মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৩:২৩ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
অক্টোবর-নভেম্বরে জবির দ্বিতীয় সমাবর্তনের আশ্বাস জবি উপাচার্যের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিককে মারধর করল সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগ পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত পাবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ডন-সোহাগ পরিষদ আজ মহান স্বাধীনতা দিবস দুমকিতে গণহত্যা দিবস পালিত প্রবাসী সোহেলের অর্থায়নে ২’শ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের ইফতার বিতরণ জবি ডিবেটিং সোসাইটির উদ্যোগে ‘ডিবেট প্রিমিয়ার লীগ’ প্রতিযোগিতা ভেড়ামারায় রহিমা আফছার যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া সংস্থার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন পাবনায় “আমরা বহুজন” স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ  চকরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক অভিযান অপহরণ চেষ্টা মামলায় অবশেষে চকরিয়া থানা পুলিশের জালে কিশোরগ্যাং লিডার আরফাত ভেড়ামারা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩৩তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ পদ্মা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নেতৃত্বে রহিম ও বাধন কক্সবাজারের পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ভেড়ামারা সরকারি কলেজে ৩৩তম বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা’র পুরস্কার বিতরণ ও নবীন বরণ পর্যটককে ছুরিকাঘাত, কক্সবাজারে ৫ ছিনতাইকারী আটক চকরিয়ার বরইতলীতে চলছে ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য আল্ হেরা মডেল একাডেমির প্রাথমিক (সরকারি) বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠান একদন্ত শেখ রাসেল স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর চ্যাম্পিয়ন ২ নং ওয়ার্ড ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত দুমকিতে রাস্তার উদ্বোধন চকরিয়ায় বাস ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ চকরিয়ার হারবাংয়ে সড়কের পাশের সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

কেমন কাটলো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এবারের ঈদ?

নুসরাত মিলি, সম্পাদক, শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৬ মে, ২০২০
  • ৫৩৪ ০০০ বার

কেমন কাটলো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এবারের ঈদ? জানার চেষ্টা করেছেন ‘বাংলাদেশ সারাবেলা‘ এর শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক সম্পাদক নুসরাত মিলি।

নুসরাত মিলি
সম্পাদক, শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক,বাংলাদেশ সারাবেলা।
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ হলো ঈদ।
প্রতিটি পরিবার নিম্নশ্রেণী থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত, প্রত্যেকের মনে আনন্দ নিয়ে আসে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান-ঈদ। প্রতিটি স্তরের মানুষ অপেক্ষা করে থাকে পুরো বছর ধরে।
আমরা শিক্ষার্থীরাও তার ব্যতিক্রম নয়।
কিন্তু এবার?!?

 


আমাদের চারপাশে এক অদৃশ্য শত্রুর সাথে লড়ে চলেছি আমরা। পুরো বিশ্বে যখন শোকের মাতম ঠিক এমনই সময়ে এসেছে ঈদ। ঈদ মানেই যে আনন্দ, সে তো খুশির বার্তা নিয়েই আসে। সব দু:খ গ্লানি মুছে দিতেই তো তার আগমন। সেই আগমনী বার্তা কে গ্রহন করে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে শুধু উদযাপনের চেষ্টা।
আর সে কাজে সহায়তা করেছে প্রযুক্তি, যা কিনা দুরুত্বের সীমা ঘুচিয়ে আমাদেরকে কাছে এনেছে, যা করোনা মুক্ত।
ঘরে থেকে কাছে থাকি এই চেতনাকে মেনে নিয়েই ঈদ উদযাপন খারাপ ছিল না। প্রকৃতি ঋনী করে রাখে না বলে জনশ্রুতি আছে।আমরা তাকে যতটুকু দিয়েছি সে সেটুকুই আমাদের ফিরিয়ে দিচ্ছে।তাকে যা দিয়েছি সেটা অদৃশ্যমান ছিল। কিন্তু তার ফেরত প্রদান দৃশ্যত হয়ে গ্রাস করে নিয়েছে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ঈদের দিনটি কেমন কাটলো, তা জানার চেষ্টা করেছি।

 

মহিন উদ্দিন হায়দার চৌধুরী,
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

