দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যেও মোংলা বন্দর কতৃপক্ষ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধিতে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম স্বাভাবিক রাখতে দেশে উৎপাদিত পণ্য ও কাচাঁমাল সরবরাহ ঠিক রাখতে মোংলা বন্দরে ২৪ ঘন্টা স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।লকডাউনের এক সপ্তাহে বন্দরে জাহাজ আগমন করে ২১টি, গতবছর সমসাময়িক সময়ে জাহাজ আগমন করেছে ১৮টি। কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ২৬০,৫৬৭ মেট্রিক টন, গতবছর সমসাময়িক সময়ে ছিল ২০০০০৩ মেট্রিক টন। কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩৭৩ টিইইউজ এবং ৭১১৭ মেট্রিক টন। এছাড়াও এসময়ে বন্দর থেকে ২৭২টি গাড়ি ডেলিভারি করা হয়েছে। জাহাজ, কার্গো, গাড়ি ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর ক্ষেত্রে সকলসূচক উদ্ধোর্মূখী হওয়ার ফলে বন্দরের আয় স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) জনাব মোস্তফা কামাল বলেন, করোনাকালীন সময়ে লকডাউনের মধ্যে মোংলা বন্দরের যে সকল পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছে-ডাল, ছোলা, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট, কয়লা, হোয়াইট ক্লিংকার, পাথর, গ্যাস, কিচেন সিংক, ডাটা কেবল, ফেব্রিক্সস, এলইডি লাইট, ক্যালসিয়াম কাবোর্নেট,অ্যালুমিনিয়াম সীট, এমএসি স্টীল, লেনটাইলস, মেশিনারিজ, চাল ও গাড়ি।মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন- ইতোমধ্যে মোংলা বন্দরের সকল কর্মকর্তা -কর্মচারীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে সর্তকতা হিসেবে মোংলা বন্দর নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থী প্রবেশ সীমিত আকারে করা হয়েছে, ,অফিসে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা পরীক্ষা, বন্দরের অফিস সমূহে এবং বন্দর এলাকায় “করোনা সর্তরকীকরন বিভিন্ন ধরনের ব্যানার স্থাপন, বন্দরের মসজিদ সমূহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করার জন্য সকলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন লকডাউনের মধ্যে বন্দর কার্যক্রম সচল রাখতে মোংলা বন্দর কাস্টমস কতৃপক্ষ , ব্যাংক, শিপিং এজেন্ট, সিএনএফ এজেন্ট, স্টিভের্ডস ও অন্যান্য বন্দর ব্যবহারকারীর সমন্বয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমরা যেহেতু বন্দরে সকল স্টেক হোল্ডারদের সমন্বয়ে কাজ করছি ফলে করোনার মধ্যে মোংলা বন্দরে কার্যক্রম ২৪ ঘন্টা চলমান থাকবে ইনশাল্লাহ।
Leave a Reply