“বিশ্বাসে ভরশা,নিঃশ্বাসে প্রান, নিঃশ্বাসে জীবন!” মহামারী করোনা ভাইরাসে শুরুর পর থেকে কখনো করোনা প্রতিরোধ কমিটি করে,আবার কখনো নিঃশ্বাস সহায়তা নিয়ে পাবনা-৪ আসনের (ঈশ্বরদী- আটঘরিয়ার) সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা, আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাসের দিক নির্দেশনায় দিক বিদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন পুত্র যুবনেতা ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাস।বাবা ৩ বারের উপজেলার চেয়ারম্যান। বর্তমান এমপি।পুরো জীবনটা পার করেছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে।পিতার মতোই সাংসদ পুত্র নিজেই স্বেচ্ছাসেবী সহ মানবিক নানা কাজের সাথে সম্পৃক্ত আছেন।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির পর থেকে গত ১ বছর ৫ মাস ধরে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার গলিতে গলিতে ছুটে বেড়িয়েছেন খাদ্য পণ্য ও করোনা সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে।বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়াই ঈশ্বরদী উপজেলা সারা বাংলাদেশের মধ্যে হটস্পটে পরিণত হয়েছে।চলমান এ পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে নিজস্ব আর্থিক তহবিলে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ছুটে কোভিড-১৯ রোগীর জন্য তিনি অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছেন।অতি জরুরিতে কখনো নিজেই ছুটছেন মটর সাইকেলে আবার কখনো সহযোগিতার টিম কে পাঠাচ্ছেন বাড়িতে বাড়িতে।গরীব,অসহায়,নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে বিনামুল্যে এ-ই অক্সিজেন পৌছায় দিচ্ছে সহযোগী টিম গুলো,সার্বিক তত্বাবধান থেকে শুরু করে এক হাতেই সব কিছু সামলাচ্ছেন তিনি। বিশ্বাস ফাউন্ডেশন থেকে কয়েক দফায় খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন।
মহামারির শুরু থেকে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া খাদ্য,পণ্য,করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছিলেন তিনি ও তার সহযোগী টিম।
এ বিষয়ে দোলন বিশ্বাস বলেন ” যারা হাসপাতালে যেতে পারে না, সেই সব রোগীদের নিঃশ্বাস সহায়তা থেকে ফ্রীতে অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া শুরু করি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির পর থেকে বাংলাদেশে হু-হু করে বেড়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম। যে সিলিন্ডার এক সময় পাঁচ হাজার টাকায় পাওয়া যেতো সেটির দাম গিয়ে ঠেকেছে ১৫ -২০ হাজার টাকায়।ফলে অক্সিজেন সরবরাহ করার খরচও বেড়ে গেছে তিনি গুন।”
সাংগঠনিক কার্যক্রম ছাড়া মানবিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেন কেনো প্রতিবেদকের প্রশ্নে তৌহিদুজ্জামান বিশ্বাস দোলন বলেন,ছোট থেকেই দেখেছি আমার পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছোয়া পেয়েছে,বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে পেয়ে বাবা কে দেখেছি কিভাবে সৎ আদর্শ ভাবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করা যায়,সেটা বাবার মধ্যে দেখে এসেছি।বঙ্গবন্ধু যেমন এ দেশের মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাবাকেও দেখেছি মানুষের জন্য উৎসর্গ করতে।দলের দূঃসময়েও দেখেছি দেশের মানুষের জন্য কিভাবে ঐক্য ও সমন্বিত ভাবে কাজ করা যায়।বাবার দিক নির্দেশনায় দেশের চলমান সংকটের সময় নিজেদের অর্থায়ন থেকে এখন পর্যন্ত ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনা হয়েছে।নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি,মটর সাইকেলে আমার সহযোগী টিমের রাজন,জসিম,আরিফ,ওহাব,রকিব,রাশেদ সহ সদস্য গুলো রাত-বিরাতে রোগীদের বাড়িতে বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ছুটছেন।
একটা সিলিন্ডার যখন একটা বাসায় যায় তখন সেটা ২৪ ঘণ্টা ব্যবহার করলেই কাজ শেষ হচ্ছে না। অনেকেই ৩ দিন আবার ৭ দিন ও রেখে দিচ্ছেন।অনেকে ফোন করে। ফোন করলেই নিজের সাধ্য মত সবাইকে পৌছে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি এই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে।
বাংলাদেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়াই যখন টালমাটাল অবস্থা তখন অনেকেই হাসপাতালে কোন জায়গা পাননি।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে তীব্র যাতনায় বাড়িতে কাটাতে হচ্ছে এমন মানুষ গুলোকে তারাতারি নিঃশ্বাস সহায়তা থেকে সিলিন্ডার পৌছে দেয়া হচ্ছে।দেশের চলমান এ সংকটের সময় সমন্বিত উদ্যোগ ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিয়ে বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।
এক করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে একদিন রাতে তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাসের নিঃশ্বাস সহায়তা থেকে সরবরাহ করা অক্সিজেন সিলিন্ডার ছিলো আমার জন্য এক আশীর্বাদ। রাতে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮৫ হয়ে গেল। তখন আমি বাসায় থেকে এই অক্সিজেন সিলিন্ডারের সাপোর্ট নিয়েছিলাম। একঘণ্টা সাপোর্ট নেবার পরে আমার স্যাচুরেশন ঠিক হয়েছে। এই সার্ভিসটা ঘরে বসে যে পেয়েছি একমাত্র আমি জানি এটা কতটা দরকার।
করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রাত-বিরাতে ছুটা সহজ কাজ নয়।করোনা শুরু থেকে এ-ই মানবিক কাজে ছুটতে গিয়ে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস সহ পরিবারের অনেকেই একাধিক বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।তবুও সেবা থেকে থেমে থাকেন নি।
শহরের বিত্ত পরিবার গুলো যখন করোনা সংক্রমণের আশংকায় নিজেদের নানা কাজ থেকে গুটিয়ে নিয়েছে তখনও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ছুটে চলেছেন যুবনেতা তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাস ও তার সহযোগী টিম।এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পরিবারের রোগীদের অনেকেই বলছেন, যখন হাসপাতালে কোন সিট খালি নেই, তখন সে কঠিন দু:সময়ে এই সেবা অনেকের জীবন বাঁচিয়েছে।তার এ উদ্যোগ কে দেশের চলমান পরিস্থিতির কঠিন সময়ে নৈতিক সেবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বলে মনে করেন ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া বাসী।
Leave a Reply