মহামারি করোনার জন্য যখন জনজীবন বিপর্যস্ত,ঠিক তার মাঝেই এলো মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। জন্ম থেকে দেখা প্রতিটি ঈদের চেয়ে ভিন্ন এক ঈদ কেটে গেলো আমাদের সবার মাঝে। ভিন্নরকম এর মাঝে যে নতুন কিছু পাওয়া থাকে তা এইবারের ঈদ পালনের মাঝে উপলব্ধি করলাম।যতটুক মনে পড়ে এস.এস.সি. পরীক্ষার পর থেকে চাঁদ রাতে সব সময় বন্ধুদের সাথে বাড়ির বাইরে গিয়ে আড্ডা দেওয়া হত।হ্যা, বলে রাখা প্রয়োজন আমার প্রতিটি ঈদে পালন করা হয়েছে গ্রামে, ২/৩ টি ঈদ ছাড়া । এইবার করোনা পরিস্থিতির জন্য সেটা কোন ভাবেই সম্ভব ছিল না।সেই কারনেই হয়তো পেয়েছিলাম ছোট বেলার ঈদ উদযাপনের আনন্দ। বাড়ির ছোটদের সাথে পটকা ফাটানো, রাত্রিতে ঘুড়ি উড়ানো,বাড়ির সবার সাথে আড্ডা, যেমনটা ছিল সেই ছোটবেলায়।তবে সবচেয়ে যে জিনিসটার অনুপস্থিতি অনুভব করেছি সেটা হলো করোনা পরিস্থিতির জন্য এইবার বাড়িতে অনেকেই আসতে পারে নাই।সেই জন্য কিছুটা হলেও সবকিছু খালি খালি লাগছিলো। তবে মনে রাখতে হবে যুগটা হল তথ্যপ্রযুক্তির। তাই চাইলেই কাউকে দূরে রাখা যায় না। যথারীতি সবার সাথে দিনভর ভিডিও কলে আলাপন, আড্ডা।এইতো এইভাবেই কেটে গেল ঈদের সময়টুকু।সকালে ঈদের জামাত শেষ করে ছোট একটা ঘুম ও হয়ে গেছে।প্রতিবারই ঈদ হয়েছে প্রিয় ক্যাম্পাসের প্রিয় মানুষগুলির থেকে দূরে।তবে এইবার সৌভাগ্যক্রমে কিছুটা সময় হলেও কাটাতে পেরেছি ক্যাম্পাসের একজন প্রিয় মানুষের সাথে।

 

ফারহানা নওশিন তিতলী,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদুল ফিতর মুসলমানদের ধর্মীয় মহোৎসব। তবে অন্যবারের ঈদের চেয়ে এবছরের ঈদটা একটু অন্যরকম। কারণ এবার ঈদের অানন্দ ভাগাভাগি করার কোন সুযোগ নেই। মহামারী করোনা ভাইরাসের জন্য সামাজিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ঈদের আনন্দ কেউই উপভোগ করতে পারেনি। বাড়িতে এবার আত্মীয়স্বজনদের কোন সমাগম ছিলো না। আমরাও কোন অাত্মীয়স্বজনের বাসায় যেতে পারিনি। ফলে বাড়িতে উৎসব মুখর কোন পরিবেশ ছিলোনা। বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা দিতে পারিনি। প্রথমে একটু মন খারাপ হয়েছিলো।তবে মনকে স্বান্তনা দিয়েছি এভাবে, যেসব পরিবারে করোনা রোগী রয়েছে আবার যেসব পরিবার করোনার ছোবলে তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছে তাদের কথা চিন্তা করে। একবারও কি আমরা চিন্তা করেছি ঈদ উদযাপন করার মতো কোন মানসিক অবস্থাতেই তারা আছে কিনা? সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত যে আমরা এখনও সুস্থ আছি। একটু অপ্রাপ্তি যদি আবার আমাদের স্বভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেয় তাহলে এতটুকু ছাড়তো দেওয়ায় যায়। আসুন পরবর্তী ঈদ যাতে স্বাভাবিক ভাবে উদযাপন করতে পারি সেজন্য হলেও এবার ঘরেই থাকি।

 

সিফাত সাব্বীর,
বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ।

ঈদের ছুটি বরাবরই অনেক আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে।
স্কুল জীবন থেকেই অনেকটা সময় অপেক্ষা করার পরই পেতাম ঈদের ছুটি।
কিন্তু এবার আর তা হয়ে উঠলো না।
কোভিড-১৯ তথা করোনা ভাইরাসের কারণে যেন সব মাটি হয়ে গেল।
স্বাভাবিক বন্ধের অনেক আগেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। প্রায় দুই মাস বাসায় বসে আর কিইবা করার?
কিন্তু ভাল লেগেছে অনেকটা সময় পর পরিবারকে সময় দিতে পেরে।
একসাথে হয়তো সময় কাটানো হয়নি অনেক দিন।কিন্তু করোনার জন্য নিত্তদিনের বাইরের সব কাজ বন্ধ।
অনেকটা সাবধানতার পরও কিছুটা আতঙ্ক তো ছিলই।
করোনা যেহেতু শুধু আমাদের দেশেরই না,বরং বৈশ্বিক একটা সমস্যা, আশা করি সব ঠিক হয়ে যাওয়ার পর পৃথিবীতি মানুষ আবার পাবে নতুন উদ্দ্যমতা।
আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ততার সময় হয়তো একটু ব্রেকের দরকার ছিল।কিন্তু করোনা হয়তো আমাদের শিক্ষা দিলো প্রকৃতির প্রতি সচেতনতা আরো বাড়াতে হবে।
তবে আশা করি অতি দ্রুত সুস্থ্য পৃথিবীতে ফিরবো আমরা।

