শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
“পহেলা বৈশাখ ও সাম্প্রদায়িক বিতর্ক “ ঈশ্বরদীর নওদাপাড়ায় ৪র্থ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ঈদের শুভেচ্ছা জানালো রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সহস্রাধিক সাইটেশনের মাইলফলক স্পর্শ করলেন রবীন্দ্র উপাচার্য  ইদের পরেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি হবে: শেখ ইনান প্রথম বর্ষে ভর্তিপরীক্ষা বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত মৌলবাদ জঙ্গিবাদ মূলোৎপাটন ও বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মানববন্ধন নোবিপ্রবির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর যবিপ্রবিতে পিএইচডি সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসনের নিমিত্ত অংশীজনের সভা অনুষ্ঠিত  যশোরে সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে যবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা সবুজ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তরুণদের ‘মিশন গ্রিন বাংলাদেশ’ ডিআইইউ’র ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কারের প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে মানববন্ধন  স্বাধীনতা দিবসে ইবির খালেদা জিয়া হলে আলোচনা সভা ও দোয়া   রবির কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষার্থী কল্যাণ সমিতির দায়িত্বে জ্বীম-মনির নানা আনুষ্ঠানিকতায় যবিপ্রবিতে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত রবির বগুড়া জেলা শিক্ষার্থী কল্যাণ সমিতির দায়িত্বে সোয়েব-সমুদ্র রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন  স্বাধীনতাকে নিয়ে ববি শিক্ষার্থীদের ভাবনা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগার্ডকে স্থানীয় যুবকের মারধর  ববিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত চকরিয়ার মালুমঘাটে ইফতারের পূর্বে যুবককে তুলে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা যবিপ্রবির তীর্থ কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বগুড়া এসোসিয়েশনের দোয়া মাহফিল ও বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত  হকৃবিতে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করলেন ডা. রয়েল

ভারতে হাতি হত্যা, পশুপ্রেম আর আমেরিকার বর্ণবাদ!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০
  • ৬৫৬ ০০০ বার

বর্তমান সময়ে সোস্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে ভাইরাল বিষয় হলো কেরালার হাতি মেরে ফেলা আর আমেরিকায় রেসিজম নিয়ে বা বৈষম্য নিয়ে। আমিও একটু মেতে আছি। কিন্তু একটু ভিন্নভাবে। কিভাবে সেটা? আসুন আমরা সেটাই বোঝার চেষ্টা করি।

প্রথমে আসি রেসিজম বা বৈষম্য নিয়ে। কিছুদিন আগে আমেরিকান পুলিশ অফিসার কর্তৃক একজন ব্লাকিশ লোক নিহত হন। তাই নিয়ে উত্তাল সারাবিশ্ব। সবাই আমরা সাম্যতা চাই। চাই থাকবে না কোনো বৈষম্য। সবাই একটা সুন্দর পৃথিবী চাই। যেখানে সাদা কালো, হিন্দু মুসলিম সবাই একসাথে থাকবো। কিন্তু সেটা কি আদৌ সম্ভব? এটা সম্ভব না। কারণ আমরা কেউ ই সাম্যতা মানি না। আমরাই সর্বপ্রথম বৈষম্য টেনে আনি। আমরাই সবচেয়ে বেশি রেসিজম করি।

সেটা কিভাবে? অনেকেরই একটা প্রশ্ন থাকবে। আর প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। আমি আমাদের ইয়াং জেনারেশনের একটা উদাহরণ টেনেই বলি। একটা ছেলে কখনোই একটা কালো বা শ্যামলা চেহারার মেয়েকে পছন্দ করবে না। কারণ সে ফর্সা মেয়ে চায়। এটা কি বর্ণবাদ না? আপনি কেনো ওই মেয়েকে পছন্দ করবেন না। সে কালো বলে? তাহলে কেন আপনি এখন রেসিজম নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে? ঠিক তেমনি একটা মেয়েও একটা কালো বেটে মোটা ছেলে পছন্দ করবে না। এখানেও চলে আসে বর্ণ বৈষম্য। আবার সেই মেয়েরাই রেসিজম নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কি অধিকার আছে আপনার। শুধু যে সাদা কালো নিয়ে বিভেদ তা নয়। উচু নিচু, হিন্দু মুসলমান নিয়েও চলে। আসেন সেটাও একটু আলোচনা করি এবং প্রমাণ সহ।

