কক্সবাজারের ৯টি উপজেলার মধ্যে ১০ম বারের মতো শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে মনোনীত হয়েছেন চকরিয়া থানাধীন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এসআই মোঃ মহসিন চৌধুরী (পিপিএম) ও ১ম বারের মতো শ্রেষ্ঠ অস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে মনোনীত হয়েছেন একই পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই (নিঃ) সোলায়মান খাঁন।
রবিবার (৫ মে) কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম (বার) এর সভাপতিত্বে এপ্রিল মাসে এসআই মোঃ মহসিন চৌধুরী পিপিএম কর্তৃক মোট ৪১ টি মামলার ওয়ারেন্ট তামিল করায় শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার ও এএসআই সোলায়মান খাঁন কর্তৃক ডাকাতদলের সাথে জীবনবাজি রেখে গোলাগুলি করে ১টি এলজি, কার্তুজের খোসা, ১টি দাঁ, ও ২টি রড উদ্ধার করায় শ্রেষ্ঠ অস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হন।
এসআই মোঃ মহসিন চৌধুরী- পিপিএম ও এএসআই (নিঃ) সোলায়মান খাঁনের নিকট তাদের শ্রেষ্ঠত্বের সম্মাননা স্মারক ও পুরষ্কার তুলে দেন জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম (বার)।
এসময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, প্রশাসন ও অর্থ (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস্, (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোঃ শাকিল আহমেদ বিপিএম- সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরী- পিপিএম (সেবা), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ মিজানুর রহমান- বিপিএম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চকরিয়া-পেকুয়া) সার্কেল রকীব উর রাজাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১০ম বারের মতো শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে মনোনীত হওয়া এসআই মোঃ মহসিন চৌধুরী পিপিএম এর কাছে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি তার দায়িত্বরত কর্ম এলাকায় আইন শৃংখলা সমুন্নত রাখতে ও বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের সুনাম অক্ষুন্নভাবে ধরে রাখতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। এবং তাকে এ সমম্মাননা প্রদান করায় তিনি জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে, শ্রেষ্ঠ অস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে মনোনীত হওয়া এএসআই সোলায়মান খান তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশের শুরুতেই জেলা পুলিশ সুপার, চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেল অফিসার, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সহকর্মী ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এসময় তিনি আরো বলেন, আমার সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ও সহকর্মীদের সহযোগিতায় ডাকাতদের সাথে জীবন বাজি রেখে গোলাগুলির এক পর্যায়ে ডাকাতদল অস্ত্র ফেলে পালিয়ে গেলে আমি অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এসময় আমি ও আমাকে সহযোগিতা করতে আসা স্থানীয় আব্দুল খালেক পুতু নামের এক ব্যক্তিসহ ২ জনেই ডাকাতদের গুলিতে আহত হই। আল্লাহর অশেষ রহমত ও সকলের দোয়ায় সেদিন সফল অভিযান করতে সমর্থ হই। চলার পথে আমার সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও সহকর্মী, সাংবাদিক এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।
Leave a Reply