শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০২:০১ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
নিয়ম না মানলেও প্রমোশন: নোবিপ্রবির প্রভাষক বিতর্কে প্রশাসন নোবিপ্রবির ১৩ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট লোকদের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি নোবিপ্রবিতে স্বপ্ন দেখিয়ে অচলাবস্থা, নীরব দর্শক বিএমবি চেয়ারম্যান নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য! পেশাজীবি লীগ নামে নোবিপ্রবিতে আওয়ামী লীগের গোপন তৎপরতা দাবি না মানলে রংপুর অচল করে দেয়ার হুমকি পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঝিনাইগাতী’র নেতৃত্বে হুরায়রা ও শাহীন চকরিয়ার হারবাংয়ে বনের হরিণ শিকার করে জবাই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে: নোবিপ্রবি উপাচার্য পুসাজের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত চকরিয়ায় পুলিশের উপর হামলাসহ একাধিক ডাকাতি; গ্রেপ্তার ৩ আটঘরিয়ায় কোর্টের রায় অমান্য করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা দুই ছাত্রদল নেতার জন্য নিয়মবহির্ভূতভাবে মাস্টার্স চালু করলো নোবিপ্রবি কৃষি বিভাগ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভলিবল খেলা নিয়ে মারামারি : দুদিন বন্ধ একাডেমিক কার্যক্রম  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির টেকসই ব্যবহার নিয়ে ঢাবিতে আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম কুয়েটে ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে মশাল মিছিল অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে আপনারা সাংবাদিকতাকে উপভোগ করুন : সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব  রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক স্পীকিং ও প্রেজেন্টেশন বিষয়ক কর্মশালা আয়োজিত গোপালগঞ্জ জেলা রোভার স্কাউটের ত্রৈবার্ষিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২৫ উদ্বোধন হাবিব-ফায়েজের নেতৃত্বে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আত্মপ্রকাশ নোবিপ্রবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মসূচির ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল  স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে এবার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি  ক্যাম্পাস চাই দাবিতে ফের উত্তাল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় : মহাসড়ক অবরোধ  ফিল্ড ট্যুর নিয়ে নোবিপ্রবির ফিমস বিভাগের শিক্ষকদের অন্তর কোন্দল চকরিয়ায় আগুনে ভস্মীভূত হার্ডওয়্যারের দোকান; ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লক্ষাধিক টাকা

শিশুদের বিকাশে খেলাধুলা

মৌ আফরিন মিম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১ আগস্ট, ২০২০
  • ১০৫৬ ০০০ বার

শিশুদের বিকাশে খেলাধুলা’

ঐ যে সেই আগের দিন গুলো,
তখন নব্বই দশকের ছেলে-মেয়েগুলোর ছিলো রাজত্বকাল!!তাদের জীবনের লক্ষ শুধু এতোটুকুই ছিলো,”খাবোদাবো,ইস্কুল যাবো,খেলবো আর ঘুমাবো, এর মাঝে দু-এক ফোঁটা পড়াশোনা করলেও করা যেতে পারে।”
কোথায় গেলো সেই দিন গুলো?কোথায় তারা?
আজ আর তারা নেই তারা এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে এবং সাথে নিয়ে এসেছে নতুন প্রজন্ম,নতুন জীবন!যেখানে শিশুদের বেঁচে থাকার লক্ষ বড় বড় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল,মোটামোটা বই,পড়াশোনা, মোটা কাঁচের চশমা, ছোট্ট অবুঝ বয়সেই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠার ব্যাকুলতা এবং মাঝে মাঝে দু-এক ফোঁটা ভিডিওগেমস খেললেও খেলা যেতে পারে!!
আমেরিকায় করা এক রিসার্চে দেখা গিয়েছে যে, “জেলখানার কয়েদিদের চেয়েও বর্তমানে শিশুরা কম সময় খেলাধুলা করে কাটায়।”

