গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার মেয়েদের হল থেকে একাধিক ছাত্রীর জামাকাপড় ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরির অভিযোগ পেয়েছে হল প্রশাসন।
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল থেকে নিতে এসে জামাকাপড়সহ বেশকিছু জিনিসপত্র না পেয়ে হল প্রশাসনকে অভিযোগ জানায়।এ সময় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট শামস আরা খান উক্ত শিক্ষার্থীকে লিখিত দিতে বলেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সারাবেলা থেকে হল প্রভোস্ট ও ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামস আরা খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে এমন ঘটনা আরো ঘটেছে জানিয়ে তিনি বলেন “আজকে অভিযোগ দেয়া মার্কেটিং বিভাগের উক্ত শিক্ষার্থীসহ গত দু-তিন দিনে আরো দু’জন শিক্ষার্থীর কাছে থেকে জামাকাপড়, কম্বলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরির অভিযোগ পেয়েছি।বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। ”
তিনি জানান করোনার কারণে বন্ধ ‘হল’ এ প্রায়ই শিক্ষার্থীরা আসে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে। এক্ষেত্রে হলের বিভিন্ন কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সুবিধা হলেও গণরুমের শিক্ষার্থীদের জিনিসপত্র নেয়ার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করেও কাজ হয় না। কারণ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী থাকে গণরুমে।
আর হলের কর্মচারীরা অনুমতি ছাড়া ভেতরে প্রবেশ করেন না বলে জানান তিনি।তবুও এ বিষয়ে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ও করবেন বলে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল কমিটির সদস্যদের কাছে তিনি এ বিষয়ে জানিয়েছেন এবং হলের গণরুমের তালা বদলে ফেলার পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করেছেন বলেও জানান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট শামস আরা খান।
এর আগে গত ঈদুল আজহার ছুটিতে বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়।এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে তাদের দু’টি কম্পিউটারের খোঁজ পায়নি। এছাড়া অফিসার্স কোয়ার্টার থেকে স্যানিটারি ফিটিংস চুরির ঘটনাও ঘটেছে।রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একাউন্ট থেকে গত ৩ নভেম্বর চুরি হয়ে যায় ব্যাংকের চেক,সেই চেক ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করার ঘটনাও ঘটে। চুরির ঘটনা ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেসেও।
তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে এ.কিউ.এম. মাহবুব দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্বমহলে।তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা অতীতে ঘটে থাকা চুরির ঘটনার মূল হোতাদের বের করে শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে উপাচার্যের হস্তক্ষেপ কমনা করেছেন।
Leave a Reply