শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৩১ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
বশেমুরবিপ্রবিতে দুই দিনব্যাপী সেইভ এর কোর ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত ইবিতে ভোলা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের জরুরী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চকরিয়ায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার চকরিয়ায় মাদক ও অস্ত্রসহ ৫ মামলার আসামীসহ সহযোগী গ্রেপ্তার অবরোধ প্রতিরোধে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের শক্ত অবস্থান; মাঠে নেই বিএনপি-জামায়েত বক্তব্য জানতে চাওয়ায় সাংবাদিককে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ ঘূর্ণিঝড় হামুন: জেলায় ৭০৩ টি সাইক্লোন সেন্টার, ৩৫ টি মুজিব কেল্লা, ৮৭৬০ জন সিপিপি সেচছাসেবক প্রস্তুত চকরিয়ায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার সিআরসি বশেমুরবিপ্রবি শাখার উদ্যোগে বৃদ্ধাশ্রমে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন ভূমি অফিসে ঢুকে কানুনগোকে হামলা করলো আওয়ামী লীগ নেতা নাভানা স্পোর্টস আয়োজিত ইসমাইল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৩ এর উদ্বোধন চকরিয়ার হারবাংয়ে মাদ্রাসা সুপারকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল দুমকীতে ইয়াবাসহ এক কারবারি গ্রেফতার দুমকীতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত পাবিপ্রবিতে রসায়ন সমিতির নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন দুমকীতে পৃথক অভিযানে গাজা ও ইয়াবাসহ আটক ৩ বিইউবিএমবির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বশেমুরবিপ্রবির ফারুক রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ডিবেট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত বশেমুরবিপ্রবি’তে সেইভ চ্যাপ্টারের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস পালিত চকরিয়ার হারবাংয়ে সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রিকশা সমিতির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পটুয়াখালীর দুমকীতে ডিবির পোষাক পরিহীত ৩ ডাকাত সদস্য আটক পিতৃত্বকালীন ছুটি প্রবর্তন করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দুমকি প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন; সভাপতি ফজলুল হক, সম্পাদক কাজী দুলাল চকরিয়ায় পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের উদ্বোধন

শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন ঠেকাতে দেশে আলাদা ট্রাইবুনাল গঠনের প্রয়োজন

মতামত ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৪৭৭ ০০০ বার

শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন ঠেকাতে দেশে আলাদা ট্রাইবুনাল গঠনের প্রয়োজন।

 

দেশে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা একটা সমিতি গঠন করা উচিত।যারা শিক্ষার্থীদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করবে।আর শিক্ষার্থীদের উপর হওয়া বিভিন্ন নির্যাতন প্রতিরোধে আলাদা ট্রাইবুনাল গঠনের খুব বেশি প্রয়োজন। যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক বিচার ও শৃঙ্খলার দায়িত্ব তারা বহন করবে।

