ডালডা, ক্ষতিকর রং ও চিনি মিশিয়ে তৈরী করা হচ্ছে খেজুর গুড়। এসব গুড় দেদারছে খাঁটি গুড় হিসাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। খবর পেয়ে নাটোরের বড়াইগ্রাম ও পাশের লালপুর উপজেলায় র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পাঁচ হাজার কেজি ভেজাল গুড় জব্দ করেছেন। একই সঙ্গে গুড় তৈরীর উপাদান হিসেবে রাখা এক হাজার কেজি চিনিও জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তিন ব্যাবসায়ীকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা শেষে ওই চিনি নিলামে বিক্রি করা হয়।
নাটোর র্যাব অফিসের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার এএসপি মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় বড়াইগ্রাম উপজেলার আটঘরিয়া ও পাশের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা। এ সময় ৫ হাজার কেজি ভেজাল গুড়, তিন কেজি হাইড্রোজ, এক কেজি টেক্সটাইল রং, পাঁচ কেজি ডালডা ও এক হাজার কেজি চিনি জব্দ করা হয়। পরে ভেজাল গুড় তৈরী, সংরক্ষণ ও বিক্রির অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উপজেলার আটঘরিয়া এলাকার আমজাদ হোসেন (৪৩) কে ২০ হাজার টাকা এবং ওয়ালিয়া এলাকার আইয়ুব আলী (৩৬) ও জলি বেগম (৩০) কে ৫০ হাজার টাকা করে এক লাখ জরিমানা করা হয়। লালপুর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাম্মী আক্তার এ আদালত পরিচালনা করেন। পরে জব্দকরা অন্যান্য আলামত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়েছে। একই সঙ্গে চিনিগুলো নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদেশে নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়েছে।
Leave a Reply