আমরা আদিবাসীদের ছোট করি। উপজাতি বলে। আমাদের দেশে হিন্দুরাও শিকার হন। তাদের আপনি চাড়াল বলবেন, মালায়ন বলবেন। আরো কতো কি বলবেন। এটা কি বৈষম্য করছেন না। ভাই চাড়াল মানে কি? চাড়াল কাদের বলা হয় জানেন? যারা নিচু কাজ করে তাদের বলা হয়। ওদের চাড়াল বলে তো আপনিই চাড়াল হয়ে যাচ্ছেন। তাহলে কেন ওদের চাড়াল বলবেন? কে দিয়েছে এই অধিকার? নাকি ওরা সংখ্যায় কম বলে যা ইচ্ছে তাই বলবেন? মারবেন, কাটবেন যা ইচ্ছে তাই করবেন?

ঠিক তেমনি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেও একই অবস্থা। ভারতে মুসলমানদের যা ইচ্ছে তাই করে। মারে কাটে। মায়ানমারেও একই। রোহিঙ্গা মুসলমানদের দেশান্তরী করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাহলে কি দাড়ালো? বৈষম্য কোথায় হচ্ছে? আজ আমেরিকায় একজন হত্যা হয়েছে সবাই প্রতিবাদ করছেন। কোথায় মধ্যপ্রাচ্যে ওই আমেরিকা কর্তৃক হাজার হাজার মানুষ হত্যা হচ্ছে। তখন তো কেউ আওয়াজ তোলেন না। সারাবিশ্বে প্রতিদিন বর্ণ বৈষম্য হচ্ছে। তখন কেনো আওয়াজ তোলেন না? আজ কেনো তুলছেন? স্রোতের দিকে যাওয়া বন্ধ করেন। আগে আপনি নিজেকে ঠিক করেন। নিজে ঠিক হন। আপনার মধ্যে সবচেয়ে বড় বৈষম্য কাজ করে।

এবার আসি ভারতের কেরালা রাজ্যে হাতি হত্যা নিয়ে। আজ ফেসবুক জনতা ব্যস্ত পশু প্রেম নিয়ে। কেনো হাতিকে মারা হলো। এবং বিভিন্ন ধরনের ইমোশনাল কথা বানিয়ে সেটা প্রচার করা। সত্যি সেটা প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু সবসময় কি এই পশু প্রেম কি থাকবে সবসময়? পাশের বিড়ালকে বা কুকুরকে বা অন্য প্রাণীকে কিছু বলবেন না তো? আমি জানি আপনারা বলবেন না। সব ধরনের পশুকে আপনারা ভালবাসবেন। কোনো পশুকে আপনারা মারবেন না বা হত্যা করবেন না।

কিন্তু আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি আপনারা পারবেন না। কারণ পাশ দিয়ে হেটে চলা শুয়োরটাকে সবার আগেই পিটাবেন। আচ্ছা সেটা কি পশু না? কুকুর দেখলেই পিটান, বিড়াল দেখলে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেন। তখন কোথায় থাকে পশু প্রেম? নাকি হাতি বড় তাই ভালবাসা বেশি আর ওরা ছোট তাই ওদের প্রতি ভালবাসা থাকবে না।

বন্ধ করেন ভাওতাবাজি। পশু মারতে আমরা ওস্তাদ। বনে গিয়ে পশু মারতে আমরা অভ্যস্ত। তাদের অভয়ারণ্য ধ্বংস করতে আমরা পটু। আমরা মোটেও তাদের ভালবাসি না। এটা লোক দেখানো ভালবাসা। বাস্তবে পশু প্রেম করেন।

আজ আর মাথায় আসছে না। তাই আর বলতে পারছি না। মানুষ মারা গেলে আমরা হিসাব রাখি কিন্তু পশু মরলে হিসেব রাখি না। আফসোস! ওইসব সোস্যাল পিপলদের জন্য। সবাই গায়ে নেবেন না।

 

লেখকঃঃ সজল আহমেদ,শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ। 

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..