আগের দিনের খেলাগুলো প্রকৃতির সাথে মিশে ছিলো।। যেমন -গোল্লাছুট, হাডুডু, গাদন, লুকোচুরি, কিতকিত,ইচিং-বিচিং, সাত গুটি এমন আরো বহু আছে। অর্থাৎ সবই প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে খেলাধুলা করা!!
বর্তমানে স্কুল থেকে এসেই বাচ্চারা চেঁচিয়ে উঠে, “আম্মু আমার ভিডিওগেমস কোথায়?” এছাড়া এদের জন্য স্মার্টফোন এখন হাতের পানি,বিভিন্ন অনলাইন গেমসই এখন এদের অবসরের সঙ্গী, সেখানে প্রকৃতি কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে।।
অথচ একজন শিশু যখন প্রকৃতির সাথে মিশে খেলতে শুরু করে তখন প্রকৃতি নিজে থেকে তাদের অনেক রকম শিক্ষা দিতে শুরু করে,অসংখ্য মানুষের সাথে মিশে সামাজিক হয়ে উঠতে সাহায্য করে, শিশুদের চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায়,ভালো-খারাপ বুঝতে শিখায়, সহজেই সব জায়গাতে খাপখেয়ে উঠতে শিখায়। ফলে তারা মানসিক এবং শারীরিক ভাবে সুস্থতা বোধ করে এবং আনন্দ-উচ্ছাসে বড় হয়ে উঠতে পারে।।
ওসনাব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষাবিদ রেনাটে সিমার বলেন, ‘‘শিশুদের খেলার জন্য আমি সবসময়ই আরো অনেক বেশি জায়গা চাই৷ হ্যাঁ, শিশুকে এমনটা করতে দিন, কারণ শিশুরা এভাবেই খেলার মধ্য দিয়ে তাদের জীবনের ছোট ছোট চাহিদাগুলো মেটানোর প্রস্তুতি নেয়৷’’
অন্যদিকে ঘরে বসে ভিডিওগেমস খেলে তাদের মানসিক অবস্থার যেমন বিকৃতি ঘটে, তেমনি অতি ছোট বয়সে বিভিন্ন রকম অসুস্থতাই ভোগে।।বিশেষ করে এদের বেশিরভাগই চোখের সমস্যাতে ভোগে, যার ফলে অতি ছোট বয়সে মোটা কাঁচের চশ্মা তাদের বন্ধু হয়ে ওঠে।।
কানাডার ব্রোক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মিরজানা বাজোভিকের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল ১৩-১৪ বছর বয়সী শিশুদের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখেন,
সাধারণত ১৩-১৪ বছর বয়সে শিশুদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি, আস্থা ও বিশ্বাসের উন্নয়ন ঘটে।’সহিংস গেমসের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি বাস্তব জগৎ থেকে শিশুদের বিচ্ছিন্ন করে তোলে, তাদের মধ্যে নৈতিকতা বোধ জাগ্রত করার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে তোলে,শিশুরা অন্যদের প্রতি কম সহানুভূতিশীল হয়_ যা শিশুকে পরিপূর্ণ সামাজিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বাধাগ্রস্ত করে। খবর বিবিসি অনলাইন।(২০১৪ সমকাল)

আগের দিনে কাদামাটি ছিলো শখের জিনিস বানানোর উপাদান ।কাদামাটি দিয়ে পুতুল বা ছোটছোট খেলনা হাড়িপাতিল তৈরি করতো,নব্বই দশকের ছেলেমেয়েগুলোই।।
বর্তমানের অভিভাবকগন শিশুদের বাহিরে খেলতে দিতেই ইতস্ত বোধ করেন,সেখানে কাদামাটি নিয়ে খেলা?উরি বাবা!! পারলে সাধারন কারনে বাহিরে বের হলে পায়ে জুতা হাতে মোজা পরিয়ে বের হবেন। সেখানে যদি কোনো বাচ্চা মাটিকাদা মেখে ফেলে তবে তো তার একদিন তো বাবা-মার একদিন এমন অবস্থা।।
অথচ বৃষ্টির পানি মাটিতে পরার পর মাটি থেকে যে বিভিন্ন ধরনের পদার্থ নির্গত হয়, সেগুলো স্বাস্থের জন্য খুবই ভালো,এই পদার্থের নাম ‘জিওস্মিন’।এবং তার ফলে যে গন্ধ নির্গত হয় তাকে ‘সোঁদা’ গন্ধ বলে।।
Harvard Medical School এর Dr. Richard S. Blumberg নামের রিসার্চার ২০১২ সালে একটি গবেষণায় দেখিয়েছেন, “যারা ধুলা-বালিতে এবং রোগজীবাণুর সান্নিধ্য বেড়ে উঠে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (বিশেষ করে Colitis এবং Asthma) যারা পরিস্কার ও রোগজীবানুমুক্ত পরিবেশে বড় হয়েছে তাদের চেয়ে অনেক বেশি।”(সংগ্রহীত)
তবে কি বলা যেতে পারে,রাস্তার এক কোণে বেড়ে ওঠা শিশুরা অট্টলিকায় বেড়ে ওঠা শিশুদের থেকে বেশি সুস্থ ও স্বাভাবিক?
হ্যাঁ তাই,তারা সুস্থ!!

সুতরাং, আপনার শিশুকে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ রাখতে শিশুকে পরিবেশ ও প্রকৃতির সাথে মিশতে দিন,তাদের মাটির সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করুন।শহুরে এমন জায়গার অভাব বলতে আমি কখনোই বিশ্বাস করি না, কিছুদূর পর পর বিভিন্ন পার্ক,উদ্যান,মাঠ রয়েছে প্রতিদিন না হলেও শিশুকে সপ্তাহে ২ দিন মানুষ, পরিবেশ ও প্রকৃতির সাথে পরিচিত হতে দিন এবং সুস্থ ভাবে গড়ে উঠতে সাহায্য করুন।শিশুদের বিকশিত করতে খেলাধুলায় উৎসাহিত করুন।

লেখকঃ মৌ আফরিন (মিম),

অনার্স ২য় বর্ষ,

ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ,

নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজ, রাজশাহী

নিউজটি শেয়ার করুন..

One response to “শিশুদের বিকাশে খেলাধুলা”

  1. Amit Ghosh says:

    অসংখ্য ধন্যবাদ লেখককে শিশুদের দিকটি বিবেচনা করে এমন একটি তথ্যবহুল লেখনীর জন্য।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..