পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে যেনো নিয়ম করেই। শিক্ষার্থীদের অসচেতনতা এবং প্রশাসনের অবহেলায় দূষিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনের পরিবেশ। ময়লা আবর্জনার ছড়াছড়ি যত্রতত্র। নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলায় বিশেষ কোনো উদ্যোগ কিংবা পরিকল্পনা কোনোটিই এখনও দৃশ্যমান হয়নি। ক্যাম্পাসে অল্প কিছু প্লাস্টিকের ডাস্টবিন বসানো হলেও সেগুলোর কোনো তদারকি করা হয় না, ময়লা উপচে চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাবিপ্রবি লেকের পাশে রাখা ডাস্টবিন কাত হয়ে পড়ে ময়লা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। নিয়মিত পরিস্কার না করায় বৃষ্টির পানির সাথে ভেসে মাঠের ঘাসের নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে এসব ময়লা-আবর্জনা।এছাড়াও লেকের পানিতে বোতল,বিরিয়ানির প্যাকেট সহ বিভিন্ন ময়লা ভাসছে। লেকের পাশে অবস্থিত আবাসিক হলের ড্রেন নিয়মিত পরিস্কার না করায় ময়লা জমে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে।
অপরদিকে, এম. এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত টয়লেটের নাজেহাল অবস্থা। দূর্গন্ধে কোন কোনটায় প্রবেশ করাই দায়।বেসিনের ট্যাপের লাইন মেরামত না করায় পানিতে ভাসমান টয়লেটের ভেতরের চলাচলের রাস্তা।কোনোটার কমোডে পানি জমে আছে।
এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, আমাদের টয়লেটের নাজেহাল অবস্থা। দূর্গন্ধে ব্যবহার করার মতো অবস্থায় নেই। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও এর চেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট রয়েছে। একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টয়লেটের এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আমাদের জন্য চরম হতাশাজনক।
হলের ড্রেনে ময়লা জমে দূর্গন্ধের বিষয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. রায়হান বলেন, ময়লাগুলো হলের শিক্ষার্থীরাই ফেলে। তবে কর্তৃপক্ষের উচিত নিয়মিত পরিস্কার করা। শিক্ষার্থীদেরও সচেতন হতে হবে। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশনা থাকলে হয়তো শিক্ষার্থীরা আর ময়লা ফেলবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার প্রধান কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম প্রিন্স জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এসময় তিনি তৎক্ষণাৎ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীকে ফোন দিয়ে দ্রুত ওয়াশরুম পরিস্কার করার নির্দেশ দেন।
এছাড়াও ডাস্টবিনের ময়লা পরিস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে এস্টেট শাখার প্রধান কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম প্রিন্স দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
Leave a Reply