শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:১৫ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
বশেমুরবিপ্রবিতে দুই দিনব্যাপী সেইভ এর কোর ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত ইবিতে ভোলা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের জরুরী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চকরিয়ায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার চকরিয়ায় মাদক ও অস্ত্রসহ ৫ মামলার আসামীসহ সহযোগী গ্রেপ্তার অবরোধ প্রতিরোধে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের শক্ত অবস্থান; মাঠে নেই বিএনপি-জামায়েত বক্তব্য জানতে চাওয়ায় সাংবাদিককে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ ঘূর্ণিঝড় হামুন: জেলায় ৭০৩ টি সাইক্লোন সেন্টার, ৩৫ টি মুজিব কেল্লা, ৮৭৬০ জন সিপিপি সেচছাসেবক প্রস্তুত চকরিয়ায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার সিআরসি বশেমুরবিপ্রবি শাখার উদ্যোগে বৃদ্ধাশ্রমে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন ভূমি অফিসে ঢুকে কানুনগোকে হামলা করলো আওয়ামী লীগ নেতা নাভানা স্পোর্টস আয়োজিত ইসমাইল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৩ এর উদ্বোধন চকরিয়ার হারবাংয়ে মাদ্রাসা সুপারকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল দুমকীতে ইয়াবাসহ এক কারবারি গ্রেফতার দুমকীতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত পাবিপ্রবিতে রসায়ন সমিতির নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন দুমকীতে পৃথক অভিযানে গাজা ও ইয়াবাসহ আটক ৩ বিইউবিএমবির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বশেমুরবিপ্রবির ফারুক রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ডিবেট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত বশেমুরবিপ্রবি’তে সেইভ চ্যাপ্টারের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস পালিত চকরিয়ার হারবাংয়ে সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রিকশা সমিতির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পটুয়াখালীর দুমকীতে ডিবির পোষাক পরিহীত ৩ ডাকাত সদস্য আটক পিতৃত্বকালীন ছুটি প্রবর্তন করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দুমকি প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন; সভাপতি ফজলুল হক, সম্পাদক কাজী দুলাল চকরিয়ায় পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের উদ্বোধন

চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর ভাঙনের হুমকিতে মসজিদসহ একাধিক গ্রাম

মোঃ কামাল উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১
  • ২১২ ০০০ বার
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর দু’পাশে অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে মসজিদ সহ ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি। ইতিামধ্যে বহু ঘর ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারানো অনেক পরিবার ভূমিহীন হয়ে বর্তমানে নিঃস্ব হয়ে গেছে। চলমান বর্ষায় ভাঙনের আশংকা রয়েছে অন্তত ১৫-২০টি গ্রামসহ মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিলীনের পথে মসজিদ-মাদ্রাসাও। দ্রুত সময়ে জিও ব্যাগ স্থাপনের মাধ্যমে প্রায় কয়েক কিলোমিটার ভাঙন রোধ করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এলাকাবাসীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবরে আবেদনও করেছে। আবেদনে সুপারিশও করেছেন স্থানীয় সাংসদ জাফর আলম। সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের দিগরপানখালীর মহেন্দ্র মহাজনের ঘাঁটা ও ১নং বাঁধ সংলগ্ন বেড়িবাঁধসহ বেশ কিছু বাড়িঘর তলিয়ে গেছে মাতামুহুরি নদীর প্রবল ভাঙনে। ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর কাহারিয়াঘোনা খন্দকারপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন মাতামুহুরী নদীর পাড়, ঝুকিপূর্ণ বাটাখালী ব্রিজ এর দু’ পাশের নদীর পাড়, খন্দকারপাড়ার পশ্চিমাংশের মো. জাকারিয়ার বসতঘর সহ সমুহ নদীর পাড় ও কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব সীমানা থেকে ৯নং ওয়ার্ডের দ্বীপকুল পাড়া পুরাতন কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ পর্যন্ত ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি বন্যায় বেশকিছু বসতঘর সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ক্ষতি হয়েছে কৃষি জমি ও ফসলের। হুমকিতে রয়েছে দ্বীপকুল পাড়া, ছোঁয়ালিয়া পাড়া, ধুপি পাড়া, শীল পাড়া, হিন্দু পাড়া, টুনু সিকদার পাড়া, কৈয়ারবিল প্রপার, মুহুরী পাড়া, মিয়াজী পাড়া, চড়ারকুল, জালিয়া পাড়া ও পূর্বে হিন্দু পাড়া। এসব এলাকায় রয়েছে কৈয়ারবিল উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮নং ওয়ার্ডের মাকজুলুলুম মাদ্রাসা, আলহেরা মসজিদ ও এবতাদিয়া মাদ্রাসা, পশ্চিম কৈয়ারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। চলমান বর্ষা ও বন্যায় এসব এলাকা ও মসজিদ-মাদ্রাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো ভাঙনের কবলে পড়ার আশংকা রয়েছে।