শিক্ষকের সাথে অসদাচারণ ও তদন্তে অসহযোগিতার দায়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। অপরদিকে অবাধ্যতা, গুরুতর অসদাচারণ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উস্কানি প্রদানসহ একাধিক অভিযোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এক শিক্ষককে বরখাস্ত ও দুইজন শিক্ষককে অপসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী গত সোমবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছে। আর শিক্ষকরা উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানা গেছে।
বহিষ্কারাদেশের প্রতিবাদে আজ (সোমবার) অনলাইন সংবাদ সম্মেলন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। সমাবেশে তারা প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। তারা ২৮ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দেশব্যাপী সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপযুক্ত স্থানে একযোগে দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক জানায়, ‘‘আন্দোলনে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবী তুলে ধরার ‘অপরাধে’ ২৩ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ১ জন শিক্ষককে বরখাস্ত এবং ২ শিক্ষককে অপসারণসহ ২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে, যা যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক তাদের দাবিসমূহ তুলে ধরে। সেগুলো হলো:
১। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শাস্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
২। প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ সব অভিযোগের তদন্ত করতে হবে।
৩। অযোগ্য-দুর্নীতিবাজ ভিসি নিয়োগ বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনাবিধিতে গণতন্ত্রায়ণ ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
৪। শিক্ষার্থীদের পক্ষে দাঁড়ানোর ‘শাস্তি’ হিসেবে শিক্ষকদের ভয় দেখানো বন্ধ করতে হবে।
Leave a Reply