বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
মানবিক চেতনাবোধ: জীবের প্রতি প্রেম যবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপক ড. ফিরোজ কবির সাময়িক বরখাস্ত, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ প্রথম আলোতে ভুল সংবাদ প্রকাশে রবিসাসের তীব্র নিন্দা আশ্বাসের ফাঁদে আটকে নোবিপ্রবির একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন মডেল হতে পারে বরিশাল : শারমিন বিনতে সিদ্দিক মেধা ও মননের বিকাশে নেভি এ্যাংকরেজ স্কুলের বার্ষিক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন জমি বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা, পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান বর্ষা বন্দনা: প্রকৃতি এবং জনজীবন কয়রার মহারাজপুরে ভিডব্লিউবি সঞ্চয় নিয়ে গুজব, চক্রান্তের মুখে চেয়ারম্যান মাহমুদ নোবিপ্রবিতে শিক্ষক বাদশা মিয়ার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মশাল মিছিল সাহসী সাংবাদিকতার জন্য পুরস্কৃত হলেন গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি লিটু দুর্নীতি-অনিয়ম ঠেকিয়ে স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন ইউএনও রুলি বিশ্বাস নোবিপ্রবিতে শিক্ষক নিয়োগ বিতর্কে নেপথ্যে যা জানা গেল হামলার শিকার নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন সভায় হামলা, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর ছাত্র-জনতার উপর হামলার আসামি হারুন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আতঙ্কে এলাকাবাসী জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে যবিপ্রবির ফিজিওথেরাপি বিভাগে দোয়া মাহফিল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে “কুইজ ও আলোচনা সভা” অনুষ্ঠিত  নারী শিক্ষার্থীর থেকে চাঁদা দাবি; কথিত সাংবাদিককে শিক্ষার্থীদের গণধোলাই নোবিপ্রবিতে একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১০১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী যবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিজিওথেরাপি কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন   নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের বাসে সন্ত্রাসী হামলা নোবিপ্রবিতে সিজিপিএ ভিত্তিতে ছাত্র পরিষদে মনোনয়ন : শিক্ষার্থীদের তীব্র ক্ষোভ নোবিপ্রবিতে জাতীয় হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব ১৮ জুন

