বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
গণমাধ্যম প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে লিখিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত কয়রায় স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল চকরিয়ায় গণসংবর্ধনায় আগতদের উপর হামলার ঘটনায় ৩ চেয়ারম্যানসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ফিজিওথেরাপি পেশাকে কটুক্তি করায় যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ  রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ চকরিয়ায় রাতের অন্ধকারে ঘাঁস মারা বিষ প্রয়োগ করে পানের বরজ নষ্ট করে দিলো দূর্বৃত্তরা আন্দোলনে আঘাতপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ফ্রি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দিবে যবিপ্রবির ফিজিওথেরাপি বিভাগ কক্সবাজারে সাংবাদিকদের উপর আ’লীগ-ছাত্রলীগের হামলা পাবনার আটঘরিয়ার নরজান গ্রামে বিদ্যুতায়িত হয়ে ভাই-বোনের মৃত্যু রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ সমাবেশে গেট ভেঙে প্রবেশের চেষ্টা স্থানীয় ছাত্রলীগের : আহত ১ চকরিয়ার উচিতারবিল সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ এর উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী মারধরের অভিযোগ কর্ণফুলীতে অর্থ প্রতিমন্ত্রীর পিএস নামধারী রাহুলের সহযোগিতায় হরিলুট পাবনার ঈশ্বরদীতে নিখোঁজের একদিন পর পাওয়া গেল কিশোরের লাশ কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলনে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা, উত্তপ্ত যবিপ্রবি  নোবিপ্রবিতে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত  কোটা বিরোধী আন্দোলনে সাংবাদিকের ওপর ছাত্রলীগের হামলা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্যদের রাজাকার পরিবার বলায় সাংবাদিক কে হুমকি কয়রাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে “উৎসর্গ ফাউন্ডেশন” এর উদ্যোগে সেমিনার আয়োজন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত পাবনায় ক্যাট শো প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) আটঘরিয়া উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. তানভীর ইসলামকে সংবর্ধনা প্রদান আটঘরিয়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭) এর শুভ উদ্বোধন আটঘরিয়ায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তানভীর ইসলামের দায়িত্ব গ্রহণ

ভালোবাসার আরেক নাম “মা”

তানজিলা আক্তার লিজা, ডিআইইউ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৯ মে, ২০২১
  • ৭৪৬ ০০০ বার

নাম আমার মিতু। পেশায় একজন ডাক্তার। রোগীর রোগ নির্ধারণ করে তাকে সেবা প্রদান করা আমার কর্তব্য। যখন এই পেশায় নিয়োজিত হয়েছি ঠিক তখনি শপথ নিয়েছি এই সেবা প্রদান যুদ্ধে সবসময় জয়ী হবো যত বাধাই আসুক না কেনো।

মানবসেবা এই ডাক্তার পেশায় আসার পর আমার এক ছোট মেয়ে আছে তাসফিয়া তাকে সময় দেওয়া আমার আর হয়ে উঠে না। অন্যান্য মায়েদের মতো সবসময় তাকে নিয়ে তার বিদ্যালয়ে যাওয়া হয় না। তার গানের ক্লাসেও না। তাকে নিয়ে বাগানে লুকোচুরি খেলাও হয় না।

তাসফিয়া : মামনি, তুমি বড্ড পচাঁ। আমাকে ভালোই বাসো না। তোমার সাথে আড়ি। আমি চলে যাবো নানু বাড়ি।

ওর নানু বাড়ি বলতে শুনা মাত্রই মনে পরে গেলো আমার শৈশবের কথা। আমার “মা” ছিলেন একজন নার্স।
রোগীদের ঔষধ খাওয়া থেকে শুরু করে তাদের শীঘ্রই সেরে উঠার পিছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এই পেশায়(নার্স) যারা জড়িত তাদের।।
তাসফিয়া এখন আমাকে নিয়ে যা অভিযোগ করে। আমি তো এর থেকেও বেশি অভিযোগ তুলে ধরতাম শৈশবে আমার মার কাছে।

মিতু: মা তুমি কি আমার মা নও। ভালো কি বাসো না। কেনো তুমি আমার সাথে খেলো না। কেনো আমাকে খাইয়ে দেও না। তুমি সবসময় চলে যাও তোমার হাসপাতালে। এই রকম নানান অভিযোগ ফোনে কল করে বলতাম।

আর আমার “মা” শুনতো আর হাসতো।
আর বলতো,
মা: মেয়ে আমার শুনো তুমি তো এখনো ছোট। যখন বড় হবে আমার স্বপ্ন পূরণ করে ডাক্তার হবে। তখন তুমি এই সকল প্রশ্নের উত্তর পাবে।

আমি যখন নবম শ্রেনীতে পড়ি। আমার এক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই অনুষ্ঠানে আমি নাচে অংশগ্রহণ করেছিলাম।ছোট থেকেই যদি কোনো প্রোগ্রাম হতো বাবাই নিয়ে দিয়ে আসতো। সেদিন ও বাবাই নিয়ে দিয়ে আসছিল। আমি প্রোগাম শেষে বাড়ি ফিরছি হাতে এক গিফ্ট ছিলো কারন আমি নাচে দ্বিতীয় হয়েছিলাম।

আমাদের বাড়ির পথে রাস্তা পার হবার সময় এক গাড়ি আমাকে অনেক জোড়ে ধাক্কা দেওয়াই ছিটকে পরে যায়। তখন আর আমার কিছু মনে নেই কি হয়েছিল আমার। শুধু এইটুকু মনে ছিলো শেষ মূহুর্তে আমি একটা কথা বলছিলাম “মা”।

যখন জ্ঞান আসে ফিরে দেখি আমার পাশের সিটে আমার মা আর আমি তার পাশের সিটে দুজনেরই এক চোখে বেন্ডেজ।
ডাক্তার এসে বললো, ” মামনি তোমার চোখের বেন্ডেজ এখন আমরা খুলে দিবো দেখোতো তুমি সব কি দেখছো দুচোখে “?

হ্যাঁ, আমি সব দেখছি।
আর আমার মার ব্যান্ডেজ খুলা মাত্রই আমার বুজতে বাকি রইলো না আমার মা আমাকে তার চোখ দিয়ে আবার নতুন ভাবে পৃথিবী দেখার সুযোগ করে দিয়েছে।

সেদিনের পর থেকে মা আর তার পেশায় যায় নি। আমাকে সময় দিয়েছে। আমার পরে আর তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিলো না।
এখন নিজের মেয়ে যখন অভিযোগ তুলে তখন আমিও আমার মায়ের মতো হেসে বলি।
মামনি, সকল প্রশ্নের উত্তর পাবে বড় হলে।

মা, হক গৃহিণী, ডাক্তার, পাইলট, সাংবাদিক, উকিল যাই হক না কেনো সব মায়ের ভালোবাসা এক। শুধু সময় পার্থক্য, ভালোবাসার নয়। মা হচ্ছেন একজন নারী, যিনি গর্ভধারণ, সন্তানের জন্ম তথা সন্তানকে বড় করে তোলেন – তিনিই অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম ও মা হিসেবে সর্বত্র পরিচিত।
মা ছাড়া আমাদের জীবনটাও এক মুহুর্ত কল্পনা করা যায় না।

লেখকঃ তানজিলা আক্তার লিজা,
শিক্ষার্থী,ফার্মেসি বিভাগ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। 

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..