কক্সবাজারের চকরিয়ার মালুমঘাট এলাকায় পিকআপ এর চাপায় একই পরিবারের ৪ সহোদরের মর্মান্তিক মৃত্যূ হয়েছে। এসময় অপর ভাইসহ গুরুতর আহত হয়েছে আরও ৩ জন। মঙ্গলবার ৮ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট হাসিনা পাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এ সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- মৃত সরোজ সুশীলের ছেলে অনুপম সুশীল (৪৫), নিরুপম সুশীল (৩৮), দিপক সুশীল (৩৬), চম্পক সুশীল (৩৬)। আহতরা হলেন- স্বরণ সুশীল (২৮), রক্তিম সুশীল (৩৫), প্লাবন সুশীল (২৪) ও মেয়ে হীরা সুশীল (২৭)। এদের মধ্যে স্বরণ সুশীলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য ২জন মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা ওই হাসপাতালের মেডিক ডা.সুমন নাথ। ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর বলেন, গত ১০ দিন আগে নিহত ও আহতদের বাবা সরোজ সুশীল মৃত্যু বরণ করেন। আজ মঙ্গলবার ছিলো তাদের বাবা সরোজ সুশীলের কোড়কর্ম এবং আগামীকাল বুধবার শ্রদ্ধানুষ্ঠান। ধর্মীয় রীতিনুযায়ী মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে তারা সাত ভাই ও এক বোন কোড়কর্ম করতে হাসিনা পাড়াস্থ রাস্তার মাথায় যায়। ওখানে তারা তাদের কোড়কর্ম অনুষ্ঠান শেষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। এসময় একটি দ্রুতগামী পিকআপ (মিনি ট্রাক) এসে তাদেরকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে চার ভাই নিহত হন। অন্য চারজনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডুলহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান আদর আরও বলেন, নিহত ৪ সহোদরের সৎকার করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কক্সবাজারের চকরিয়ার মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ইনচার্জ শাফায়েত হোসেন বলেন, পিকআপ চাপায় নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক পিকআপটি জব্দ ও চালককে আটক করার চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য গত রবিবার ৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকায় যাত্রীবাহি বাস, লবণ বোঝাই ট্রাক ও পিকআপের ত্রিমুখী সংঘর্ষে বাসের তিনজন যাত্রী নিহত ও ২৫-৩০ জন যাত্রী আহত হয়। এনিয়ে গত ৪৮ ঘন্টায় এ সড়কে ৭ জনের মৃত্যূ হলো।