শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
রবিতে ইকোন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত  ডেঙ্গারগ্রাম ডিগ্রি কলেজে অভিভাবক ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত গণতান্ত্রিক উপায়ে শেরপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ সংসদ বশেমুরবিপ্রবির নয়া নেতৃত্ব নির্বাচিত রবির অর্থনীতি বিভাগে সেমিনার অনুষ্ঠিত  চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ কয়রায় খাস জমিতে ভবন নির্মাণ, ব্যবস্থা নেয়নি ইউএনও চকরিয়ায় বিএনপি নেতার উপর সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলা; চমেকে প্রেরণ লামায় জায়গা-জমির বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৭ স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে রবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন শিক্ষার্থীর আকস্মিক মৃত্যুতে নোবিপ্রবি প্রশাসনের অনুদান সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ছাত্রদলের নতুন সাংগঠনিক টিম গঠন চকরিয়ায় বিএনপির ঘরে আওয়ামীগের গোপন সোর্স বশেমুরবিপ্রবি সেইভ ইয়ুথের নেতৃত্বে সজল-সামিরা পরীক্ষা শেষে ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী ২ বন্ধু নিহত গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি)’র চকরিয়া উপজেলা কমিটি গঠন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের ফ্রেশার্স ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত দখলের সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিক কে মারধর করলো বিএনপি নেতা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক কর্তৃক শিক্ষার্থী মারধরের অভিযোগ যবিপ্রবি ক্যাম্পাস সবুজায়নে বৃক্ষরোপণ করলো টিম “উন্নত মম শির” সাংবাদিক সংগঠনের অফিস দখলে নিয়ে ব্যক্তিগত অফিস বানালো বিএনপি নেতা হাসান রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের কর্মশালা আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে রবি উপাচার্যের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সিএসটিই ক্লাবের নেতৃত্বে সাইফ-জাবেদ গণমাধ্যম প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে লিখিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বঙ্গবন্ধু- রাজনৈতিক পর্যটনের অবিচ্ছেদ্য অংশ

ফিচার ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০২০
  • ৬২৯ ০০০ বার

রাজনৈতিক পর্যটনের কথা শুনে অবাক হচ্ছেন? আমরা কোন না কোন ভাবে রাজনৈতিক পর্যটনের সাথে সম্পৃক্ত। মানুষ স্বভাবতই রাজনৈতিক জীব।রাজনৈতিক পর্যটন হচ্ছে পর্যটন সেই শাখা যখন কোন ব্যক্তি রাজনৈতিক কাজের জন্য এক দেশ থেকে অন্য দেশ বা এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রন্তে ভ্রমণ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা- সম্মেলন,বা কাজে অংশ গ্রহণের জন্য। রাজনৈতিক সম্মেলন,সভা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে স্বাভাবিক পরিবেশে বাইরে জায়গাগুলিতে ভ্রমণ করা এবং সেখানে থাকা ব্যক্তিদের ক্রিয়া-কলাপ অন্তর্ভুক্ত থাকে।

রাজনৈতিক পর্যটন আন্তর্জাতিক ভ্রমণের একটি উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র হিসেবে উঠে আসছে।প্রতিবছর বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানগণ রাজনৈতিক সভা- সম্মেলনে যোগদান করে থাকেন। আমাদের দেশে রাজনীতির সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান রাজনৈতিক পর্যটনের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হতে পারে যেমন- রেসকোর্সে ময়দান বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলা বা মুজিবনগর, শহীদ মিনার,জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার বাড়ি ও বঙ্গবন্ধু জন্মস্থান ও সমাধিস্থান ইত্যাদি।

৭ই মার্চে রেসকোর্সে ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণকে বলা হয় বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।যে সনদের মহাকবি ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতি বছর কয়েক লাখ মানুষ ঘুরতে আসেন মাহান নেতা যে জায়গায় দাঁড়িয়ে বাঙালি জাতির মুক্তির ডাক দিয়েছিলেন সেটি দেখার জন্য। মেহেরপুরে ঘুরতে যান মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণের স্থনটি দেখার জন্য।এছাড়াও শহীদ মিনার,জাতীয় স্মৃতিসৌধ সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের স্বাধীনতার রাজনৈতিক ইতিহাস।

শেখ মুজিবুর রহমান সংক্ষিপ্তাকারে শেখ মুজিব একজন রাজনীতিবিদ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, যিনি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তাকে ‘বাঙালি জাতির জনক’ বলা হয়। তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর হত্যার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন । তিনি বাংলাদেশের জনগণের কাছে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে খ্যাত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে ইতিহাসের মহানায়ক হিসেবে বিবেচিত।বঙ্গবন্ধু তাঁর সহজাত দক্ষতা সম্পন্ন নেতৃত্বে সাথে বলিষ্ঠ বাগ্মী, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং জাতীয়বাদীতার এক মুহূর্ত রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। এই সকল অনন্য ও বিরল গুণাবলীর জন্য তিনি সকলের মনে জায়গা করে নেন।
তাঁর কৃতিত্বের জন্য শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, সারা বিশ্বের মানুষ তাকে ভালবাসে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ দেশি-বিদেশি মানুষ গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়ায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ঘুরতে আসেন। বাংলাদেশের স্মরণীয় দিন গুলো যেমন ১৭ ই মার্চ (বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন বা বাংলাদেশের জাতীয় শিশু দিবস), ১৫ ই আগস্ট (বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস) এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা ও নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক নিবেদন করেন।এছাড়াও দেশের কাজে নিয়োজিত হওয়ার পূর্বে আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক নিবেদন করে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। বিদেশের রাজনৈতিক নেতারা যখনই বাংলাদেশে আসেন, তারা অবশ্যই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থল দর্শন করেন।

বঙ্গবন্ধুর সমাধি স্থলে প্রতিবছর এত দর্শনার্থী ভিড় জমানোর কারনে এটিকে কেন্দ্র করে এর আশেপাশে অনেক হোটেল, রিসোর্ট এবং রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। তাই গোপালগঞ্জ জেলায় ‘বঙ্গবন্ধু সমাধি ‘কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পর্যটন প্রতিষ্ঠার দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে। আমরা যদি গোপালগঞ্জ জেলা টিকে দৃঢ়ভাবে রাজনৈতিক পর্যটনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবে দেখতে চাই, তবে আমরা গোপালগঞ্জের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোর একটি প্যাকেজ তৈরি করতে পারি যেখানে বঙ্গবন্ধু তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত গুলি কাটিয়েছেন। এর ফলে যেমন মানুষ তাদের প্রিয় নেতার জন্মস্থান, শৈশবকাল, তাঁর রাজনৈতিক জীবনের হাতে খড়ি ইত্যাদি বিশদভাবে জানতে পারবে তেমনি গোপালগঞ্জ জেলা ও বিশ্বমঞ্চে পর্যটনের ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধি লাভ করবে। গোপালগঞ্জ জেলাতে রাজনৈতিক পর্যটন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্থানীয় লোকদের পর্যটন সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে সম্পৃক্ত করে তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা সম্ভব। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সম্পর্কিত রাজনৈতিক স্থান ও স্থাপনাগুলকে সংরক্ষণের মাধ্যমে ভ্রমণ উপযোগী করতে পারলে রাজনৈতিক পর্যটনের মডেল হিসেবে গড়ে উঠবে। রাজনৈতিক পর্যটনের মডেল প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হলে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর শৈশব থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ঘটনার জীবন্ত প্রতিফলন দেখতে পারবে।

 

লেখিকাঃ সাদিয়া শারমিন
শিক্ষার্থী, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..