শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫২ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঝিনাইগাতী’র সভাপতি নাজমুল, সম্পাদক জিম পাথেয় এর সভাপতি মামুন, সম্পাদক শারীফুল ইসলাম “পহেলা বৈশাখ ও সাম্প্রদায়িক বিতর্ক “ ঈশ্বরদীর নওদাপাড়ায় ৪র্থ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ঈদের শুভেচ্ছা জানালো রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সহস্রাধিক সাইটেশনের মাইলফলক স্পর্শ করলেন রবীন্দ্র উপাচার্য  ইদের পরেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি হবে: শেখ ইনান প্রথম বর্ষে ভর্তিপরীক্ষা বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত মৌলবাদ জঙ্গিবাদ মূলোৎপাটন ও বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মানববন্ধন নোবিপ্রবির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর যবিপ্রবিতে পিএইচডি সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসনের নিমিত্ত অংশীজনের সভা অনুষ্ঠিত  যশোরে সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে যবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা সবুজ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তরুণদের ‘মিশন গ্রিন বাংলাদেশ’ ডিআইইউ’র ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কারের প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে মানববন্ধন  স্বাধীনতা দিবসে ইবির খালেদা জিয়া হলে আলোচনা সভা ও দোয়া   রবির কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষার্থী কল্যাণ সমিতির দায়িত্বে জ্বীম-মনির নানা আনুষ্ঠানিকতায় যবিপ্রবিতে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত রবির বগুড়া জেলা শিক্ষার্থী কল্যাণ সমিতির দায়িত্বে সোয়েব-সমুদ্র রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন  স্বাধীনতাকে নিয়ে ববি শিক্ষার্থীদের ভাবনা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগার্ডকে স্থানীয় যুবকের মারধর  ববিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত চকরিয়ার মালুমঘাটে ইফতারের পূর্বে যুবককে তুলে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা যবিপ্রবির তীর্থ কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

কোভিড-১৯ ও নীরব বিশ্ব

বাংলাদেশ সারাবেলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২০
  • ৪৫৭ ০০০ বার

তৃতীয় সহস্রাব্দের ২১শ শতকের ২০২০ এর দশকে বিশ্বব্যাপী মানুষের কাছে সর্বোচ্চ ভয় ও আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস।বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম দেওয়া হয়েছে কোভিড-১৯।।করোনা ভাইরাস অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি ভাইরাস। করোনা ভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন ভাষার করোন থেকে নেওয়া,যার অর্থ-‘মুকুট’। দ্বিমাত্রিক সঞ্চাচলণ ইলেকট্রনিক অণুবীক্ষণ যন্ত্রে এটিকে অনেকটা মুকুট বা সৌর করোনার মত দেখায় স্বরুপ এই নামকরণ করা হয়েছে।আকারে অত্যন্ত ক্ষুদ্র প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি বিশ্বে মহামারী রুপ ধারণ করেছে।করোনা একটি ছোঁয়াচে ভাইরাস।এর সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হলো-এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের সংক্রমণের ব্যাপারে অবগত হওয়ার পূর্বেই তার দ্বারা তার পরিবার,আত্মীয়-স্বজন,পাড়া-প্রতিবেশী,বন্ধু-বান্ধব সহ সংক্রমিত হতে পারে আরো অনেক মানুষ। করোনা ভাইরাস মূলত হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি কাশিতে যে জলীয় কণা(ড্রপলেট) বেরিয়ে আসে তার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস।তবে আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো অঙ্গে যদি ভাইরাসের উপস্থিতি থেকে থাকে এবং সুস্থ ব্যক্তি সে অঙ্গের সংস্পর্শে এসে থাকে এবং সেই অঙ্গ মুখে,নাকে,চোখে স্পর্শ তাহলে তিনি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন। এ ভাইরাস মানুষের মুখ, নাক ও চোখ দিয়ে দেহে প্রবেশ করে শ্বাস তন্ত্রের মাধ্যমে ফুসফুসে পৌঁছায় এবং ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং পরবর্তীতে মৃত্যু হতে পারে।পাশাপাশি এই ভাইরাস কিডনি সহ দেহের অনেক অঙ্গ বিকল করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।অন্যতম ভয়ঙ্কর দিক হলো,দেহে প্রবেশ করে এ ভাইরাসের আরো বেশি সংখা বৃদ্ধি করার ক্ষমতা রয়েছে।গবেষকরা বলেছেন-দরজার হাতল, প্লাস্টিক ও লেমিনেটেড ওয়ার্কটপ ও কঠিন বস্তুর ওপর দীর্ঘ সময়(৪৮ ঘন্টা)পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে ভাইরাস।তাছাড়া কাপড়ের উপর এ ভাইরাস ৪ ঘন্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। ভাইরাস আক্রান্ত এসব জিনিস স্পর্শের পর যদি হাত পরিষ্কার না করে মুখ,চোখ,নাক স্পর্শ করেন তাহলে ব্যক্তির দেহে ভাইরাস প্রবেশ করে।মোট কথা- করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা যত বেশি,এটি প্রতিরোধ করার উপায় ততই কম।করোনা ভাইরাসের গতি যেন বেড়েই চলেছে-কমছে পৃথিবীব্যাপী মানুষের সংখ্যা।করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে ৫ দিন সময় লাগে এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে।লক্ষণ হিসাবে প্রথমে সর্দি-কাশি,জ্বর,গলাব্যাথা এবং পরবর্তীতে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।বিজ্ঞানীরা বলছেন-করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা মোট আক্রান্তের ২ শতাংশ। তবুও এ ভাইরাস যেন পৃথিবীর বুকে আঁধার ঘনিয়ে এনেছে।করোনা ভাইরাসের প্রভাবে পৃথিবীর আকাশ-বাতাসে বাড়ছে ঘন উষ্ম দীর্ঘশ্বাস।বিশ্বব্যাপী ২৫ লক্ষেরও অধিক মানুষ করোনার ছোবলের শিকার।প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ১ লক্ষ ৭৮ হাজারেরও অধিক মানুষের।সময়ের সাথে করোনা ভাইরাস এগিয়ে যাচ্ছে প্রবল গতিতে,শুধু পিছিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব।