এছাড়া লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চরপাড়ার পূর্ব সীমানা থেকে ৪নং ওয়ার্ড রোস্তম আলী চৌধুরী পর্যন্ত সম্প্রতি বন্যায় ব্যাপক ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। এরিমধ্যে রোস্তম আলী চৌধুরী পাড়া, ২নং ওয়ার্ডের জালিয়া পাড়া, ১নং ওয়ার্ডের মন্ডল পাড়া পশ্চিম সীমানা পর্যন্ত নদী ভাঙনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকের ফসলি জমি ও গোয়াল ঘর সম্পূর্ণ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি বন্যায় মাতামুহুরি নদীতে বিলীন হয়ে যায় কৈয়ারবিল ৯নং ওয়ার্ডের দ্বীপকুল এলাকার শিব্বির আহমদ, সোনা মিয়া, কামাল হোসেন, রোকেয়া বেগম, মো. হোসেন, মনজুর আলম, নুর নাহার ও মো. মানিকের বসতবাড়ি। নদী গর্ভে ভিটে ও বাড়ি হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব।বসতভিটে হারানো শিব্বির আহমদ বলেন, প্রতি বছর বন্যায় মাতামহুরির উত্তর পাশ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। বসতবাড়ির পাশাপাশি ভেঙে যায় অনেক ফসলি জমিও। সম্প্রতি বন্যায় আমার ঘরসহ প্রায় ১০টি বসতভিটে নদীতে বিলীন হয়। এখন পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছি এক আত্মীয়ের বাড়িতে। নদীর তীরে স্থায়ী কোন বাঁধ না দেওয়ায় বেশি দুর্ভোগে পড়েছে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মানুষ।মো. হোসেন বলেন, গত ৫ বছরে আমার অনেক আত্মীয়-স্বজন নদীতে বসতঘর হারিয়ে অন্যত্রে চলে গেছে। এই বছর আমার ঘর বিলীন হয়েছে। একই সাথে অনেক ফসলি জমিও রক্ষা পায়নি। সব হারিয়ে এখন আমি নিঃস্ব। দ্রুত সময়ে জিও ব্যাগ স্থাপনা না করলে আমার মতো অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে।গত কয়েক বছরে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে শুধু দ্বীপকুল এলাকা থেকে অন্যত্রে চলে যান নুর আহমদ, রফিক আহমদ, ইসহাক মিয়া, আবুল কালাম, ঠিকাদার নজির আহমদ দিদার, শাহাব উদ্দিন ও আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ বহু পরিবার। এখনো তারা নদী ভাঙনের আতংকে রয়েছে।দ্বীপকুল এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট ঠিকাদার ও সমাজ সেবক নজির আহমদ দিদার বলেন, কয়েক বছর আগে আমার বসতভিটেও নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর নদীর তীর থেকে একটু দূরে এসে ঘর তৈরি করি। কিন্তু এখনো দুচিন্তা যায়নি। চলমান বর্ষা ও সম্প্রতি বন্যায় নদীর তীর ভেঙে আবারও বাড়ির পাশে চলে এসেছে। এখন নতুন করে আতঙ্কে আছি।তিনি বলেন, সম্প্রতি বন্যায় অনেক ঘর ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। দ্বীপকুল পুরাতন কেন্দ্রিয় জামে মসজিদও বিলীন হওয়ার পথে। প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয় করে গত বছর মসজিদের কাজ শেষ হয়েছে। এখন মসজিদের দক্ষিণ পাশের বাউন্ডারি নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ধসে পড়েছে। যেকোন সময়ে পুরাতন মসজিদসহ দ্বীপকুল বাজার, নতুন নতুন বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হতে পারে। দ্রুত সময়ে যদি জিও ব্যাগ স্থাপনা করা যায়; তাহলে অনেক গ্রাম রক্ষা পাবে।চকরিয়া ৯নং লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার বলেন, সম্প্রতি বন্যায় নদী ভাঙনে আমার ইউনিয়নের প্রায় ১০টি মতো বসতঘর বিলীয় হয়ে গেছে। এছাড়া আধা কিলোমিটার ফসলি জমি একেবারে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকিতে রয়েছে আরো বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে যদি স্থায়ী বাঁধ দেওয়া যায় তাহলে রক্ষা পাবে অনেক গ্রাম। আমার ইউনিয়নে বেশি আতঙ্কে রয়েছে চারটি গ্রামের বাসিন্দারা। দ্রুত সময়ে জিও ব্যাগ স্থাপনের মাধ্যমে গ্রাম রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবরে আবেদনও করা হয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান।এবিষয়ে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, সম্প্রতি বন্যায় মাতামুহুরীর যেসব এলাকায় পানি ছিল এবং বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল সব জায়গায় পরিদর্শন করেছি ও মনিটরিংও করা হয়েছিল। তাছাড়া পানি কমে না যাওয়ায় কাজ শুরু করতে পারিনি। যে চারটি জায়গায় ভেঙে গিয়েছিল বর্তমানে সেখানে কাজ শুরু হয়েছে জিও ব্যাগ দিয়ে। আর দু’টি জায়গায় চকরিয়া পৌর রক্ষা বাঁধ ক্ষতি হয়েছে সেগুলোর কাজও শুরু হয়েছে। এছাড়া আরো বিভিন্ন জায়গায় কাজ শুরু হয়েছে। আর কিছু জায়গা এখনো মনিটরিংয়ে রয়েছে, যেহেতু বর্ষাকাল এখনো চলমান। বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন এখনো সীমারেখার মধ্যে রয়েছে। তবে আমরা মনিটরিংয়ে রেখেছি। যে জায়গায় ভাঙন বেড়েছে বা নতুন করে ভাঙন হয়েছে সব গুলো অন্তভূক্ত করে সমীক্ষা শেষ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভাঙন রোধে প্রতিরক্ষা বাঁধ বাস্তবায়ন করতে প্রকল্প সাবমিট করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..