শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫১ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঝিনাইগাতী’র সভাপতি নাজমুল, সম্পাদক জিম পাথেয় এর সভাপতি মামুন, সম্পাদক শারীফুল ইসলাম “পহেলা বৈশাখ ও সাম্প্রদায়িক বিতর্ক “ ঈশ্বরদীর নওদাপাড়ায় ৪র্থ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ঈদের শুভেচ্ছা জানালো রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সহস্রাধিক সাইটেশনের মাইলফলক স্পর্শ করলেন রবীন্দ্র উপাচার্য  ইদের পরেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি হবে: শেখ ইনান প্রথম বর্ষে ভর্তিপরীক্ষা বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত মৌলবাদ জঙ্গিবাদ মূলোৎপাটন ও বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মানববন্ধন নোবিপ্রবির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর যবিপ্রবিতে পিএইচডি সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসনের নিমিত্ত অংশীজনের সভা অনুষ্ঠিত  যশোরে সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে যবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা সবুজ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তরুণদের ‘মিশন গ্রিন বাংলাদেশ’ ডিআইইউ’র ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কারের প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে মানববন্ধন  স্বাধীনতা দিবসে ইবির খালেদা জিয়া হলে আলোচনা সভা ও দোয়া   রবির কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষার্থী কল্যাণ সমিতির দায়িত্বে জ্বীম-মনির নানা আনুষ্ঠানিকতায় যবিপ্রবিতে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত রবির বগুড়া জেলা শিক্ষার্থী কল্যাণ সমিতির দায়িত্বে সোয়েব-সমুদ্র রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন  স্বাধীনতাকে নিয়ে ববি শিক্ষার্থীদের ভাবনা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগার্ডকে স্থানীয় যুবকের মারধর  ববিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত চকরিয়ার মালুমঘাটে ইফতারের পূর্বে যুবককে তুলে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা যবিপ্রবির তীর্থ কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

বশেমুরবিপ্রবির ট্যুরিজম বিভাগের শিক্ষা সফর ও কেওক্রাডং জয়

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ জুলাই, ২০২২
  • ৪৫৯ ০০০ বার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) পর্যটন এবং আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষা সফর-২০২২ সম্পন্ন হয়েছে। বিভাগটির ৩ জন শিক্ষক ও ৬৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ৫ রাত ৪ দিনের সফরে ভ্রমণের জায়গা ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান এর বেশ কিছু রোমাঞ্চকর জায়গা। তবে সব ছাপিয়ে গিয়েছে ৬৯ জন মানুষের কেওক্রাডং জয়ের গল্প।

গত ২৬ জুন এই সফরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। পাহাড়ে বসবাসরত মানুষের জীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা, প্রতিকূল পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া ইত্যাদি ছিল এই সফরের উদ্দেশ্য।

৬৯ জন মানুষ নিয়ে কেওক্রাডং এর চূড়ায় পৌছানো ছিল খুবই রোমাঞ্চকর। অনেকেরই এটা প্রথম ট্রেকিং ছিল পাহাড়ে। শিক্ষকদের গাইড শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা, সহযোগিতা সব মিলিয়ে কেওক্রাডং পর্বতের চূড়ায় পৌঁছে শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহিন বলেন, কেওক্রাডং পর্বতের চূড়ায় উঠে যেন আদমাদের ক্লান্তি, কষ্ট, সকল অভিযোগ একেবারেই মুছে গেল। চারিদিকে মেঘের ছোটাছুটি। মেঘ যেন চাচ্ছিলো আমাদের মধ্যে প্রবেশ করে আমাদের বশ করতে।

এ ব্যাপারে ট্যুরিজম বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক বাপন চদ্র কুরী বলেন, “আমাদের সফরের মূল বিষয় ছিল পাহাড়ে বসবাসরত মানুষের জীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা, প্রতিকূল পরিবেশ নিজেকে মানিয়ে নেওয়া এবং এডভেঞ্চার ট্যুরিজম সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিখানো। এটা সত্যিই আমাদের জন্য একটি বড় সাফল্য। এত সুন্দর নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করা, মেঘের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া, এক সময়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণ করা, সব মিলিয়ে অসাধারণ।”

কেওক্রাডং জয় ছাড়াও এই ট্যুরের অংশ হিসেবে রাঙামাটির কাপ্তাই লেক, শুভলং ঝর্ণা, ঝুলন্ত সেতু, বান্দরবানের নীলাচল, রুমা, মুনলাই পাড়া, দার্জিলিং পাড়া ঘুরে দেখা হয়। তবে এভাবে এত মানুষ নিয়ে, এত ধরনের মানুষ নিয়ে কেওক্রাডং উঠতে পারা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে মনে করেন বিভাগটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, একটা মানুষ ও বাদ যায়নি কেওক্রাডং জয় করতে। যা আসলেই একটা বড় সাফল্য আমাদের জন্য।

এ বিষয়ে ট্যুরিজম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদিয়া আফরিন অনন্যা বলেন, আমাদের সফরের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কেওক্রাডং জয় করা। আসলে ৩১৭২ ফুট উচ্চতার এ পাহাড় জয়ের অভিজ্ঞতার কথা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সত্যি বলতে মনে একটা সংশয় কাজ করছিল যে এই ৬৯ জন কি আসলেই পারবে এই পর্বত শৃঙ্গ জয় করতে! কিন্তু শিক্ষার্থীদের উৎসাহ উদ্দীপনার কাছে এই সংশয় হার মেনে গিয়েছে। তারা যেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার। মেঘে ঢাকা এ পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে মনে হয়েছে আমাদের এ ট্রেকিং স্বার্থক। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এত ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে কেওক্রাডং জয় এই প্রথম। আমরা আসলেই আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গর্বিত।

শিক্ষাসফর শুধু আনন্দ নয়, পাহাড়ি জনবসতির আচার-আচরণ, সংস্কৃতি, ধর্ম, জীবন-যাপনের ধরন, উৎসব সম্পর্কে অবগত হওয়ার বড় সুযোগ দেয়। তাদের জীবনমান উন্নয়নের পথের সংকীর্ণতা, শিক্ষার উন্নয়ন সম্পর্কে একটি বাস্তব ধারণা দেয়।

এ বিষয়ে ট্যুরিজম বিভাগের প্রভাষক সিনথিয়া ইসলাম বলেন, এই শিক্ষাসফর আমাদের বিভাগের জন্য অনেক বড় একটা অর্জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৯ জনের এতো বড় দল নিয়ে কেওক্রাডং বিজয় এই প্রথম। আমাদের পরিকল্পনা ছিল রাঙামাটি ও বান্দরবান এর পথে। আর সব থেকে বড় এবং শেষ গন্তব্য ছিল আমাদের কেওক্রাডং ট্রেকিং। পাহাড়ে বসবাসরত মানুষের জীবন, জীবিকা, সংস্কৃতি নিয়ে জানা এবং বাংলাদেশের ট্যুরিজম সম্পদ এর উন্নতির পথে সম্ভাবনা, বাধা ও প্রতিকূলতা গুলো বের করে আনাই ছিল তাদের এতো বড় সফরের উদ্দেশ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..