টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে মারাত্মক বিদ্যুৎ বিভ্রাট। যেখানে আধুনিক নগর জীবন পুরোটাই নির্ভর করছে বিদ্যুতের উপর, সেখানে বিদ্যুৎ অফিসের খামখেয়ালীপনায় পৌরবাসীর জীবন হুমকির মুখে।
ঠিকমতো বিদুৎ না থাকায় শিশু এবং বৃদ্ধদের পোহাতে হয় নানারকম জটিলতা। চলছে শীতকাল এইসময়ে বয়ষ্কদের বিভিন্ন কাজের জন্য প্রয়োজন গরম পানির, কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় এসব মানুষের।
গ্রীষ্মকালে যেন এই সমস্যা আরো তীব্র আকার ধারণ করে। লোডশেডিংয়ের কারণে রেফ্রিজারেটরে রাখা বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর পঁচন যেন খুবই স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া।
এছাড়াও পৌরসভায় রয়েছে বিভিন্ন কলকারখানা, যেগুলো দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য দীর্ঘ সময় এসব বন্ধ থাকার কারণে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি ঠেকানো যাচ্ছে না।
এ কারণে পৌরবাসী দিনদিন আস্থা হারাচ্ছে বিদ্যুত অফিসের ওপর।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা যায়, প্রতি সপ্তাহের শনিবার সারাদিন বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হয় না। এ নিয়ে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছে পৌরসভার সাধারণ জনগন।
পৌরবাসীর দাবী, ‘আমাদেরকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে। শুধু প্রতি সপ্তাহেই নয়, প্রায় প্রতিদিনই হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় আমাদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। এভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট আমাদের কাম্য নয়। আধুনিক নগর জীবন বিদ্যুৎ ছাড়া এক মুহুর্তও কল্পনা করা যায় না। তাই উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকটে এর সমাধান চাই।’
এ বিষয়ে ভূঞাপুর বাজারের কম্পিউটার দোকানীরা জানান, ‘ দীর্ঘ ৪-৫ বছর যাবৎ এই সমস্যার সম্মুখীন আমরা সবাই। এখনো এর কোনো সুরাহা হয়ে ওঠেনি। আমাদের সম্পূর্ণ বিদ্যুতের উপর নির্ভর করতে হয়। যেদিন বিদ্যুৎ থাকে না ওইদিন রুজি-রোজগার বন্ধ থাকে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে এরকম সমস্যা কাম্য নয়। অতিদ্রুত এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।’
উল্লেখ্য, এর আগে অনেকবার বিদ্যুৎ অফিসের প্রহসন নিয়ে প্রশ্ন উঠেলেও এর সুষ্ঠু সমাধানের পরিবর্তে পূর্বের থেকে বেশি অস্বস্তিতে পরতে হয়েছে পৌরবাসীকে।
Leave a Reply