যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাসেল (২৬) নামে এক মুরগী ব্যবসায়ীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে ৭মার্চ রবিবার সকালে উপজেলার রাড়ীপুকুর গ্রামের ময়না বটতলা বাজারে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় রাসেলকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে রাড়িপুকুর মোল্যাপাড়ার আজিবরের ছেলে।
ঘটনার সূত্রে রাসেলের স্ত্রী স্বজনী খাতুন জানান, আমার প্রতিবেশী আজিবরের ছেলে সেলিমের স্ত্রীর সাথে আমার মেঝে দেবর রায়হানের সর্ম্পক ছিলো, কিছুদিন আগে জানাজানি হলে সেলিমের পরিবার ও আমার শশুর শাশুরী বসে ভুল স্বীকার করে মিলমিশ করে। কিন্তু এ বিষয়ে আমি এবং আমার স্বামী রাসেল কিছু জানতাম না। আমার স্বামী নির্দোষ। তাই প্রতিদিনের ন্যায় আজও সকালে আমার স্বামী রাসেল ইসলাম তার নিজ বয়লার মুরগীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ময়না বটতলায় গিয়ে দোকান খুলে, এমন সময় আমজদ নাইট গার্ডের ছেলে সেলিমের চাচাতো ভাই আল আমিন (২০) আমার স্বামীকে দোকান খুলতে মানা করে এবং হত্যার হুমকি দেয়, কিন্তু তার কথা অমাণ্য করে আমার স্বামী দোকান খুললে কিছু বুঝে উঠার আগেই দোকানে থাকা মাংস কাটা চাপাতি দিয়ে আমার স্বামী (রাসেলের) এলোপাতাড়ী ভাবে কুপিয়ে যখম করে আল-আমিন। রাসেলের ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসিলে সে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় রাসেলকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, বর্তমানে তার অবস্হা আশঙ্কাজনক। এ বিষয় জানতে আল আমিন ও সেলিমের বাসায় গেলে দেখা যায় তাদের বাসা শূণ্য। তবে সেলিমের পিতা আজিবারের সাথে দেখা হলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বৌমার সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিলো রায়হানের, তা জানাজানি হলে উভয় পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। এতে করে আমার ভাইপো আল আমিন রাসেলকে দোকান খুলতে নিষেধ করে কিন্তু সে দোকান খোলে যার পরিপেক্ষিতে আজকের এই ঘটনার সূত্রপাত।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার তদন্ত অফিসার তারিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply