একদিকে চলছে রোজার মাস, অন্যদিকে প্রচণ্ড দাবদাহ। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় অধিকাংশ মানুষ চাইছেন একটু ফল খেতে। কিন্তু পানছড়িতে অন্যান্য নিত্য পণ্যের মতো পাল্লা দিয়েই বেড়েছে তরমুজ, ডাব, কলা, আনারসের দাম। বাজারে ক্রেতারা ফল কিনতে আসলেও দামের জন্য কিনতে পারছেন না অনেক ক্রেতা।
বুধবার (৫ মে) পানছড়ি বাজারের বিভিন্ন দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আকারভেদে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৫০০ টাকা, কলা প্রতি পিস ৭-১০ টাকা, আনারস প্রতি পিস ২০-১০০ টাকা আর প্রতি পিস ডাব ৬০ টাকা থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। কোনো কোনো বিক্রেতা ডাব একটু বড় হলেই তার দাম হাঁকছেন শত টাকা। যা স্মরণকালের সর্বোচ্চ হওয়ায় অনেকেই না কিনে ফিরে যাচ্ছেন।
বিক্রেতারা বলছেন, এই গরমে ডাবের চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু সেই চাহিদা অনুযায়ী ডাবের সরবরাহ অত্যন্ত কম। দীর্ঘ দিন ধরে খরার কারণে এবার নারকেল গাছে ফলন খুবই কম উৎপাদন হয়েছে। যে কারণে দাম অনেক বেশি।
কেউ কেউ বলছেন, ইফতারে মানুষ ডাবের পানি খেতে চায়। কিন্তু ডাবের সরবরাহ খুবই কম। এ কারণে ডাবের দাম বাড়তি।
ডাব বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, প্রচণ্ড খরায় এবার গ্রামের নারকেল গাছে ডাব কম ধরেছে। গ্রামের পর গ্রাম ঘুরেও কাঙ্ক্ষিত ডাব মিলছে না। অথচ প্রচণ্ড গরমে সেই ডাবের চাহিদাই বেশি।
শুধু ডাবই নয়, এই গরমে মৌসুমি ফল তরমুজের দাম শুরু থেকেই রয়েছে আকাশচুম্বী। পানছড়ির বাজারে তরমুজের সরবরাহে কোনো ঘাটতি না থাকলেও দামের কোন হেরফের হচ্ছে না।
বিক্রেতারা আরও জানান, রোজার কারণে হয়তো দাম কমছে না। তার ওপর যে হারে গরম পড়েছে তাতে তরমুজের দাম বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত কমার কোনো লক্ষণ নেই।
বিশেষ করে এবছর প্রায় টানা আট মাস বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নারকেল গাছে ডাব ধরে তা শুকিয়ে পড়ে যাচ্ছে। ফলে একদিকে ডাব ও নারিকেলের মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু ডাবের দাম বাড়তি থাকায় অন্যান্য পানি জাতীয় ফলের দামও রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এদিকে, এসব ব্যাপারে প্রশাসনের কোন নজরদারী না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পানছড়ির অধিকাংশ নাগরিক। দাম স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসনের নজরদারীও কামনা করেন তারা।
Leave a Reply