রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় এক গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন এক ব্যক্তি। ওই গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরে স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু কাউন্সিলর তাকে ছেড়ে দেন। এ নিয়ে ক্ষোভে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় কাউন্সিলরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূর নাম সখিনা বেগম (৩৫)। তার বাড়ি জেলার গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের ঘিয়াপুকুর মহল্লায়। তার স্বামীর নাম কামাল হোসেন। কামাল চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামে থাকেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কাঁকনহাট পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লুৎফর রহমান বিশু, আকবর আলী, মেরাজুল ইসলাম। আর ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মফিজুল ইসলাম। তার বাবার নাম আতাউর রহমান। প্রত্যেকের বাড়ি ঘিয়াপুকুর মহল্লায়। গ্রেপ্তার তিনজনকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার রাতে কাউন্সিলরের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে ধর্ষক মফিজুল। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার দিবাগত রাতে মফিজুল ইসলাম দুই সন্তানের মা সখিনা বেগমের ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশী আকবর আলী ও মেরাজুল ইসলাম ধর্ষক মফিজুলকে ধরে কাউন্সিলর লুৎফর রহমান বিশুর কাছে নিয়ে যান। কিন্তু কাউন্সিলর রাতেই মফিজুলকে ছেড়ে দেন। এরপর ক্ষোভে রাতেই ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল লতিফ বলেন, ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। সকালে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশকে না জানিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়ার কারণে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। সে কারণে পৌর কাউন্সিলরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আপাতত তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আবদুল লতিফ জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণ ও তার আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় কারাগারে পাঠানো তিনজনসহ মোট চারজনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি হয়েছেন ধর্ষণে অভিযুক্ত মফিজুলকে। তিনি পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply