বিএনপি জামাতের সকাল সন্ধ্যা হরতালকে ঘিরে গতকাল ২৯ অক্টোবর (রোববার) সারাদেশে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। এ সময় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি জামাতের ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতালে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সারাদেশের জেলা, উপজেলা, নগর-মহানগর, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে শান্তি সমাবেশ পালিত হলেও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ক্ষেত্রে ঘটেছে তার ব্যতিক্রম। শান্তি সমাবেশে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজের নেতৃত্বে অন্যান্য নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি থাকলেও কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিকে অবজ্ঞা করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিরানুল ইসলাম অনুপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীদের। এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বেশকিছু নেতাকর্মী জানান, তিনি হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি’র পদটি দখল করে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে বিভিন্ন কর্মসূচির ডাক আসার পরও সবকটিতেই অনুপস্থিত থাকেন। এমনকি রাষ্ট্রীয় সকল প্রোগ্রামেও দেখা মেলেনা তার। এক কথায় বলতে গেলে তিনি হারবাংয়ের রাজনীতিতে একদমই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এবিষয়ে উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সময় অবগত করলেও মেলেনি কোন সুরাহা। এমতাবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঝুঁকিতে থাকবে হারবাংয়ের জনপদ। এসময় তারা আরো বলেন, একটি দলের প্রধান পদদারী মানুষটি যদি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে তাহলে ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মীদের সক্রিয়তা কতটুকু?
হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের এমন বক্তব্যের ভিত্তিতে সভাপতি মিরানুল ইসলামের সাথে সাংবাদিকরা মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে জঘন্যভাবে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ এবং হুমকি প্রদর্শন করেন। যার কল রেকর্ড সংরক্ষিত আছে।
এদিকে, হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাকর্মীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিরানুল ইসলাম দীর্ঘদিন স্থানীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। তাকে দলীয় কর্মসূচিতে তেমন দেখা যায় না। এ বিষয়ে হারবাংয়ের বেশকিছু নেতাকর্মী আমাদের অবগতও করেছে। তবে, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দলীয়ভাবে সম্মেলন করার অনুমতি না থাকায় নতুনভাবে কোন কমিটি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যদি কমিটি দেওয়া যেতো তাহলে দলীয় কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুনভাবে কমিটি গঠন করা হতো।
Leave a Reply