লকডাউন খুলতেই যাত্রীদের দুর্ভোগ ও চরম যানজট পোহাতে হচ্ছে কক্সবাজারে। মহামারী করোনায় কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার এক সময়ের ব্যস্ততম শহর ও উখিয়া উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নের সংযোগস্তল হল কোটবাজার স্টেশন।এর মধ্যে আবার প্রতিদিন এখানে এসে জমায়েত হয় রামু উপজেলা, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ও টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দারা বিভিন্ন প্রয়োজনে। যার কারনে কোটবাজার স্টেশনে একসময় লোকে লোকারন্য থাকত।লকডাউনপূর্ব সময়ে যানজট সবসময় লেগেই থাকত। যা লকডাউনের কারনে একদম শান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল।
তবে তখন সবচেয়ে বেশি সমস্যা হতো রাস্তা নিয়ে। যা এখন প্রশস্তকরনের মাধ্যমে যানজট কমে আসার কথা থাকলেও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং এর কারনে সেটাও হয়নি।
০২ জুন মঙ্গলবার, কোটবাজার সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ লকডাউনের পর সব অফিস আদালত খোলার পাশাপাশি গণপরিবহন চালু করায় বেড়েছে যানবাহন চলাচল। মানুষের চলাচলও বেড়েছে আগের চেয়ে। আবার কোন কোন গাড়ি চালক প্রশাসনের সাথে খেলছে লুকোচুরি। পরিবহনে দেখা যাচ্ছে ভিন্নতা। যেখানে সিএনজিতে যাত্রী নেওয়ার প্রশাসনের নিয়ম ছিল ৩ জন,সেখানে ৫ জন নিয়েও আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুন টাকা।
আবার যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং এর কারনে সব সময় যানজট লেগেই আছে। সেই যানজট নিরসনে প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের সদস্যরা। অদক্ষ ও লাইসেন্সহীন চালকের কারনে এসব কিছু হচ্ছে বলে জানিয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিবর্গ ।
এই নিয়ে সচেতন মহলের বক্তব্য, অন্য কোথাও গাড়ির পার্কিং স্থানান্তর করলে এই রকম যানজট হবেনা। স্থানান্তর করে তারা ভোগান্তি থেকে বাচতে চায় বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন উঝিয়ার বিভিন্ন মানুষজন।
Leave a Reply