড় করিয়েছেন আয় অথবা ক্রয় ক্ষমতা দিয়ে৷ কিন্তু বাংলাদেশে এই করোনায় ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত চেনা যাচ্ছে ভাড়া বাড়ি ছেড়ে গ্রামে যাওয়ার মধ্য দিয়ে৷ কারণ, মধ্যবিত্ত ত্রাণের লাইনে দাঁড়াতে পারেন না৷ অভাবের কথা মুখ ফুটে বলতেও পারেন না৷ মধ্যবিত্তের অবস্থান মাঝখানে৷ তাই না পারে নীচে নামতে , না পারে উপরে উঠতে৷ এই করোনাকালে তাই সে হাঁসফাঁস করছে মধ্যবিত্ত৷
এখন আমরা যাদের দেখছি, তারা সংজ্ঞায়িত হয়েছে মধ্যবিত্তের প্রথম টায়ার হিসেবে৷ তবে এই করোনা যদি দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে আরো পরের টায়ারেও আঁচ লাগবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা৷

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ খানা জরিপ অনুযায়ী করোনার আগে বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ২০.৫ ভাগ দারিদ্র্য সীমার নীচে ছিল৷ আর চরম দরিদ্র ছিল ১০ ভাগ৷
বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, এক জনের দৈনিক আয় এক ডলার ৯০ সেন্ট হলে ওই ব্যক্তিকে দরিদ্র ধরা হয় না৷ এর নীচে হলে দরিদ্র৷ এখন মধ্যবিত্তের আয়সীমা কত? এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বলছে, এক ব্যক্তির ক্রয় ক্ষমতা (পিপিপি) যদি প্রতিদিন দুই মার্কিন ডলার থেকে ২০ মার্কিন ডলারের মধ্যে হয় তাহলে তাকে মধ্যবিত্ত বলা যায়৷ এই হিসেবে তারা বলছে, বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত হলো তিন কোটি ৭ লাখ৷ বিশ্বব্যাংকের মধ্যবিত্তের আয়ের হিসেবটি একটু বেশি৷ যাদের প্রতিদিন আয় ১০ থেকে ৫০ ডলার, তারা মধ্যবিত্ত৷
তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দুই থেকে চার ডলার প্রতিদিনের আয় হলেই মধ্যবিত্ত৷ সেই হিসেবে যার মাসিক আয় ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা সেই মধ্যবিত্ত৷ এটা বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৩০ ভাগ৷ ১৬ কোটি মানুষের হিসেবে সংখ্যাটি দাঁড়ায় চার কোটি ৮০ লাখ৷
বিআইডিএস-এর সাম্প্রতিক জরিপে বলা হচ্ছে, করোনায় এক কোটি ৬৪ লাখ মানুষ নতুন করে গরিব হয়েছে, দারিদ্র্য সীমার নীচে নেমে গেছে৷ তাই এখন দেশে গরিব মানুষের সংখ্যা পাঁচ কোটির বেশি৷

লেখকঃ জুবায়েদ মোস্তফা
শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..