চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের শাহওমর দরগাহ রাস্তার মাথা এলাকার ভূট্টো নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে বনবিভাগে চলছে ত্রাসের রাজত্ব। তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বনবিভাগের জায়গা দখল। বনভূমি দখল পরবর্তী ছোট ছোট বাড়ি নির্মাণ করে বনবিভাগের জায়গাসহ নির্মাণকৃত বাড়ি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এছাড়াও বনভূমির জায়গা দখলপূর্বক বাড়ি নির্মাণ করে সেখানে চালাচ্ছে নানান ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড। এতো কিছুর পরেও সে আইনের হাতে রয়েছে অধরা। সরেজমিন গেলে দেখা যায়, চকরিয়া-মানিকপুর সড়কের বাদশার টেকের টার্নিংয়ের মানিকপুর সড়ক দিয়ে একটু সামনে গেলেই বনবিভাগের জায়গায় নির্মাণকৃত বাড়িতে দিনদুপুরে চলছে জুয়া খেলা ও ইয়াবা সেবন। এছাড়াও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বাড়িটি রাত হলে অপরাধীদের জন্য হয়ে উঠে নিরাপদ অভয়াশ্রম। এ বাড়িটি রাতের বেলা হয়ে যায় মিনি পতিতালয় আবার ডাকাতদের জন্য হয়ে যায় ডাক্তাতির সরঞ্জাম রাখার নিরাপদ আস্তানা। অন্যদিকে এলাকাবাসী আরো জানান, ভূট্টো এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব করছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। কারণ তার নেতৃত্বে রয়েছে “ভূট্টো বাহিনী” নামের একটি কিশোরগ্যাং গ্রুপ। পান থেকে চুন কসলেই শিকার হতে হয় তাদের হামলার। এদিকে সরেজমিন ঐ জায়গা পরিদর্শনের পর সাংবাদিকরা ভুট্টোর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এসব বিষয় অস্বীকার করে বলেন, এ বাড়ি সে নির্মাণ করেনি। তবে একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের রাজিব, মিনার, সোহেল ও আরফাতের নেতৃত্বে তারা মোট ১০জন সিন্ডিকেট করে বাড়ি নির্মাণ করে এ দখল কাজ চালাচ্ছে। তিনি এসবের বিষয়ে কিছু জানে না বলেও জানান। বনভূমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ ও অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনার বিষয়ে কাকারা বনবিট কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভূট্টো নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে চলছে বনভূমি দখল। এর আগেও বনবিভাগের জায়গা দখলকে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি মামলায় জড়িয়েছে সে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে পূনরায় তাকে বন মামলার আওতায় আনা হবে। তবে, আমাদের লোকবল কম হওয়াতে সেখানে আমরা সরাসরি অভিযানে যেতে শঙ্কায় থাকি। ইতিপূর্বে বনবিট কর্মকর্তা, কর্মচারীরা তার হামলার শিকার হয়েছে। বনভূমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করা জায়গাটিতে দ্রুত উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Leave a Reply