 

তানিয়া সুলতানা,
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতি বছরের মতো এবারের ঈদটা ছিলো একটু ভিন্ন। কারন আমরা সবাই করোনা ভাইরাস থেকে বাচঁতে ঘরে থেকেই ঈদ পালন করেছি।তবে প্রতিবারের মতো চাঁদ রাতে চাঁদ দেখা,মেহেদী পরা,জম্পেশ খাওয়া দাওয়া,সালামি পাওয়া এগুলোর কমতি ছিলো না।তবে ছোটবেলার ঈদের অনুভূতিটাই অন্যরকম!রোজার শুরু থেকেই একটা অানন্দ-অানন্দ অনুভূতি কাজ করতো।মাথা থেকে পা পর্যন্ত সাজানো চাই,বাবার হাত ধরে ঈদগাহে যেতে তো হবেই।কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে ছোটবেলার মতো অনুভূতিগুলো আর কাজ করেনা।তবুও এই দূর্যোগে পরিবারের সবার সাথে সুস্হভাবে ঈদ পালন করেছি এটাই অনেক বড় পাওয়া।অনেক কিছু হয়তো অপূর্ণ থাকলো,কিন্তু অপূর্ণতার মধ্যেই ঈদটা ভালোই কেটেছে।পরের ঈদে সকল চাওয়া-পাওয়া পূর্ণতা পাবে ইনশাআল্লাহ।

 

জাহিদ হাসান,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

চারিদিকে হঠাৎ শব্দ বন্ধ হয়ে গেল,ফুটছে না আতশবাজি। ছোটদের যেন খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না।
হ্যাঁ,বলছি এই ইদের-ই কথা।এ যেন এক অন্যরকম ইদ।যেটা হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারি নি।

আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম।কি করব এই ইদে সেটা নিয়েও ভেবেছি,ভেবেছি নিরাপত্তার কথা।

তারই সূত্র ধরে, ৫ জন বন্ধু মিলে কথা বলেছিলাম মসজিদ কমিটির সাথে।
বলছি খিলক্ষেত ঢাকার একটি পাড়ার কথা।এখানে বেশিরভাগ মানুষই নিম্নবিত্ত। তাদের নিরাপদে কিভাবে নামাজ পড়ানো যায় তা নিয়ে ভাবতে থাকি আমিসহ আরও পাঁচ বন্ধু।
প্ল্যান অনুযায়ী শেষ ইফতার করে ছুটে যাই মসজিদে।পুরো তিন তলা মসজিদ সেভলন দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করি ৩ ঘন্টায়।
ফিরে আসি বাসায় ভোরে যে আমায় উঠতে হবে।
নতুন এ্যালার্ম সেট করে দিলাম এক ঘুম।

খুব ভোরে উঠে গোসল করে মাস্ক,জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে সবার আগে।

এরপর শুরু হলো কাজ।
জীবাণুনাশক দিয়ে প্রত্যেক মুসল্লির হাতে লাগিয়ে প্রবেশ,সাথে ছিল সেভলন পানি দিয়ে পা-ধোয়ার ব্যবস্থা।
প্রত্যেকের সেফটি এনশিওর করে ৩ ফুট দূরত্বে বসিয়ে প্রথম জামাত শেষ করলাম।এই ফাঁকে আমিও নিলাম পড়ে।
তারপর ঠিক একইভাবে ২য় জামাত শেষ করে ৫ বন্ধু ভালো লাগার একটা আনন্দ নিয়ে বাসায় ফিরলাম।

বাসায় এসেই আপনজোনদের খোঁজ নিতে লাগলাম।
স্মরণ করলাম কলেজের প্রিয় স্যার-ম্যামদের কথা।

আত্নীয়-স্বজনের পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শুরু বন্ধুদের সাথে ভিডিও কলে আড্ডা।

