রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন টিম কর্তৃক একটি ইনোভেশন প্রদর্শনী (শোকেসিং) অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ইনোভেশন প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ইনোভেশন এমন একটি বিষয় যা নতুন কিছু সৃষ্টি করে বা যা বর্তমানে আছে তার উন্নয়ন সাধন করে। ইনোভেশন দ্রুত পরিবর্তনশীল একটি ধারণা এবং এটি আমাদের সমাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে বিশ্ব ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তিত বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ইনোভেশন অপরিহার্য। ইনোভেশনের ক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মকে সামনে আসতে হবে।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য প্রফেসর শাহ্ আজম বলেন, থিংক গ্লোবালি, এক্ট লোকালি। অর্থাৎ, বৈশ্বিক চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের ইনোভেশন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে এবং তা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হবে। তবেই আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে টেকসই উন্নয়ন সাধিত হবে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের যে সুখী-সমৃদ্ধ ও প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ-এর স্বপ্ন দেখিয়েছেন, এই ইনোভেশন প্রদর্শনী তার সাথেই সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মকে চির অম্লান করে রাখার পাশাপাশি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বাংলাদেশ-এর লক্ষ্য পূরণে বদ্ধপরিকর। সেই প্রত্যয়েরই অংশ আজকের এই ইনোভেশন প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে আমাদের তরুণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ইনোভেশনে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ হবে এবং নতুন নতুন ধারণা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের কল্যাণে কাজ করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
ইনোভেশন প্রদর্শনীতে ছয়জন অংশগ্রহণ করে এবং সেরা তিনটি ধারণা প্রদানকারীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন উপাচার্য ড. শাহ্ আজম। ইনোভেশন টিমের আহ্বায়ক ও অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিজন কুমারের সঞ্চালনায় এই প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
Leave a Reply