সকল রুক্ষ-শুস্কতা দূর করে প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজ, বাংলার গগনে উঁকি দিয়েছে নতুন চাঁদ, দক্ষিণা হাওয়া জানান দিচ্ছে বসন্ত এসেছে আজ” হ্যাঁ আজ পহেলা ফাগুন, ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন।
কবির ভাষায়- ‘ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত’। কিন্তু সত্যি বলতে আজ ফুল ফুটেছে, বসন্ত ঋতুও হাজির হয়েছে। তাকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতি তার সব রুক্ষ, শুষ্কতা দূর করে সতেজ, প্রাণখোলা রূপ ধারণ করেছে। শিমুল, পলাশের সমারোহ, দখিনা হাওয়া, মৌমাছির গুঞ্জরণ, কচি-কিশলয় আর কোকিলের কুহুতানে জেগে ওঠা জানান দেয় ঋতুরাজ বসন্তের আগমন।
প্রকৃতিতে বসন্তের আবির্ভাব মানবকুলের মধ্যে নতুন আশার আলো সঞ্চার করে। নবযৌবন লাভ করে যেন প্রকৃতি। শীতের ঘনঘটা কাটিয়ে ঋতুরাজ বসন্তের সুবাস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে শিশু, তরুণসহ সব বয়সের মানুষের মধ্যে।
তাইতো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বসন্তের বন্দনা করেছেন এভাবে, ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে,
করো না বিড়ম্বিত তারে।’
পহেলা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস গত কয়েক বছর ধরে একই দিনে পড়েছে। আগে পহেলা ফাল্গুন পড়ত ১৩ ফেব্রুয়ারি, তার পরদিন অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলা বর্ষপঞ্জির সংস্কার করায় মূলত এই পরিবর্তন এসেছে। উদ্দীপনা ও উদযাপন এখন লোকজ সংস্কৃতির অংশ হিসেবে স্বীকৃত পাওয়া বাকি।
শিমুল পলাশের রঙিন আবহে সুন্দরের প্রাচুর্য নিয়ে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাজে। দখিন হাওয়ার গুঞ্জরণ এই মাত্রা বাড়িয়ে দেয় আরো কয়েক গুণ। বাসন্তী রঙের নানান ফুল প্রকৃতি রাঙিয়ে মাতাল হাওয়ায় দোল খেয়ে যায় সবার মনে মনে। এদিনে সমস্ত দেশজুড়ে বাসন্তী হলুদ সবুজে, বাহারি রঙের শাড়ির সৌন্দর্য ও ফুলের ছড়াছড়িতে প্রকৃতি ভরপুর থাকে। শুভেচ্ছা ও ভালবাসা বিনিময় হয় প্রিয়জনদের মধ্যে।
ভালবাসা শুধু আজকের এই বিশেষ দিনে নয়। সকল অন্ধকার, সকল জরাজীর্ণতা দূর করে সারা বছর জুড়ে
ভালবাসা বিরাজ করুক পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের মনে। প্রতিটি হৃদয় দুলুক সফলতায়, সার্থকতায়।
হাবিবুর রহমান হাবিব
শিক্ষার্থী,
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।
Leave a Reply