বাসায় অবস্থান করে তাদের সাথেই যেন কেটে গেল সময়।

মন থেকে বলছি এইরকম ইদ আর যেন না আসে আমাদের মাঝে।এক বছর পর যে শিশুকে হেক্সোসল দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করিয়েছি,সে যেন বলতে না পারে ভাইয়া আবার হেক্সিসোল দেন।
সুস্থ হয়ে উঠুক এই প্রিয় মাতৃভূমি,সুস্থ হয়ে যাক এই পৃথিবী।
ঘরে থাকি, সবাইকে সুস্থ রাখি।

রুম্মান হোসেন তুহিন,
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,দিনাজপুর।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বিগত কয়েকবছরের ইদ গুলোর থেকে এবারের ইদ সম্পূর্নই ব্যতিক্রম কেটেছে।ছিলো না ইদের আমেজটাও। কেনা হয়নি নতুন জামা,হয়নি বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা দেয়ার সুযোগ। এমনকি প্রতিবার ইদের নামাজে যেমন কাঁধে কাঁধ মিলেয়ে নামাজ আদায় করা এবং নামাজ শেষে কোলাকুলি করা,তার কিছুই করা হয়নি।দূর থেকে দাঁড়িয়ে সামান্য কিছু সময় কথা বলে জলদি ফিরতে হয়েছে বাসায়। হয়নি কোনো আত্বীয়-স্বজনের বাসায় ঘুরতে যাওয়াও। এছাড়া ইদ ছুটি শেষে মনভার করে আবারো বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার যে তাড়া থাকে এবার সেটাও নাই। তাই এবারের ইদ ফুল-পাতা ছাড়া একটি বৃক্ষের মতই নির্জিব লেগেছে আমার কাছে।

মোঃরিমন ভূঁইয়া,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ঈদ মানেই আনন্দ। যদিও এবারের ঈদে তার অনেকটাই ব্যতিক্রম।সাধারণত ঈদের পূর্নতা পায় সেমাই-মিষ্টি খাওয়া,ঈদের বড় বড় জামাআতে অংশগ্রহণ এবং সবশেষে পরিবারের সবাই একসাথে ঘুরতে যাওয়ার মাধ্যমে। যেখানে এবারের ঈদ ছিলো পুরোটাই ঘরোয়া পরিবেশের ঈদ।পরিবারের সবাই একসাথে ঈদ করতে পারলেও কোথাও যেনো একরাশ স্তব্ধতা,ভীতি সবার মাঝে কাজ করেছে। এবারের ঈদ যেনো মানুষের মনের খোঁড়াক যোগাড় করতে ব্যর্থ।যদিও পরবর্তী ঈদগুলো সুন্দরভাবে কাটানোর জন্য একটি ঈদ আনন্দ বিসর্জন দিয়ে ঘরে থাকা। ঈদের নামাজ, খাওয়া-ধাওয়া,ঘুম এভাবেই সীমিত পরিসরে কেটেছে আমার এবারের ঈদ।

তাসমির রাইয়ান লাবিব,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,
সালনা, গাজীপুর।

সেই স্কুল জীবনের শুরু থেকে ‘ঈদের ছুটি পাবো’, এ যেনো এক অন্যরকম অনূভূতি। ঈদের ছুটির জন্য অপেক্ষা করেনি এমন মানুষ খুজে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু এ বছরের সে অনূভূতিতে ভাটা পড়লো করোনা ভাইরাসের(COVID-19) কারণে। দুই মাসের বেশি সময় থেকে সব যেনো থমকে গেছে। ঈদের ছুটির অনেক আগেই সাধারণ ছুটি ঘোষণায় ঈদের ছুটির আমেজটা এবার আর নেই।
এবারের ঈদুল ফিতর টাও আলাদা। ঈদগাহে সবার সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে নামাজ পড়া, নামাজ শেষে কোলাকুলি, বন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরা সবই বন্ধ। এক অদৃশ্য বেড়িতে বাধা সব ঈদের দিনের সাধারণ কাজগুলো।
শিক্ষার্থীদের সবার ইচ্ছা থাকে পড়াশোনা থেকে কিছুদিন বিরতি নিয়ে নিজের মতো কিছুদিন পার করার। কিন্তু এবার যেনো সবাই অস্থিরতা বোধ করছে সব কিছু আগের মতো অবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য।
এতসব হতাশার মাঝেও একটা জিনিস যেটা করোনা ভাইরাস আমাদের শিখিয়েছে তা হলো পরিবারকে সময় দেওয়ার গুরুত্ব। সবার সাথে সবার সম্পর্ক দৃঢ় করার এর চেয়ে ভালো সুযোগ হয়তো পাওয়া যাবে না। সবশেষে আশা করি একদিন সব ঠিক হবে। ফিরে যাবো আবার সুস্থ সমাজে, বুক ভরে শ্বাস নেবো এক সুস্থ পৃথিবীতে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..