এমবিবিএসে গ্রেডিং পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানিয়েছে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, ভবিষ্যতে দেখা যাবে গ্রেডিংটাই সবার চোখে বেশি পড়বে। বর্তমান সিস্টেমটাই সুন্দর। এখন যারা ৮০ শতাংশের বেশি নম্বর পায়, তাদের লেখা থাকে গোল্ড মেডেল বা অনার্স মার্ক। যারা গোল্ড মেডেল পায় তখন তারা তাদের ভিজিটিং কার্ডে নামের পাশে লিখে গোল্ড মেডেল পাওয়া। যদিও বর্তমানে এটা কোনো প্রাধান্য নেই। তারপরও অনেকে এটা লিখেন। তখন রোগী দেখে, ওই চিকিৎসক ভালো সেবা দিক বা খারাপ সেবা দিক, তিনি গোল্ড মেডেল পাওয়া। আর বাকিরা একটু হলেও ছোট হয়ে থাকবে। আর যখন এ প্লাস, এ গ্রেড, বি গ্রেড এ পদ্ধতি চালু হবে, তখন এগুলো দেখে রোগী চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের উপর অনেক প্রভাব পড়বে। আমাদের অনেক রিটেইনার সিনিয়রকে দেখেছি, তারা যখন চাকরির জন্য যায়। ভাইবা বোর্ডে প্রথমেই সিভি খুলে দেখে সে রিটেইনার কিনা? এখানেই ছোট করা হয়। কিছু সরকারি চাকরি ছাড়া অন্যান্য প্রাইভেট সেক্টরে রিটেইনারদের মূল্যায়নই করা হয় না। অতএব জিপিএ এ পদ্ধতি বাতিল করা প্রয়োজন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি মনে করি, মেডিকেলে জিপিএ সিস্টেম বাতিল হওয়া প্রয়োজন। জিপিএ সিস্টেম মেডিকেলে ইনফেরিওরিটি-সুপিরিওরিটি কমপ্লেক্সকে বহুগুণে বাড়াবে। আনহেলদি কম্পিটিশান তৈরি করবে ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়াবে। মেডিকেল সিলেবাস এবং কারিকুলামের গুণগত মান পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রায়োগিক জ্ঞান অর্জনকে গুরুত্ব দিয়ে কারিকুলাম ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন প্রয়োজন। ভাইভা বোর্ডে কারও ইচ্ছে হলে অকৃতকার্য করিয়ে দেওয়ার জঘন্য সিস্টেম পরিবর্তন করে স্ট্যান্ডার্ড সিস্টেম প্রণয়ন হওয়া দরকার। আসল জায়গায় সংস্কার করুন। জিপিএ মেডিকেলে কোন গুণগত পরিবর্তন আনবে না। বরং কমপ্লেক্সিটি বাড়াবে।’
রাজধানীর ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গ্রেডিং সিস্টেম ভবিষ্যৎ চিকিৎসকদের জন্য ভালো কিছু হবে বলে মনে হয় না। কিছু চিকিৎসক এমবিবিএস পাস করে বিদেশ পড়তে যাবে। আর যারা দেশে থেকে যাবে তাদের জন্য এ পদ্ধতি অভিশাপ হয়ে দাড়াতে পারে।’
Leave a Reply