ছাত্র-ছাত্রীদের পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে তারা। নির্দিষ্ট আইন অনুযায়ী কাজ করবে তারা।
যেন দেশের যেকোনো প্রান্তে অবস্থানরত কোনো শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে।
দেশের উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিজের বাড়ি থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে পড়াশুনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান নিজ বাসস্থান থেকে অনেক দূরে হওয়ায় শিক্ষার্থীকে পরিবার পরিজন ছেড়ে দূরে থাকতে হয়।
এমতাবস্থায় সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশেপাশে বসবাসরত প্রতিবেশী আর বন্ধুবান্ধবই তাদের একমাত্র ভরসা,যারা বিপদে সাহায্য করবে।
কিন্তু সেখানে প্রতিবেশি, শ্রমিক, বা বন্ধুবান্ধব, বড়ভাই-আপুদের থেকেই যদি নিগ্রহের, ও নির্মম বর্বরতার শিকার হতে হয় তাহলে আর নিরাপত্তা কই? আমরা আবরারের ঘটনা দেখেছি, গতকাল আর আজকের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা দেখছি।এমন ঘটনা আরো ঘটেছে।
একটা প্রশ্ন তো থেকেই যায় যে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কোথায়?
কার ভরসায় বাবা মা তার আদরের সন্তানকে এতো দূরে বিদ্যালাভ করতে পাঠাবে?
বর্তমানে শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যে ও বাইরের মানুষের সাথে দাঙ্গা, হাঙ্গামার ঘটনা নিত্যদিনের ঘটনার মতো হয়ে গেছে। কিছুদিন পরপরই এসব ঘটনা শোনা যায়। আর তারপর ই শুরু হয় সঠিক বিচার লাভের আশায় আন্দোলন,বিক্ষোভ।
মাঝে মাঝে এই বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশ তাদের বল প্রয়োগ করে।কখনো কখনো অনেক শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে জেলে বন্দি করা হয়। আর তখনি সেই শিক্ষার্থীর জীবনে একটা দাগ লেগে যায়। যা তার চাকরিজীবনসহ সবখানেই বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
এইভাবেই অনেক শিক্ষার্থী রাজনীতিতে প্রবেশ করে ক্যারিয়ারও নষ্ট করে।যা তার পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে। এতে তার জীবন হতাশায় ছেয়ে যায়।
এসবের দায় কে নেবে?
মাঝে মাঝে এই ঘটনাগুলোর প্রভাব কিছু কিছু ছেলে- মেয়ের জীবনে বিরূপভাবে পরে। পরিবার এসব ঘটনার পূর্বচিন্তা করে তাকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে।মেয়েদেরবিবাহ নামক বাধার বন্ধনে আবদ্ধ করে দেয়। তখন মেয়েটির সব স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। এভাবেই অনেক মেয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।শুধুমাত্র নিরাপত্তার অভাবে।
একটি দেশের উন্নতি কি শুধু শিক্ষিত পুরুষ সমাজের উপর নির্ভর করে? মেয়েদের ভুমিকাকে তো অগ্রাহ্য করলে চলবেনা। মেয়েরা উচ্চশিক্ষিত না হলে শিক্ষিত জাতি গড়বে কে?
এসব দিক বিবেচনা করে একটি সংগঠন/সমিতির ও ট্রাইবুনালের অনেক প্রয়োজন বোধ করি।

    1. যেখানে শিক্ষার্থীদের সকল দাবি বিবেচিত হবে।
    2. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধান করা হবে।
    3. কোনো শিক্ষার্থী যেন আর্থিক অভাব,সামাজিক ও পারিবারিক বাধার কবলে পরে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয় সেই বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে।
    4. শিক্ষার্থীদের যেন আন্দোলনে নেমে শিক্ষাজীবনের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগেই তাদের সমস্যা নির্মূল করা হয় সে বিষয় নিশ্চিত করতে হবে।

দেশের কোনো প্রান্তে কোনো শিক্ষার্থী বিপদে পরলে যেন এই সংগঠনটি অভিভাবক এর মতো ভূমিকা পালন করে তাকে সঠিক ভাবে আইনের সহায়তায় বিপদ থেকে মুক্ত করতে পারে।
কড়া আইন বিধান করতে হবে এবং তা কার্যকর করতে হবে।

আমি মনে করি এতে ধর্ষণের মতো ভয়ঙ্কর সমস্যাও কিছুটা নির্মূল হবে। মেয়েরা উচ্চশিক্ষিত হতে পারবে।

লেখাপড়ার জীবনে বারবার আন্দোলনে অংশ নিয়ে দিনশেষে উশৃঙ্খলতার পর্যায়ে চলে যায় অনেকে।

আমরা একটা সুন্দর, শিক্ষিত জাতি চাই। উশৃঙ্খল, বর্বর ও বিগ্রহপটু জাতি নয়।

লেখকঃ সাদিয়া আক্তার অথৈ,
শিক্ষার্থী,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..