করোনা ভাইরাসের ভয়ঙ্কর ছোবলে পুরো বিশ্ব আজ থমকে গেছে। পৃথিবী নামক এ গ্রহটাকে দাবড়িয়ে বেড়ানো বর বড় রাষ্ট্র গুলো আজ মুখ থুবরে পড়েছে, নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য,ইতালি,স্পেন,ফ্রান্স,জার্মানি ইত্যাদি বড় বড় রাষ্ট্রগুলো আজ লাশের নগরী।কিছুই যেন করার নেই।লকডাউন-মানুষ সব ঘরে বন্দী।কেবল মাত্র উন্নত দেশগুলো নয় মধ্য আয় বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে করোনার প্রকোপ যেনো আরও ভয়াবহ।যেখানে বড় বড় দেশগুলো করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে,সেখানে ছোট বা উন্নয়নশীন দেশগুলোর করোনার নির্মম ছোবলে যেন মেরুদন্ড ভেঙ্গে যাচ্ছে।করোনা বিশ্বের অর্থনীতির বুকে পা দিয়ে দাড়িয়েছে।আক্রান্ত সকল দেশসমূহের অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে।ধ্বংসের মুখে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি।করোনা যেন কাল হয়ে দাড়িয়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের জীবনেও।লকডাউনে সবাই খাঁচার ন্যায় ঘরে বন্দি।কাজ নেই,খাবার নেই।করোনায় আক্রান্ত ব্যতিতই তাদের জীবন যেন হুমকির মুখে।উন্নত দেশগুলো যদিও তাদের জনগণকে অর্থ-খাবার দিয়ে সহযোগিতা করছে কিন্তু বাংলাদেশ সহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে এই সংকটময় সময়ে তা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য।তবুও দেশের সরকার সর্বসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন গরিব-দিনমজুরদের মুখে খাবার তুলে দিতে কিন্তু দেশের কিছু অসৎ মানুষের জন্য যথার্থ মানুষেরা এই সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।এই সংকটময় সময়ে তারাই হয়ে দাড়িয়েছেন দেশের কাল।অন্যদিকে করোনা একাই শাষণ করছে পুরো বিশ্ব।করোনা নিয়ে মানুষের মনে কত না প্রশ্নবিদ্ধ।করোনার থাবায় মানুষ অন্ধকারে হাতরাচ্ছে।প্রকৃতি কে নিয়ে খেলা করা প্রাণীরা আজ অবরুদ্ধ -মুক্তি পেয়েছে রুদ্ধ জীবন।মাটি থেকে সৃষ্ট মানব স্বার্থের জন্য জন্য মাটিকেই দূষিত-কলঙ্কিত করেছে। পৃথিবী জুড়ে মাটি আজ ক্ষুধার্ত তাই মেতে উঠেছে লাশ ভক্ষণের নেশায়। ক্ষুদ্র একটি ভাইরাসের কাছে অসহায় বিশ্ব।করোনার কারনে বিশ্ব যে সময়টা পিছিয়ে যাচ্ছে তা কাটিয়ে উঠতে হয়তো লেগে যাবে কয়েক বছর।বিশ্বব্যাপী স্কুল-কলেজ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অফিস-আদালত সহ জরুরী সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্যতিরেকে সব বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।কোনো শক্তি-পরাশক্তি লড়াই করার ক্ষমতা রাখে না।লড়াই করে যাচ্ছেন ডাক্তার,নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা।এরই মধ্যে করোনার শিকার হয়েছেন তাদের অনেকেই,মৃত্যুবরণ করেছন বেশ কয়েকজন ডাক্তার।কোনো ভ্যাকসিন-ঔষুধ-চিকিৎসা-ই করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারছে না।করোনার বিরুদ্ধে বিশ্বের সমস্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়েছে।বিশ্বের বড় বড় গবেষণা কেন্দ্রে গবেষকরা দিনরাত নিরলস ও পূর্ণ উদ্দ্যমে গবেষণা করে যাচ্ছেন করোনার ঔষুদ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য। বর্তমানে ঔষুধ একটাই-সতর্কতা।এর জন্য বিশ্বের করেনা আক্রান্ত প্রতিটি দেশে ঘোষণা করা হয়েছে লকডাউন।লকডাউন পরিচালনা করতে রাস্তায় রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।যারা মানুষের সেবায় জীবন বাজি রেখে ২৪ ঘন্টা শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।তদেরও অনেকে শিকার হয়েছেন করোনার।তাছাড়াও সতর্কতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন প্রচারণা চালানো হচ্ছে।এছাড়াও বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সেচ্ছাসেবীরা মানুষের সতর্কতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন।যে যার সাধ্যমত মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন।করোনার কাছে পুরো বিশ্ব আজ নিস্তব্ধ। সৃষ্টিকর্তা সদয় না হওয়া পর্যন্ত হয়তো নিরবেই সব দেখে-সয়ে যাবে বিশ্ববাসী।

