শিক্ষকের সাথে অসদাচারণ ও তদন্তে অসহযোগিতার দায়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী তাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগকে উপেক্ষা করে সাজা কার্যকর হওয়ার আগেই তারা এই কর্মসূচি শুরু করেছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) এ বহিষ্কারাদেশের ঘটনাকে প্রতিহিংসা এবং দুরভিসন্ধিমূলক উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ।
বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মিখা পিরেগু এবং সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, “শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া না মেনে বানোয়াট অভিযোগে উল্টো তাদেরকে বহিষ্কার করার মধ্য দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে হুমকি প্রদান করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নিপীড়নসহ একাধিক অভিযোগ থাকার পরও রাষ্ট্র যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ না করায় তিনি এই দুঃসাহস দেখানোর শক্তি সঞ্চয় করতে পেরেছেন।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পাঠ্য বই এবং ক্লাসরুমে আবদ্ধ না থেকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে শামিল হওয়াও একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে সমর্থন জানানো শিক্ষকদের বরখাস্ত করার পাঁয়তারা এই মুহূর্তে বন্ধ না করলে, তার চড়া মূল্য দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কন্ঠরোধের এই ঘৃণ্য প্রচেষ্টা থেকে প্রশাসনকে সরে আসারও আহব্বান জানান তারা। অন্যথায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারী দেন।
এদিকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানান আন্দোলনরত দুই শিক্ষার্থী। আজ (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত ৫ম দিনে গড়িয়েছে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন কর্মসূচি।
Leave a Reply