ছোট বোনের স্বামীর ষড়যন্ত্রের শিকার আমি, এমনটিই দাবি করলেন লিখিত সংবাদ সম্মেলনে রাসেল। গত ১২ই সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের স্থানীয় পত্রিকাসহ বেশকিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার মোঃ রফিকের ছেলে রাসেলকে জড়িয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদটির শিরোনামে উল্লেখ ছিলো “দৃশ্যমান আয় নেই, মাদকের ছোয়ায় বিলাসী জীবন”” জেলা বাইক চোর সিন্ডিকেট সদস্য রাসেল অধরা! সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর পরই দৃষ্টিগোচর হয় রাসেল ও তার পরিবারের৷ পরে মানুষকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানিয়ে গত ১৩ই সেপ্টেম্বর লিখিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন রাসেল ও তার পরিবারের সদস্যরা। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠের মাধ্যমে তার অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি। তার লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইদের আমার বক্তব্যের শুরুতে সালাম ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। গত ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে আমার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার শিরোনাম ছিল “দৃশ্যমান আয় নেই” মাদকের ছোঁয়ায় বিলাসী জীবন” “জেলা বাইক চোর সিন্ডিকেট সদস্য রাসেল অধরা” যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও আমার জন্য মানহানিকর। এছাড়াও এ সংবাদে আরো উল্লেখ করা হয়, “থেমে নেই মাদক কারবার, আছে নিজস্ব বাহিনি। দখল করেছে সরকারি খাস জমি, রয়েছে অবৈধ অস্ত্র” যা খুব বেশি হাস্যকর ও বটে। কোন সাংবাদিক উড়ো খবরের ভিত্তিতে যখন প্রতিবেদন প্রকাশ করে তার প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্যের সাথে বাস্তবের কোন মিল থাকে না। তেমনিভাবে আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ও সেরুপ। প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, আপনারা আমার এলাকায় খোঁজ নিলে জানতে পারবেন আসলে আমি রাসেল ছেলেটি আদৌ কী এসব কর্মকান্ডে জড়িত আছি নাকি আমার আমার মানহানি করতে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোন কুচক্রীমহল আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে তা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। আমি অতি সাধারণ ঘরের একজন ছেলে। প্রথমত আমি কর্মজীবন হিসেবে পেকুয়ার শীলখালী এলাকায় পরবর্তীতে বরইতলী ও হারবাং এলাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের কর্মচারী হিসেবে কাজ শুরু করি। পরে গত ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখে আমি রাসেল সহ অপর দুইজন শেয়ারদার ফরিদুল আলম ও আমির হামজা নিশান সহ মোট তিন জন মিলে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে হারবাং আলীপুর ৭নং ওয়ার্ডের মোঃ মাসুকের কাছ থেকে একটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের লাইন ক্রয় করি। যার শেয়ারদার হিসাবে সেখানে আমার পুঁজি ছিল মাত্র ২ লক্ষ টাকা। এরপর আমরা ৩ জন সুন্দরভাবে এপর্যন্ত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। তার মধ্যখানে আমাদের বাড়ির গবাদি পশু গরু বিক্রি করে আমার মা-বাবা আমাকে একটি মোটর সাইকেল কিনে দেয়। যাতে বিভিন্ন জায়গায় যেতে যাতায়তের সুবিধা হয়। কিন্তু প্রতিবেদনে সে মোটরসাইকেল সহ আমার ছবি দিয়ে আমাকে কক্সবাজারের মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্য হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও আমার নেতৃত্বে যে একটি নিজস্ব বাহিনী ও নিজস্ব অস্ত্র আছে মর্মে যে কথাটি বলা হয়েছে তা রূপকথার গল্পকেও হার মানাবে। অন্যদিকে, আমাকে বানানো হয়েছে মাদক কারবারি এবং দখলবাজ। যার আংশিক মিল যদি আপনারা সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করে পেয়ে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাকে যে শাস্তি দেওয়া হয় তা মাথা পেতে নিবো। তবে, এসব কাল্পনিক তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ পরিবেশনের নেপথ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে আমার আপন ছোট বোনের স্বামী শাহারবিল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মুখলেচুর রহমান পাড়া এলাকার শহীদুল ইসলাম সোহেল। মূলত আমার ছোট বোনের স্বামী ও ছোট বোনের সাথে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হওয়ায় ছোট বোন তার সংসার থেকে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। এরপর আমাদের চেয়ারম্যান ছালেকুজ্জামান এর কাছে সে বিষয়ে একটি বিচার ও চলমান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মূলত আমার বিরুদ্ধে এসব প্রপাগন্ডা ছড়িয়েছে সে। আমি এসব বিষয়ে শিগ্রই আদালতের শরনাপন্ন হবো এবং আইনিভাবে মোকাবেলা করব। সেইসাথে আমার বিরুদ্ধে এমন মানহানিকর ও মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এদিকে, রাসেলের মা সাবেরা বেগম দাবী করেন, আমার মেয়ের স্বামী আমাদের কাছ থেকে তার দাবিকৃত টাকা পয়সা না পেয়ে আমার সন্তানসহ আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ- কোন সংবাদ প্রচারের আগে কুচক্রীমহলের দেওয়া তথ্যের সাথে বাস্তবতার আদৌ নুন্যতম সংশ্লিষ্টতা আছে কী তা অনুসন্ধান করে নিবেন। কারণ, আপনারা জাতীর দর্পন। আপনাদের দ্বারা প্রকাশিত একটি মিথ্যা সংবাদ একটি সাঁজানো গুছানো পরিবারকে মূহুর্তের মধ্যে ধ্বংস করে দিতে পারে। অন্যদিকে, রাসেলের ছোট বোন শহীদুল ইসলাম সোহেলের স্ত্রীর দাবি, আমার মা-বাবা ও ভাইকে ধ্বংস করতে আমার স্বামী উঠেপড়ে লেগেছে। আমার স্বামী শহীদুল ইসলাম সোহেল দীর্ঘ ৫ বছর আমাকে বিভিন্ন সময় নানান অজুহাতে আমাকে নির্যাতন করে আসলেও আমার পরিবারের কিছু করার ছিলো না। কারণ, আমাকে নির্যাতনের প্রতিবাদ আমার মা-বাবা ও ভাই করতে চাইলে সে নিজেকে আওয়ামিলীগের স্থানীয় নেতা পরিচয় দিয়ে আমার মা-বাবা ও ভাইয়ের উপর হামলা ও মারধর করেছে। আমি আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সঠিক বিচার দাবী করছি।
Leave a Reply