মানবিক চেতনাবোধ: জীবের প্রতি প্রেম

সারাবেলা ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫
  • ৪ ০০০ বার
“অবিনশ্বর ধরিত্রীতে; স্রষ্টার নীলার বহিঃপ্রকাশ জীব,
মানুষের মনুষ্যত্বহীনতায়; আত্মাকে দন্ডিত দর্শনহীন শিব।”
-সুমন দাস
সৃষ্টিকর্তা প্রতিটি জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষ অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় বেশি জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেকের অধিকারী। মানুষের আসল পরিচয় তাঁর মনুষ্যত্বে। এই মনুষ্যত্বই মানুষের হিরণ্ময় শিখা, যা মানুষের মানবতা, বিবেক ও চেতনাবোধকে জাগ্রত করে। মানুষ যদি অন্য প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা ও মানবতা না দেখায়, তাহলে কখনও স্রষ্টার সদয় লাভ করতে পারবে না। তাইতো, স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, ‘জীবের সেবাই ঈশ্বরের সেবা।’ সততা, মততা, প্রেম, ভালোবাসা না থাকলে প্রকৃতি যেন মলিনতায় নুয়ে পড়ে। ভালোবাসা, মানবতা দিয়ে পবিত্রতার ফুল ফোটানো যায়। মনুষ্যত্বের বহিঃপ্রকাশ হলো মানবিক চেতনাবোধ, যা মানুষকে মহত্ত্ব করে তোলে। ফলশ্রুতিতে, সকল জীব জগতে বাঁচার এক চিলতে শীতলতার স্পর্শ অনুভব করে।
সময়ের ব্যবধানে, গ্রাম-শহর এর অঞ্চলগুলো বিশ্বায়নের ফলে পরিবর্তীত হচ্ছে। কঠিন বাস্তবতার  মধ্যে দিয়ে ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে, লোচনে তর্জনীর তাক বলে দিচ্ছে অন্তরালের প্রকৃত সত্তার চিত্র! শহরে মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে কুকুর, বিড়াল, কবুতর, খরগোশ ইত্যাদি প্রাণীগুলো পুষে থাকে। নগরায়নের ফলে রাস্তায় যে সকল কুকুর, বিড়াল রয়েছে তাঁরা তিনবেলা দূরে থাক পরিপূর্ণভাবে  একবেলা মনুষ্য জাতির কাছ থেকে মাছ-মাংসের কাঁটা ও হাড় পায় না। বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টুরেন্ট ইত্যাদির বিভিন্ন জায়গায় ডাস্টবিনের ব্যবস্থা থাকায় তাঁরা নিরবে কেঁদে ফিরে আসে ক্ষুধার তাড়নায়! তাঁরা যেন প্রতিবাদ করে তুলনা করছে, ওই ইট-পাথরের শহরে গড়ে ইমারত- এ থাকা তাদের মত জীবদের সাথে। অভিযোগ তুলছে সৃষ্টিকর্তার কাছে কেন তাদের ওদের মত বা মানুষ রূপে মায়াহীন পৃথিবীতে পাঠাননি? পরিচয়হীন, আশ্রয়হীন জীবগুলোর মানুষের মত কষ্ট, ক্ষুধা আছে, কিন্তু পূরণের অন্ন নেই! মানুষ হয়ে যদি মানবিক না হয়; মনুষ্যত্বের চেতনাবোধের কাছে অনুশোচনা না করে; তাহলে সৃষ্টিকর্তা তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ হন। পৃথিবীর সকল প্রাণী সৃষ্টিকর্তারই সৃষ্টি। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকে ভালোবাসলে স্রষ্টাকে ভালোবাসা হয়। তবে, গ্রামীণ জীবনে বঞ্চিত  প্রাণীদের প্রতি রয়েছে অফুরন্ত ভালোবাসা। সরল জীবনযাপনের মানুষদের পরিবারের সদস্য হয়ে যায় প্রাণীগুলো। অনেকে তাদের দিকে মারতে উদ্যোত হয়; তখন তাঁরা বলে, এই খাবার, সম্পদের প্রতি আমাদেরও ভাগ আছে। আমাদের বাঁচার অধিকার আছে। একটু সময় আহাজারি জানিয়ে মাথা নিচু করে চলে যায়-এক মুহূর্তের শান্তি খুঁজতে।
প্রকৃতপক্ষে, জীবের প্রতি মানুষের চেতনাবোধ কাজ না করলে, মানবতার স্ফূরণ ঘটানো সম্ভব নয়। মানুষের অন্তরে থাকা বড় আদালত হলো বিবেক, আর পবিত্র ফুল হলো ভালোবাসা। তাই, ভালোবাসা দিয়ে সকল হিংসা, দ্বেষ, দ্বন্দ্ব দূর করে জীবের প্রতি জীবের সেতুবন্ধন করতে পারলে জগতের শান্তি। কারণ, একজন মানুষ অন্যজনের কাছে যাবে, একে-অপরকে বিপদে রক্ষা করবে, স্রষ্টার সৃষ্টিকে ভালোবাসবে, বন্যপ্রাণী হিসেবে কোনো জীবকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবে না, অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না, সবসময় ক্ষুদ্র প্রাণীদের প্রতি সদয় হবে এমনটাই জীবের প্রতি মানব ধর্মের বানী। মানুষের মতো জীবও তাঁর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশকারীকে বিভিন্ন বিপদ থেকে রক্ষা করে ঋণী করে রাখে তাকে। এভাবে, জীবের প্রতি জীবের প্রেম, ভালোবাসা, সদয় ইত্যাদি বিরাজমান থাকুক। আসুন আমরা সকল নেতিবাচক প্রভাব মুছে, বিবেকের চেতনাবোধ শক্তি প্রয়োগ করে জীবের প্রতি সচেতন হই, তাদেরকে নিজের অংশ মনে করি লালন-পালন করি, এতে স্বয়ং স্রষ্টা খুশি হবেন। কারণ, তাঁর সৃষ্টিকে ভালোবাসলে স্রষ্টাকে ভালোবাসা হয়, তিনিও উপকারী ও বিবেকবান মানুষদেরকে ভালোবাসেন ও ভালো রাখেন।
লেখক
সুমন দাস,
সাবেক শিক্ষার্থী,
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ-৮১০০

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..