কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না! সেবা নিতে সেখানে পদে পদে ঘুষ দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক সেবাপ্রার্থী। ঘুষ দিতে না চাইলে সেবা প্রার্থীদের কোন কাজ করেনা তহশিলদার! ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার কাজল কুমার শীলের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে ঘুষ বাণিজ্য। ঘুষ না পেলে একটি ফাইলও ছাড়েন না তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি একজনের জমি আরেকজনকে খারিজ দিয়ে চেক কাটেন এবং সংশোধনের নামে মোটা অংকের টাকা দাবি করে থাকেন। ইতোমধ্যে পেকুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পিয়ন ছৈয়দ আলমের মাধ্যমে ঘুষের টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও ক্লিপ সাংবাদিকদের হাতে এসেছে। জানা গেছে, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদারের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ। ভূমি অফিসে গিয়ে তারা অসহায় হয়ে পড়েন। অনেকে দালালদের দিয়ে কাজ করিয়েছেন। অনেকে আবার টাকা দিয়ে প্রতারিতও হয়েছেন। দালাল টাকা নিয়েছে ঠিকই, তবে কাজ করে দেয়নি। সেখানে কথা বলে নানা হয়রানির কথা জানা যায়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নাম প্রস্তাব, সার্ভে রিপোর্ট, নামজারি, ডিসিআর সংগ্রহ, মিস কেস ও খাজনা দাখিল থেকে শুরু করে সবকিছুতেই পেকুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষের কারবার চলছে সমানতালে। জমির দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঘুষ লেনদেন! এখানে দালালদের সিন্ডিকেট অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, বৈধ কাজে গিয়েও প্রকৃত মালিকদের নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। অসাধু তহশিলদারকে ‘ম্যানেজ’ করে খারিজ পার করতে হয়। জমির মালিকরা টাকা দিয়েও জমি খারিজ করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দালাল উৎপাতও বেশি। সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। তবে টাকা দিলে তদন্ত প্রতিবেদন, সার্ভে রিপোর্ট আর নামজারি খতিয়ানের অবৈধ কাগজ বের করা কোনো ব্যাপারই না। অনুসন্ধানে জানা যায়, খাস জমি, বনের জমি, একজনের জমি অন্যের নামে নামজারি করে দেয়াসহ নানা অনিয়ম হয় পেকুয়া সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেকুয়া সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার কাজল কুমার শীলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করেন। তিনি বলেন, তার কার্যালয়ে ঘুষের কোন লেনদেন হয়না।
Leave a Reply