আমরা জেনেছি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে একমাত্র হাতিয়ার হলো সতর্কতা। বিজ্ঞানীরা বলেছেন-প্রতিদিন হ্যান্ড ওয়াশ বা স্যানিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন হাত ভালো করে ধুতে হবে ২০ সেকেন্ড ধরে।হ্যান্ড ওয়াশ না স্যানিটাইজার না থাকলে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাত না ধুয়ে কোনো কিছু খাওয়া বা পান করা যাবে না এবং হাত দিয়ে মুখ,নাক,চোখ স্পর্শ করা যাবে না।পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা যাবে না।জ্বর,ঠান্ডা,সর্দি-কাশি দেখা দিলে বাড়ির অন্য সদস্যদের থেকে দুরে থাকতে হবে এবং যথাসম্ভব গরম খাবার,গরম পানি-চা পান করতে হবে। গলাব্যাথা বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে সতর্ক হয়ে হাসপাতালে যেতে হবে যাতে অন্য কেউ সংক্রমিত না হয়।

পরিশেষে,আমরা যে যার অবস্থানে সতর্ক থাকবো।সরকারের বিধি নিষেধ মেনে চলবো।প্রার্থণা করবে- আমাদের এই পৃথিবী নিস্তব্ধতা কাটিয়ে আবার যেন চাঞ্চল্যতা ফিরে পায়।

 

 

লেখকঃ সাগর শিকদার, উদীয়মান কবি ও লেখক।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..