ভেড়ামারার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নে ৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা চুরির ১ মাস অতিবাহিত হলে চোর সনাক্ত হয়নি। জনমনে অসন্তোষ। চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন বলেন, দোষী যেই হোকনা কেন, তাকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং ফুটেজ এ যাদের কে দেখা যাচ্ছে তাদেরকে অবিলম্বে সনাক্ত করে জিজ্ঞেসাবাদ করা হোক।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম মল্লিক বলেন, ইউপি নির্বাচনে ডিউটি থাকায় সঠিকভাবে তদন্ত করতে পারিনি তবে চেষ্টা চলছে। আমি এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন এর সাথে কথা বলেছি ফুটেজ টা নিয়ে।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে কিন্তু আসামি সনাক্ত না হওয়ায় আসামি ধরা সম্ভব হয়নি তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
একমাস অতিবাহিত হলেও ক্যামেরা উদ্ধার না হওয়ায় জনমনে প্রশ্ন চোর আদৌও ধরা পড়বে কি?
ভেড়ামারা উপজেলার ৪ নং চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে এলাকায় চুরি ছিনতাইসহ বেআইনি কর্মকান্ড রোধে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে সবার মন জয়ের পাশাপাশি সুনাম কুড়িয়েছিলেন জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন । চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন এর এই সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করার ফলেই উক্ত ইউনিয়নে নির্বাচন পূর্ব অথবা পরবর্তী কোন সংঘর্ষ সংঘটিত হয়নি। শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। অনেকে একে চোর ধরার মেশিন হিসেবে অভিহিত করেছেন। কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয় যে, গত ০৭ ডিসেম্বর তারিখ ২০২১ খ্রিঃ তারিখ রাত ০৯.০০ টা থেকে রাত ১১ টার মধ্যে কে বা কাহারা ৮০ হাজার টাকা মূল্যমানের ৩ টি ক্যামরা ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে খুলে নিলেও এই একমাস অতিবাহিত হলেও চোর সনাক্ত না হওয়ায় অপরদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুল হান্নান এর বাড়ি পোড়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে জনমনে আতংক এবং নানা গুনজন চলছে।
ভিডিও এবং বিশেষ সূত্রে জানা যায়, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা খুলে নেয়ার ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে ঘটনাস্থলে একটি দোকানে সংঘবদ্ধ অবস্থায় সন্দেহজনকভাবে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এলাকাবাসী তাদেরকে দেখে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের হাতে লম্বা লাঠি যা ক্যামেরা ভাঙচুর বা অপসারনে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। পুলিশ কর্তৃক বিষয়টির সাথে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় আনতে এবং খোয়া যাওয়া ক্যামেরার হদিস মেলাতে না পারাটাকে মহল বিশেষের চাপকেই কারন হিসেবে অভিহিত করতে চাইছেন অনেকে।
এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টির অসাধু উদ্দেশ্যে একটি মহল বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তদ্বিররত মর্মে সংবাদ মাধ্যমের কাছে উষ্মা প্রকাশ করেন ক্যামেরা সার্ভার পরিচালনার দায়ীত্ব সংশ্লিষ্টজনেরা।
এদিকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন ঘটনা পরবর্তীকালে তদন্তের কার্যক্রম দেখে হতাশার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এডিশনাল এসপি মহোদয়কেও অবহিত করা হলে তিনি বিষয়টি আন্তরিকতার সাথে শোনেন। ব্যবস্থা নেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। আমরা সৎ উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছি। সিসিটিভি ক্যামেরা বর্তমান বিশ্বে জনপ্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরা যারা সরিয়েছে তারা অশুভ অপশক্তি। প্রকৃত অপরাধীদেরকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রাখা দুরভিসন্ধিমূলক ও এলাকাবাসীর জন্য বিপজ্জনক। চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন অবিলম্বে দোষীদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
Leave a Reply