ফরিদপুরের সদর উপজেলায় শোভারামপুর ১২৭ নং মৌজায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের লিজ নেওয়া জলাশয়ের মাছ জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ফরিদপুর পুলিশ সুপার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য সেলিম সেক।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলাধীন ১২৭ শোভারামপুর মৌজায় শোভারামপুর-কোমরপুর শর্টকার্টের ২য় ক্রস দীর্ঘ হতে ৩ (জোন্দারবাড়ী) পর্যন্ত ১২:০০ একর আয়তন বিশিষ্ট জলাশয়ের ইজারাদার সোনালী মৎস্য জীবী সমবায় সমিতি। চুক্তিপত্র অনুযায়ী বাংলা সনের ১৪২৬-১৪২৮ সন (তিন বছর )পর্যন্ত এই জলাশয়ের ইজারাদার সোনালী মৎস্য জীবী সমবায় সমিতি। সোনালী মৎস্য জীবী সমিতি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেন,গত ১৯.০৩.২০২১ তারিখ রোজ শুক্রবার বেলা ১১.০০ ঘটিকার সময় কতিপয় মাদক মামলার পলাতক আসামি শওকত মন্ডলের নেতৃত্বে ইউসুফ, দস্যু কামাল, ওহাব,খোকন, জাকির প্রামানিক, ফিরোজ, সহ অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জন মৎস খামারে যেয়ে বলেন, “আমরা ইজারা গ্রহণ করছি”। খামারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো: সেলিম সেক কাগজ দেখাইতে বললে তাকে হত্যার হুমকিসহ মৎস খামার ত্যাগ করতে বলে এবং তারা জোরপূর্বক সকল মাছ মেরে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয় । এই বিষয়ে ১নং ওয়ার্ডের কমিশনার মো: জাফর আলী খানকে অবহিত করলে তিনি ৭ দিনের মধ্যে সকল মাছ মারে নিয়ে যেতে বলেন। অন্যথায় তিনি কিছু করতে পারবেন না বলে আমাদেরকে জানান। তার তিন দিন পর কিছু দুষ্কৃতিকারী আমাদের জলাশয়ের চাষকৃত মাছ ধরে নিয়ে যায়।
তার আগেই আমরা জেলা পুলিশ সুপার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দুষ্কৃতকারীরা মাছ ধরে নিয়ে যেতে পারে বলে অবগত করি তারা আমাদের আশ্বাসও দেন যে কেউ জলাশয়ের মাছ ধরে নিয়ে যেতে পারবেন না বলে ততকালীন সদর থানার ওসিকে ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশনা দিলেও তিনি কার্যকারী ব্যবস্থা নেন নি।
এবিষয়ে সদর থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ এম এ জলিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না এবং থানায় কোন মামলা হয় নি।
Leave a Reply